হলুদ হিমু এবং মায়াবতী নীল রূপা

১৩ নভেম্বর শব্দের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। এই দিনে বিগত বছরগুলোতে হলুদ পাঞ্জাবি আর নীল শাড়ি পরা হিমু রূপাদের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। হয়তো এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না।

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

তাহমিনা সানি
প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চরিত্র রূপায়ণ সবসময়ই বিস্ময় জাগিয়েছে। তার চরিত্রগুলো পাঠকমহলে ব্যাপক আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের আশপাশের পানওয়ালা কিংবা মধ্যবিত্ত পিতা থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে শিল্পপতি তনয়া চিত্রলেখার মতো চরিত্ররা হুমায়ূন আহমেদের জাদুর স্পর্শে পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এমন আরও কয়েকটি চরিত্রের মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো হিমু, রূপা, মিসির আলি, শুভ্র, বাকের ভাই ইত্যাদি। তবে এর মধ্যে তরুণ-তরুণীদের কাছে হিমু আর রূপা চরিত্র পেয়েছে সবচেয়ে বেশি আবেদন। কেননা অদ্ভুত এক প্রেমের রসায়ন ফুটে উঠেছে কিংবদন্তি হুমায়ূন আহমেদের 'হিমু' চরিত্রে। হিমুর হাত ধরেই কলম জাদুকরের আরেকটি সৃষ্টি এই 'রূপা'। হিমু আর রূপাকে নিয়ে লেখা পড়তে পড়তে অনেকেই যেমন হিমু হতে চেয়েছে, তেমনি রূপাও হতে চেয়েছে অনেকে। বারবার আশাহত হয়েও যে আশা করা যায়, আমরা তা দেখেছি রূপার চোখে। বহুদিন নিখোঁজ থাকা হিমুর হঠাৎ টেলিফোনে প্রচন্ড খুশি রূপা হিমুর চাওয়া অনুযায়ী তৈরি হয়েছে বারবার। টেলিফোনে নীল শাড়ি আছে কিনা জানতে চেয়েছে হিমু। বলেছে, রূপাকে নীল শাড়ি পরে বারান্দায় এসে দাঁড়াতে। বাড়ির নিচের পথ ধরে হেঁটে যেতে যেতে এক ঝলক দেখবে সে রূপাকে। নিখুঁতভাবে তৈরি হয়েছে রূপা বারবার। নীল শাড়ি পরে, চুল বেঁধে নিয়ে, চোখে কাজল বুলিয়ে কী অধীর অপেক্ষায় অপেক্ষারত রূপাকে দেখেছি আমরা। আসছে ১৩ নভেম্বর শব্দের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। এই দিনে বিগত বছরগুলোতে হলুদ পাঞ্জাবি আর নীল শাড়ি পরা হিমু রূপাদের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না। ১৩ নভেম্বর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে আয়োজিত হতে চলেছে ' হুমায়ূন মেলা'। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে হাজারো হৃদয় স্বপ্নালু হবে তাদের পছন্দের চরিত্রে। ছেলেরা ফ্যাশন হাউসগুলোয় ঢুঁ মারতে পারেন হলুদ পাঞ্জাবির খোঁজে। মেয়েরাও নীল শাড়িতে সাজ-পোশাক গুছিয়ে নিলে অভিভূত হতে পারেন রূপা চরিত্রে। নীল শাড়ির সঙ্গে চোখ সাজাতে সবুজ আর নীল রংকে বেছে নিন। এই রং দুটি চোখের সাজে অন্যরকম মাত্রা এনে দেয়। নিঃসন্দেহে স্মোকি আই লুক মানিয়ে যাবে নীল পোশাকের সঙ্গে। গিস্নটার ব্যবহার করতে চাইলে সোনালি রং ব্যবহার করতে পারেন। চোখের শেড যে পোশাকের রঙের সঙ্গে পুরোপুরি মিলতে হবে তা কিন্তু নয়- ভিন্ন শেডের শ্যাডো নিন। গাঢ় রং মাঝ বরাবর দিয়ে, হালকা রংকে পাশে রেখে বেস্নড করুন। চমৎকার লাগবে আপনাকে। চোখে যদি ভারী সাজ দিয়ে থাকেন তবে অবশ্যই ঠোঁটে নুড কালার ব্যবহার করুন। লিপ বাম দিয়ে, নুড কালারের লিপস্টিক দিন। এরপর একটু গাঢ় রঙের লিপলাইনার এঁকে নিন। আর আপনার চেহারার মূল আকর্ষণ যদি ঠোঁটে ধরে রাখতে চান, তবে অবশ্যই লাল রং বেছে নিন। নীল পোশাকের সঙ্গে লাল লিপস্টিক অন্যরকম এক আবেদনের সৃষ্টি করে। চাইলে গোলাপি বা পিচ রংও ব্যবহার করতে পারেন। তবে হাতে একগোছা লাল চুড়ি বেশ মানাবে আপনাকে। সঙ্গে কপালে লাল টিপ। নীল ফতুয়া, গাউন, সালোয়ার-কামিজ পরলে গলায় পরতে পারেন লাল, কমলা বা গোলাপি রঙের মালা। আবার নীলের সঙ্গে সাদা অনুষঙ্গও অন্যরকম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে।