চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনন্য উদ্ভাবন কৃত্রিম চোখ। চোখহীন মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে কৃত্রিম চোখের ব্যবহার বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বংশগতভাবে চোখের রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে কৃত্রিম চোখ বেশ কাজ করে। কৃত্রিম চোখ স্থাপনের শল্য চিকিৎসক গ্রেগ কোকামে বলেন, অপারেশনের পর থেকেই জাপানি বৃদ্ধা নারীটি কক্ষের মধ্যে কোনো হাঁটাচলা বা পরিবর্তন ধূসর রঙে দেখতে পান।

যুক্তরাষ্ট্রে অন্ধ এক নারীর চোখে স্থাপন করা হয়েছে কৃত্রিম চোখ। এর ফলে স্বাভাবিকের মতোই দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন ওই অন্ধ নারী। কৃত্রিম চোখে স্বাভাবিকের কাছাকাছি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

জাপানের ৭২ বছর বয়স্ক নারীর চোখে 'বায়োনিক আই' লাগিয়ে সাফল্য পাওয়া গেল। তিনি প্রায় দুই বছর ধরে অন্ধ ছিলেন। তবে ওই নারীর ব্যাপারে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধবিষয়ক সংস্থা এফডিএ কৃত্রিম চোখ লাগানোর শল্যচিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছে। তবে এই চিকিৎসা এখনো বেশ ব্যয়বহুল। একটি অপারেশনে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি বদলে দেবে সবকিছু?

গবেষকরা বলেন, জাপানি নারীর চোখের রেটিনায় একটি বৈদু্যতিক যন্ত্র স্থাপন করা হয়। এরপর একটি চশমার কাচের সঙ্গে এটি তারহীনভাবে যুক্ত করা হয়। শল্যচিকিৎসার দুই বছর পর তিনি নতুন যন্ত্রাংশের মাধ্যমে দেখতে পান।

গবেষকরা বলেন, কৃত্রিম চোখের মধ্যে কয়েকশ কোটি গ্রাহক যন্ত্র থাকে। আর মাত্র ৬০ পিক্সেলের যন্ত্রে একজন অন্ধ বড় বস্তু দেখতে পারে। টেবিল, চেয়ার অথবা কোনো ছুরির পার্থক্য সে বুঝতে পারে। এখন দেখার বিষয় মস্তিষ্ক বিষয়টিকে কীভাবে নেয়।

গবেষকরা স্বীকার করেন, এখনো জাপানি নারীটির দৃষ্টিতে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তবে আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে এ প্রযুক্তি আরও উন্নত হবে। গবেষকদের মতে, ভবিষ্যতে অন্ধত্ব দূরীকরণে বায়োনিক আই আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।