রুপার গহনায় নান্দনিক

রুপার গহনার মধ্যে দেখা যায় টিকলি, সীতাহার, মানতাসা, রতনচূড়, ঝুমুর, মাথার মুকুট, খোঁপার ক্লিপ, পায়ের নূপুর, কোমরের বিছা ইত্যাদি। এ ছাড়া স্কার্ফ, শাড়ি, ওড়নায় আটকানোর ক্লিপ, চুলের নানা ডিজাইনের ক্লিপসহ বেশকিছু গহনা চলছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের তৈরি এসব অলঙ্কার তরুণীদেরও বেশ পছন্দের। এগুলোর বাজারমূল্যও সাধ্যের ভেতরে থাকায় ক্রেতার সংখ্যাও কম নয়

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সময়ের পরিক্রমায় বেড়েছে রুপার চাহিদা ও আকর্ষণ
রুপার গহনার প্রচলন আমাদের দেশে সবসময় ছিল। তবে সময়ের পরিক্রমায় বেড়েছে এর চাহিদা ও আকর্ষণ। আজকাল রুপার অলঙ্কারের কদর ঘরে ঘরে। উৎসব, উপলক্ষভেদেও এর ব্যবহার দেখা যায়। যে কারণে এর চাকচিক্য আর বৈশিষ্ট্যেও যোগ হয়েছে আধুনিকতা। রুপার গহনা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে গেলেই নজর কেড়ে নেয় অসংখ্য ডিজাইন। বিয়ের কনের সাজে নানা রকম গহনার প্রয়োজন হয়। স্বণের্র উচ্চমূল্যের জন্য এখন কানের দুল, গলার নেকলেস, হাতের বালা, চুড়ি, আংটি ছাড়া অন্যান্য গহনায় রুপা ব্যবহার করার প্রচলন ব্যাপক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এতে স্বণের্র রং করা থাকে। এসব গহনার মধ্যে আছে টিকলি, সীতাহার, মানতাসা, রতনচূড়, ঝুমুর, মাথার মুকুট, খোঁপার ক্লিপ, পায়ের নূপুর, কোমরের বিছা ইত্যাদি। এ ছাড়া স্কার্ফ, শাড়ি, ওড়নায় আটকানোর ক্লিপ, চুলের নানা ডিজাইনের ক্লিপসহ বেশকিছু গহনা চলছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের তৈরি এসব অলঙ্কার তরুণীদেরও বেশ পছন্দের। এগুলোর বাজারমূল্যও সাধ্যের ভেতরে থাকায় ক্রেতার সংখ্যাও কম নয়। রুপার গোল্ড পেস্নটেড পাথর বসানো আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট, রুপার মল, গলার হার ইত্যাদির ব্যবহার বেড়ে চলেছে। বাজারে অক্সিডাইজ রঙের রুপার মলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফ্যাশন-সচেতন নারীদের কাছে রুপার গহনা এখন পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে। নারী ক্রেতাদের পাশাপাশি পুরুষের কাছেও রুপার ব্রেসলেট ও কানের রিং পাচ্ছে সমান জনপ্রিয়তা। শাড়ি কিংবা ফতুয়া, সাধারণ অনুষ্ঠান কিংবা বিয়েবাড়ি, বর্ষা কিংবা হেমন্ত সবকিছুর সঙ্গে তাল মেলাতে রুপার গহনার জুড়ি নেই। আর তাই তো বাঙালি নারীর পছন্দের তালিকায় এখন অবস্থান করে রুপার তৈরি সব গহনা। অনেকে আবার রুপার গহনায় গোল্ড পেস্নটের কাজ করিয়ে গহনায় আনছেন নতুনত্ব। ভারী কাজের গহনা হিসেবে গোল্ড পেস্নটের কাজ করা রুপার গহনা বেশ চলছে এখন। কোথায় পাবেন, কেমন দামে : রুপার গহনা বললেই প্রথমে চলে আসে দেশি হাউস আড়ংয়ের কথা। নানা ধরনের, নানা বাহারের রুপার গহনা পাবেন এখানে। রুপার মল, নাকফুল, আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট থেকে শুরু করে গলার হার পর্যন্ত নানা নকশার গহনা পাওয়া যাবে। দামনির্ভর করবে কী কিনছেন, তার ওপর। ডিজাইন ও আকারভেদে প্রতিটি রুপার নাকফুলের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কানের দুল ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। বালা ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। টিকলি দেড় হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ব্রেসলেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, খাড়ু ও বাজু ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, মাদুলি সেট আড়াই হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। গহনার সেট কিনতে খরচ হবে দশ হাজার থেকে পনের হাজার টাকার মধ্যে। তবে জাঁকজমকপূর্র্ণ গহনার সেট কিনতে হলে খরচ করতে হবে ৫০ হাজার টাকার বেশি। রুপার গহনার যত্নে জানা ভালো যে বিষয়গুলো- শখ করে রুপার গহনা বানালেন কিন্তু কিছুদিন ব্যবহারের পরই তা কালো হয়ে গেল। নিশ্চয়ই তখন মন খারাপ হবে আপনার। এর চেয়ে বরং জেনে নিন কি করে রুপার গহনার যত্ন নেবেন। বাইরে থেকে ফিরে এসেই রুপার গহনাকে বাক্সে রেখে দেবেন না। বরং কিছুটা সময় বাইরে বাতাসে রাখুন। এরপর টিসু্য পেঁচিয়ে সুন্দর করে রাখুন। মনে রাখবেন অন্যান্য গহনার সঙ্গে রুপার গহনাগুলো না রেখে সেগুলোকে আলাদা রাখুন। সোনা আর রুপার গহনা এক সঙ্গে রাখলে রুপার বর্ণ কালচে হয়ে যায়। রুপার গহনা কালো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তেঁতুল গুলে নিয়ে সেই পানিতে গহনা ১০-১৫ মিনিট রেখে ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এ ছাড়া হালকা গরম পানিতে সাদা টুথপেস্ট গুলিয়ে গহনা পরিষ্কার করুন। দেখবেন কালচে ভাব চলে যাবে। আরও একটা ভালো রুপার লালচে ভাব তুলতে পানিতে লবণ ও খাবার সোডা মিশিয়ে গহনা ২ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে হালকা পরিষ্কার করে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। দেখবেন লালচে ভাব কেটে গেছে। রুপার গহনার ওপর টমেটো ক্যাচাপ দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে নরম কাপড় দিয়ে আলতোভাবে ঘষে নিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। রুপার কালচে ভাব দূর করার জন্য চুলের কন্ডিশনার খুব ভালো মাধ্যম। তা ছাড়া তেঁতুল দিয়ে ঘষেও চকচকে করা যায়। গোল্ড পেস্নটেড গহনা কালো হয়ে গেলে সোনার দোকান থেকে রং করিয়ে নিন। হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়েও রুপার গহনা পরিষ্কার করে নিতে পারেন সহজে। সাজে এবং সৌন্দর্যে রুপার গহনা জায়গা করে নিয়েছে নিজের গুণে। হালকা-গাঢ় সব রঙের পোশাকের সঙ্গেই রুপার গহনা মানিয়ে যায় সহজে। সালোয়ার-কামিজ এবং ফতুয়ার সঙ্গেও রুপার বড় দুল ও নেকলেস বেশ চলে যায়। শাড়ির সঙ্গে পরার জন্যও বেছে নিতে পারেন রুপার ভারী গহনা। বাঙালি নারীর পছন্দে তাই রুপার গহনার অবস্থান শীর্র্ষে। রঙ বেরঙ ডেস্ক