পোশাকে হেমন্ত কাহন

ঋতুর বদলে যাওয়ার পাশাপাশি বদল আনতে হয় জীবনযাত্রায়। বদল আসে পোশাকেও। অবশ্য ব্যস্তজীবনে ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক এখন হাতের কাছেই মেলে। যার ফলে বাড়তি চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয় না। এ ছাড়া আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে টি-শার্ট, ফুল সিস্নভ টি-শার্ট, লং কুর্তা, টপস, ট্রাউজার, ব্যাগি জিন্স এখন প্রতিটি ফ্যাশন হাউসে শোভা পাচ্ছে। মানুষ যত বেশি ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছে ততই বাড়ছে ফ্যাশন হাউসের সংখ্যা। ইচ্ছা হলেই যুগোপযোগী পোশাকে সাজানো যাবে নিজেকে। অফিসিয়াল ফুল সিস্নভ শার্টেও ঋতুর প্রাধান্য বিদ্যমান। কাপড় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে খাদি, কটন, সিনথেটিক, জয়সিল্ক, এন্ডি কটন। এ সময়টায় দিনের বেলা গরম অনুভূত হয় আবার সন্ধ্যা না ঘনাতেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। তাই এ সময়টায় এমন ড্রেস পরা উচিত যা দিন কিংবা রাতে অস্বস্তিতে না ফেলে

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

রঙ বেরঙ ডেস্ক
হেমন্তকে বলা হয় শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় দিনের পুরোটাজুড়েই ঠান্ডা গরমের পার্থক্য বেশ জোরালোভাবেই বোঝা যায়। তাই ঋতুর বদলে যাওয়ার পাশাপাশি বদল আনতে হয় জীবনযাত্রায়। বদল আসে পোশাকেও। অবশ্য ব্যস্তজীবনে ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাক এখন হাতের কাছেই মেলে। যার ফলে বাড়তি চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয় না। এ ছাড়া আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে টি-শার্ট, ফুল সিস্নভ টি-শার্ট, লং কুর্তা, টপস, ট্রাউজার, ব্যাগি জিন্স এখন প্রতিটি ফ্যাশন হাউসে শোভা পাচ্ছে। মানুষ যত বেশি ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছে ততই বাড়ছে ফ্যাশন হাউসের সংখ্যা। ইচ্ছা হলেই যুগোপযোগী পোশাকে সাজানো যাবে নিজেকে। অফিসিয়াল ফুল সিস্নভ শার্টেও ঋতুর প্রাধান্য বিদ্যমান। কাপড় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে খাদি, কটন, সিনথেটিক, জয়সিল্ক, এন্ডি কটন। এ সময়টায় দিনের বেলা গরম অনুভূত হয় আবার সন্ধ্যা না ঘনাতেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। তাই এ সময়টায় এমন ড্রেস পরা উচিত যা দিন কিংবা রাতে অস্বস্তিতে না ফেলে। এই সময়ের ফ্যাশনের সঙ্গে গরমের পোশাকের মেলবন্ধন করতে চাইলে কয়েকটি জিনিস আপনার আলমারিতে থাকতে হবে। যেমন- মোটা সুতি কাপড়ের পোশাক, জিন্সের বিভিন্ন ধরনের পোশাক, জিন্সের প্যান্ট, স্কার্ট, জ্যাকেট হতে পারে, বুট জুতা, টাইস ও স্কার্ফ। প্রয়োজন মিক্স অ্যান্ড ম্যাচিং। মোটা সুতির জামা বা ফ্রকের সঙ্গে টাইস বা জিন্সের প্যান্ট বাছাই করুন। ফুল সিস্নভ হাতার জামাগুলো এ সময়ে অনায়াসে পরা যায়। হাফ শু-স্টাইল স্যান্ডেল বেছে নিন ক্যাজুয়াল আউটফিটের সঙ্গে। মাঝারি বা হাইহিলের স্যান্ডেল বেছে নিন যে কোনো পার্টি ড্রেসের সঙ্গে। কালো বা ব্রাউন কালারের শু বা স্যান্ডেল বেছে নেয়ার পাশাপাশি মাস্টার্ড বা বারগান্ডি কালারও বেছে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে স্কিন মোজাও পরা যায় ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে। টাইস ব্যবহার করলে জুতার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে করুন অথবা কালো রং বেছে নিন। গ্রীষ্মের পছন্দের ড্রেসটির সঙ্গে পরতে পারেন সুতি কাপড়ের জ্যাকেট বা নিট কার্ডিগান টপস বা জ্যাকেট। এ ক্ষেত্রে লেন্থে কিছুটা বৈচিত্র্য রাখতে পারেন। যদি আপনার পোশাকটি শর্ট হয় তা হলে ওপরের জ্যাকেটটি লং রাখুন। হাতার ক্ষেত্রে এ রকম একটি ছোট ও একটি বড় রাখুন। রাতে বাইরে বের হলে স্কার্ফ রাখতে পারেন। স্কার্ফ আপনাকে স্টাইলের সঙ্গে সঙ্গে হালকা শীত থেকেও রক্ষা করবে। ফুলেল প্রিন্টের পোশাকের সঙ্গে বেছে নিতে পারেন ডেনিম জ্যাকেট। সুতির জ্যাকেটও পরা যায়। পায়ে রাখুন পেছনের দিকে খোলা লোফার বা স্নিকার। টি-শার্টের ওপর পরে নিতে পারেন ফুলহাতা শার্ট। এটিও আপনার এই সময়ের জন্য খুবই আরামদায়ক হবে। পাঞ্জাবির সঙ্গে বেছে নিতে পারেন হাতাকাটা কোটি। পছন্দের শাড়ি পরলে সঙ্গে বেছে নিন ফুলহাতা বা কোয়ার্টার হাতা বস্নাউজ অথবা ফ্যাশনেবল কোটি বা টপস বেছে নিতে পারেন শাড়ির সঙ্গে। লেয়ারিং ড্রেস পরার এটাই সময়। কামিজের সঙ্গে লং কোটি বা কয়েক লেয়ার দিয়ে তৈরি পোশাকগুলো রাখুন এ সময়ের ফ্যাশনে। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে নিতে পারেন মোটা কাপড়ের ওড়না অথবা পাতলা শাল। হেমন্তের পোশাক হিসেবে উজ্জ্বল রং রাখুন। এবারের হেমন্তের রঙে লালের প্রাধান্য দেখা যাবে। লালের বিভিন্ন শেড বেছে নিতে পারেন হেমন্তের পোশাকের সম্ভারে। এ ছাড়া আর রাখতে পারেন, অলিভ, কমলা, বারগান্ডি। শীতের ফ্যাশনের জন্য যে ক্যাপগুলো তুলে রেখেছেন সেখান থেকে পাতলা কাপড়ে তৈরি যেগুলো, সেগুলো বের করে নিন। কামিজ, কুর্তি, ফতুয়া সবকিছুর সঙ্গেই অনায়াসে পরতে পারবেন। নিট প্যান্ট পরার এটাই সময়। যে কোনো ড্রেসের সঙ্গে বেছে নিতে পারেন নিট প্যান্ট। ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে আরামও দেবে। এ সময়ে ফুল সিস্নভ কিংবা কোয়ার্টার সিস্নভ ড্রেস বেশ উপযোগী। দিনে এবং রাতে অনায়াসে মানিয়ে যাবে। মেয়েদের ড্রেসগুলোতে কাজের ভেরিয়েশন লক্ষণীয়। পার্টি ড্রেসগুলোতে রাখা হয়েছে ভারী কাজের মিশ্রণ। যা এ আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এ ড্রেসগুলো। ঋতুভিত্তিক পোশাক জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে সহনীয় দাম। যেমন- হুডিশার্ট পাওয়া যাবে ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। হুডি টি-শার্ট ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় মিলবে। ফুল সিস্নভ টি-শার্ট পাওয়া যাবে ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। টি-শার্ট ২০০-৬০০, পলোশার্ট ৪৫০ থেকে ৯৫০ টাকায় মিলবে। টপসের মূল্য পড়বে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা। কর্মজীবী মানুষের জন্য অফিসিয়াল শার্ট এবং ফুল সিস্নভ সালোয়ার-কামিজের পসরা সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউসগুলো। শার্ট এবং সালোয়ার-কামিজ প্রস্তুত করা হয়েছে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই। শার্টের মূল্য ৭৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। সালোয়ার-কামিজের মূল্য পড়বে ৯৫০ থেকে ২৫০০ টাকা। আর গর্জিয়াস কাজের সালোয়ার-কামিজ পড়বে ১৮০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকা এবং টপস ৮০০ থেকে ২২০০ টাকা। আবহাওয়ার সঙ্গে যদি পোশাকের মানানসই না ঘটে, তাহলে অস্বস্তিতে ভুগতে হয়। সে অবস্থা থেকেই মুক্তি দেবে ঋতুভিত্তিক এ পোশাকগুলো।