সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান জীবের সন্ধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান জীবের সন্ধানে নাসার প্রকল্পটি যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি থেকে বড় ধরনের অনুদান পেয়েছে। কিংবদন্তি পদাথির্বজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকারী রাশিয়ান ব্যবসায়ী ইউরি মিলনার এবং বিখ্যাত মহাকাশবিষয়ক পদাথির্বজ্ঞানী ও মহাবিশ্ব তত্ত¡বিদ লডর্ মাটির্ন রিস গতকাল সোমবার ‘ব্রেকথরু ইনিশিয়েটিভস’ নামে এই প্রকল্পের ঘোষণা দেন। বৃদ্ধিমান জীবের সন্ধানে নাসার এই প্রকল্প আগে ‘ব্রেকথরু লিসন’ নামে পরিচিত ছিল। নতুন প্রকল্প ‘ব্রেকথরু ইনিশিয়েটিভ’-এর আওতায় আগামী ১০ বছরে ১০ কোটি মাকির্ন ডলার দেবেন ইউরি মিলনার। আর এই অথের্ বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি ও পৃথিবীর সেরা প্রযুক্তির টেলিস্কোপ বানাতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। সোমবার লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়। পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব সন্ধানে এখন পযর্ন্ত এটাই সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক অভিযান। ৭৩ বছরের হকিং প্রকল্প উদ্বোধনের সময় দেয়া বক্তৃতায় বলেন, ‘সব সময়ের মতো এই মহতী প্রকল্পেও আমার আশীবার্দ রইল। আমরা মনে করি প্রাকৃতিকভাবেই পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। ফলে মহাশূন্যের কোথাও না কোথাও হয়তো প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তারা হয়তো আমাদের জীবনের ওপর নজর রাখছে!’ এলিয়েন বা ভিনগ্রহী খেঁাজার চেষ্টা বহুদিনের। তা নিয়ে জল্পনাও অনেক। তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে এবার তা শুরু হলো জোরকদমে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এমন মেসেজ উদ্ভাবন করা হবে যার মাধ্যমে ভিনগ্রহীদের কাছে সহজেই বাতার্ পৌঁছানো যাবে। যিনি সবচেয়ে ভালো মেসেজ দিতে পারবেন তাকে ১০ লাখ ডলার পুরস্কারও দেয়া হবে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারী ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক ইউরি মিলনার ফেসবুকের প্রথম দিককার উদ্যোক্তাদের একজন। অনুকরণ করার ক্ষমতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক শিকারের গলার স্বর অনুকরণ করতে পারে আমেরিকার এক ধরনের বনবিড়াল প্রজাতি। সম্প্রতি ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটি ও ফেডারেল ইউনিভাসিির্ট অব আমাজনের একদল গবেষক এমন দৃশ্য ধারণ করেছেন। পাইড টেমারিন নামে পরিচিত কাঠবিড়ালির মতো ছোট আকারের বানরকে ফঁাকি দিতে বনবিড়াল এ রকম কৌশল ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। কৌশল ব্যবহার করে বনবিড়াল শিকারের ডাক নকল করে এমন ঘটনা আসলে অতিসাম্প্রতিক আবিষ্কার। এটি জানানো সম্ভব হয়েছে মিরর নিউরন সম্পকের্ বিজ্ঞানীদের গভীর জ্ঞানের কারণে। বিজ্ঞানীরা জানান, ব্রাজিলের আমাজন বনের ফ্লোরেস্টাল এডলফো ডিউক অংশ থেকে গবেষকরা এ বিরল দৃশ্য ধারণ করতে সক্ষম হন। এ সময় তারা নিশ্চিত হন আমাজনের জাগুয়ার, পুমাসহ বিড়াল প্রজাতির অন্য সদস্যরাও সেখানকার প্রাইমেটদের গলার স্বর নকল করে। আর এভাবেই এসব শিকারি ছলে শিকারকে তাদের হাতের নাগালে নিয়ে আসে। বিজ্ঞানীদের নতুন এ পযের্বক্ষণ নিয়ে নিউট্রপিক্যাল প্রাইমেটস জানাের্লর জুন সংখ্যায় এক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। এতে জানানো হয়, ২০০৫ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম এমন ঘটনার কথা জানতে পারেন। সে সময় ধারণ করা দৃশ্যে পালানোর বদলে বানরকে দল বেঁধে গাছ থেকে নিচে নেমে এসে ডাকের উৎস খঁুজতে দেখা গিয়েছিল। গবেষক ফেবিও রোচের মতে, সাধারণত বিড়াল শারীরিক সামথের্্যর দিক দিয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয় কিন্তু এদের গলার স্বর নকল করার ঘটনা থেকে বোঝা যায় এরা কতটা চতুর। এ বিষয়ে আরো অনেক গবেষণার দরকার রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বনবিড়ালের এ বানরের ডাক অনুকরণের সঙ্গে মিরর নিউরন সম্পকর্যুক্ত। মনোযোগ প্রক্রিয়ায় ও মিরর নিউরন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক মস্তিষ্কের যে কোনো কাযর্ক্রম ব্যাখ্যার জন্য কাজটির সঙ্গে সম্পকির্ত স্নায়বিক সাকির্ট আবিষ্কার অত্যন্ত তাৎপযর্পূণর্। যেমন ভাষার সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক সাকির্ট আবিষ্কার করে বিজ্ঞানী স্টেভেন পিঙ্কার হয়েছেন পৃথিবী বিখ্যাত। আবার স্মৃতি ও শিক্ষার সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক সাকির্ট আবিষ্কার করে বিজ্ঞানী এরিক ক্যান্ডেল পেয়েছেন নোবেল পুরস্কার। তাই অনায়াসেই বলা যায়, মিখাইল পসনারের মনোযোগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত স্নায়বিক সাকির্ট বিশেষ গুরুত্বপূণর্। এক বা একাধিক সুনিদির্ষ্ট কাযর্ক্রম পরিচালনার জন্য যখন বেশ কিছু স্নায়ু পরস্পরের সঙ্গে সিন্যাপস বরাবর সংযুক্ত হয় তখন ওই সংযুক্ত স্নায়ুগুলোকে একত্রে স্নায়বিক সাকির্ট বলে। স্নায়বিক সাকির্ট কাজ করে সাকিের্ট থাকা স্নায়ুগুলোর মধ্যে বিরাজমান জিনের সাহায্যে। তাই কোনো স্নায়বিক সাকির্ট সম্পকের্ ভালোভাবে জানতে হলে ওই স্নায়বিক সাকিের্টর সঙ্গে জড়িত জিনগুলো সম্পকের্ ভালোভাবে জানতে হবে। মনোযোগের স্নায়বিক সাকিের্টর সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৮৫টি জিন আবিষ্কারে ভ‚মিকা রেখে মিখাইল পসনার কতটা গুরুত্বপূণর্ কাজ করেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।