গোছানো থাক সাজের গহনা

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

রঙ বেরঙ ডেস্ক
আসলে সাজ-পোশাক যেমনই হোক না কেন, একখানি নান্দনিক গহনা তুলে ধরতে পারে আপনাকে সবার মধ্যে আলাদা করে। বাংলাদেশে ব্যবহৃত বেশির ভাগ অলঙ্কারের নকশার শেকড় আমাদের অতীতেই নিহিত। বিয়ের গহনার ক্ষেত্রেও এটা সমভাবে প্রযোজ্য। এখনকার গহনার সঙ্গে সেই মুঘল আমলের গহনার খুব যে পার্থক্য রয়েছে তা নয়- পরিবর্তন এলেও নকশা এবং স্টাইলে এর প্রভাব যেন অনেকটাই রয়ে গেছে। স্বর্ণালঙ্কারের নকশায় সবচেয়ে বেশি আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও রূপা কিংবা বিয়ের ভারী গহনায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যেন একই সংস্কৃতির ছাপ। একটা সময় নারীর কাছে বেশি জনপ্রিয় ছিল নানা ধরনের বালা, কঙ্কন, টিকলি, টায়রা, পাঁচ বা সাত তারকাখচিত হার, দশ আঙুলের আংটি ও নূপুর ইত্যাদি। তবে সময়ের পরিক্রমায় রুচি ও দামের কারণে অলঙ্কারের ঐতিহ্যও কিছু অংশে পরিবর্তিত হয়েছে। দামের কারণে ভারী অলঙ্কারের বদলে সাধারণ নকশার নজরকাড়া সব গহনার চল এসেছে। গত কয়েক দশকে গহনার স্টাইলেও পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক অনেক নারীই মনে করেন, ঐতিহ্যবাহী গহনা সব সময় তাদের পোশাক কিংবা স্টাইলের সঙ্গে ঠিক মানানসই নয়; আবার অনেকেই প্রাচ্যের ভারী গহনার নকশার সঙ্গে পছন্দ করেন পাশ্চাত্যের নকশার মিশেল। গহনা যেমনই হোক না কেন, গহনাগুলো নিশ্চয় যেখানে-সেখানে ফেলে রাখবেন না। সেগুলোরও চাই বাড়তি যত্ন। চাইলে সুন্দর কোনো বাক্সে রাখতে পারেন সাজিয়ে। যেন আপনার শখগুলো তুলে রাখছেন গুছিয়ে। আপনার শখের মূল্য বুঝে বিক্রেতারাও সাজিয়ে রাখে নানা রকম গহনার বাক্স। পুঁতি, স্টোন, ক্রিস্টাল, অ্যামব্রয়ডারিসহ নানা কিছু দিয়ে নান্দনিক ডিজাইন করা হয়ে থাকে এসব গহনার বাক্স। যাতে ফুটে ওঠে আভিজাত্যের পরিচয়। গহনার সংখ্যা ও ওজনের ওপর নির্ভর করে বাক্স নির্বাচন করা যেতে পারে। গোল, চার কোণা, লম্বা, পিরামিডসহ নানা আকারের গহনার বাক্স বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। রয়েছে কয়েক পার্ট বা আলাদা ড্রয়ার বিশিষ্ট গহনার বাক্সও। গহনার জন্য কাঠের তৈরি বাক্স বেশি উপযোগী। এটি বেশ টেকসই হয়ে থাকে। তবে চামড়ার তৈরি গহনার বাক্সের চাহিদা সাধারণভাবেই একটু বেশি। কিছু কিছু চামড়ার ওপর হাতের কারুকাজ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া বাজারে পস্নাস্টিকের তৈরি গহনার বাক্সও পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন রং ও ডিজাইনের বাক্সগুলো দেখতেও বেশ শৌখিন। আর পস্নাস্টিকের তৈরি বলে হালকাও হয়। রুচিশীল শৌখিন মানুষ বাঁশ ও বেতের তৈরি গহনার বাক্সগুলো বেছে নেন। গোলাকার, বর্গাকার, পিরামিড, লম্বাটে, দ্বিতল নানা আকারের হয়ে থাকে। রং, নকশাভেদে তৈরি বাক্সগুলো দেখতেও বেশ নান্দনিক হয়ে থাকে। একটু ভারী ধাঁচের গহনা এ ধরনের বাক্সে রাখা হয়। মাটি, পুঁতি, শামুক, ঝিনুক, কড়ি, পাট, বিডস ইত্যাদি দিয়ে তৈরি গহনা কাগজের বাক্সে ভালো থাকে। ধাতব গহনা এবং ইমিটেশনের গোল্ডেন কালার গহনা ভালো থাকে পস্নাস্টিকের বাক্সে। তা ছাড়া পাথর, অ্যান্টিক, ইমিটেশনের গোল্ডেন কালার গহনা টিসু্য পেপারে মুড়িয়ে বাক্সে রাখা উচিত। পস্নাস্টিক, বাঁশ-বেতের গহনা বাক্সে খোলাও রাখা যেতে পারে।