শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে দ্রম্নত বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা

নতুনধারা
  ০২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

করোনার সময়কালে ঘরবন্দি জীবন। অথচ মানুষ চায় কাজ করতে। ফ্রিল্যান্সিং সেই সুযোগটাকে যেন আরও বেশি করে দিয়েছে। স্বাধীন পেশা হিসেবে বাংলাদেশে দ্রম্নত বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয়তা। বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা ফ্রিল্যান্সাররা অন্যান্য খাতের মতো নগদ প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন। আর আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, প্রণোদনা পেলে ২০২৫ সাল নাগাদ ফ্রিল্যান্সিং থেকেই বছরে আসবে ৯ হাজার কোটি টাকা। ঢাকার বাইরে এ খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে দ্রম্নত গতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পরামর্শ দিচ্ছেন প্রযুক্তি খাত বিশ্লেষকরা।

শিক্ষার্থীরাই বেশি অংশগ্রহণ করলেও সব বয়সি মানুষ এখন যুক্ত হচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে। গ্রাফিক্স ডিজাইন, থ্রি-ডি, টুডি মডেলিংসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক কাজের মধ্যে থেকে বেছে নিচ্ছেন পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী অনলাইন টাস্ক। রাজধানীসহ সারাদেশে গড়ে ওঠা সরকারি-বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কমসহ বিশ্বসেরা অনলাইন মার্কেট পেস্নসে বিভিন্ন দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা। প্রতিমাসে একেকজন আয় করছেন, বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা।

এক ফ্রিল্যান্সার বলেন, আমি প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করেছি। যারা সফটওয়ার প্রভাইড করছে, তারা ১০ পারসেন্ট কমিশন পাচ্ছে।

ঢাকা শহর ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বর্ যাংকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এ পেশাকে আরও এগিয়ে নিতে যৌথ উদ্যোগে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শাখা স্থাপনের কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

ফ্রিল্যান্সারদের পরিচয়পত্র দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এখন সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারের আয়ে নগদ প্রণোদনার দাবি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের যদি সাড়ে ১০ পারসেন্ট ইনটেসিভ দেওয়া হয়, আজকের এ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের আয় ২০২৫ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংসহ আইটি খাতের বার্ষিক রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে আয় ৫০০ কোটিতে নিয়ে যেতে চায় সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে