ঢাকাইয়া খানাপিনা

ঢাকার খাবার-দাবারের ঐতিহ্য আর ইতিহাস বহু পুরানো। এখনো সেই খাবারের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পুরান ঢাকাবাসী। ঘ্রাণই মূলত পুরান ঢাকার অনেক মুখরোচক খাবারের একটি বৈশিষ্ট্য। সঙ্গে আছে কিছু বিশেষ মসলা আর বানানোর কারিগরির টুইস্ট!

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ঢাকার খাবার-দাবারের ঐতিহ্য আর ইতিহাস বহু পুরনো। এখনো সেই খাবারের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পুরনো ঢাকা। ঘ্রাণই মূলত পুরান ঢাকার অনেক মুখরোচক খাবারের একটি বৈশিষ্ট্য। সঙ্গে আছে কিছু বিশেষ মসলা আর বানানোর কারিগরির টুইস্ট! আদি ঢাকার বিশেষ বিশেষ খাবারের রেসিপি নিয়ে এবারের একুশে বইমেলায় আত্মপ্রকাশ করল স্বনামধন্য রন্ধনশিল্পী শাহনাজ ইসলামের রান্নাবিষয়ক বই 'আদি ঢাকাইয়া খানাপিনা'। আটশ টাকা মূল্যের বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় রচিত এই বইয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া তোড়াবান্দি খানার ইতিহাস ও খাবারের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এই বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রম্নব এষ। আগামী ১৮ ফেব্রম্নয়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় ধানমন্ডি ক্যাফে ফিফটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হবে বইটির প্রকাশনা উৎসব। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দেশের জনপ্রিয় রন্ধনবিদ কেকা ফেরদৌসী ও বিশেষ অতিথি থাকবেন মেহেরুন্নেসা ও প্রকাশক সময় প্রকাশনীর কর্ণধার ফরিদ আহমেদ। এ ছাড়া থাকছেন দেশের স্বনামধন্য শেফরা ও রন্ধন জগতের সব জনপ্রিয়মুখ। রান্নার জগতে শাহনাজ ইসলাম বেশ প্রিয়মুখ। যুগান্তর, আমাদের সময়, ডেইলি অবজারভার, সমকাল, যায়যায়দিন ও ইত্তেফাকে রেসিপি লিখছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল- বিটিভি, এনটিভি, চ্যানেল আই, একুশে টিভি, নাগরিক টিভি, এটিএন বাংলা, গাজী টিভি, চ্যানেল ২৪, মাছরাঙা টিভি ইত্যাদি সব চ্যানেলে রান্নার অনুষ্ঠান করছেন। তিনি বাংলাভিশনে 'আমাদের রান্নাঘর' নামক জনপ্রিয় রান্নার অনুষ্ঠানে ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত রন্ধনশিল্পী হিসেবে কাজ করে আসছেন। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তিনি ভারতের জনপ্রিয় চ্যানেল জি-বাংলা ও আকাশ ৮-এ রান্নার প্রোগ্রাম করে অনেক সুনাম অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি জনপ্রিয় অনন্যা ম্যাগাজিন, ক্যানভাস, দি পেইজ, আনন্দ ভুবন, রোদসী, সাপ্তাহিক, আনন্দ আলো ম্যাগাজিনের নিয়মিত রেসিপি লেখিকা। কলকাতার জনপ্রিয় ফুড ম্যাগাজিন হ্যাংলা হেসেলে ২০১৫ থেকে নিয়মিত রেসিপি লিখে আসছেন। আজ রঙবেরঙের পাঠকদের জন্য বিশেষ একটি ঢাকাইয়া রান্নার রেসিপি দিলেন গুণী এই রন্ধনশিল্পী। মুরগির মুলতানি কোরমা উপকরণ: দেশি মুরগি ২টি, পোস্তদানা বাটা ২ চা-চামচ, আদা বাটা ২ টেবিল-চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল-চামচ, ঘি ১ কাপ, হলুদ আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, নারকেলের ঘন দুধ ৪ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, চিনি ১ চা-চামচ, ছোট এলাচ ৪টি, দারুচিনি ৪ টুকরা, তেজপাতা ২টি, তেঁতুলের মাড় ১ টে চামচ। প্রণালি হাঁড়িতে ঘি দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে আদা, রসুন, হলুদ, গরম মসলা ও লবণ দিয়ে কষিয়ে মুরগি দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। মুরগি কষানো হলে তাতে আধা কাপ নারকেলের দুধ রেখে বাকিটা ঢেলে দিয়ে চিনি দিতে হবে। পোস্তদানা বাটা আধা কাপ নারকেলের দুধে দিয়ে তার সঙ্গে মিশিয়ে ছেঁকে মুরগির ঝোলের মধ্যে দিতে হবে। তারপর তেঁতুলের মাড় মিশিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। রঙ বেরঙ ডেস্ক