বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিসিটিভি ক্যামেরা

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বর্তমান যুগে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার ও চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছেই। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কাজে সিসি কামেরার প্রচলন। সাধারণত ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরাকে সিসিটিভি ক্যামেরা বলা হয়। একটি ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা নজরদারি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য চিত্র বা রেকর্ডিং উৎপাদন করতে পারে। সিসিটিভি ক্যামেরার মূল উদ্দেশ্য হলো আলো ক্যাপচার এবং এটিকে একটি ভিডিও সিগন্যালে রূপান্তর করা।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও বাসাবাড়িতে নিরাপত্তাজনিত কারণে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়। এই ক্যামেরার সাহায্যে যেকোনো দুর্ঘটনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিরূপণ করা সহজ হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে আমরা খুব সহজেই আমাদের ঘরে বা প্রতিষ্ঠানে কী ঘটছে তা জানতে পারি।

এক সময় অ্যানালগ ক্যামেরার প্রচলন থাকলেও এখন সর্বত্রই ডিজিটাল ক্যামেরা দেখা যায়।

এই ক্যামেরাগুলোর জন্য ভিডিও ক্যাপচার কার্ডের প্রয়োজন হয় না। কারণ এগুলো ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহার করে কাজ করে যা সরাসরি কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা যায়। ডিজিটাল রেকর্ডিংগুলো সংরক্ষণ করতে প্রচুর পরিমাণে হার্ড ড্রাইভের স্থান গ্রহণ করা হয় এবং কয়েক ঘণ্টা অবসরিত ভিডিও দ্রম্নত একটি হার্ড ড্রাইভ পূরণ করতে পারে। সংকোচিত রেকর্ডিংগুলো দেখতে দুর্দান্ত লাগতে পারে তবে একটানা নিয়মিত সংকোচিত মানের রেকর্ডিং চালানো যায় না।

বর্তমানে অনেক রকমের সিসি ক্যামেরা পাওয়া যায়। যেমন- সাধারণ সিসি ক্যামেরা, ডোম ক্যামেরা, হিডেন ক্যামেরা, স্পাই ক্যামেরা, মিনি ক্যামেরা, স্পিড ডোম পজিটিড ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা, ডে-নাইট ক্যামেরা, জুম ক্যামেরা, ভেন্ডাল প্রম্নফ ক্যামেরা, অ্যারে সিসি ক্যামেরা, বুলেট ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা, পেন ক্যামেরা, বোতাম ক্যামেরা এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়াইফাই ক্যামেরা। ডোম সিসি ক্যামেরা- এটি সাধারণত ঘরের সিলিংয়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি এক জায়গা থেকে তার পিক্সেল অনুযায়ী ভিডিও ক্যাপচার করে থাকে। এটির সঙ্গে অটো এলএডি লাইট থাকায় অন্ধকারে ভিডিও করতে পারে। আউটডোর সিসি ক্যামেরা- এটি সাধারণত বাড়ির বাইরে লাগানো হয়। ঝড়, বৃষ্টিতে কোনো সমস্যা হয় না। রাস্তা, ছাদে, দেওয়ালে বা পিলারে এই ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। অ্যায়রে সিসি ক্যামেরা- দূরের ভিডিও ক্যাপচার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, টাওয়ারে, ছাদে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ব্যবহার করে নির্দিষ্ট দূরত্বে ভিডিও করা হয়। ওয়াইফাই সিসি ক্যামেরা- এটি প্রোটেবল ক্যামেরা। খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার লাইভ ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে এই ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে। ড্রোন ক্যামেরা- এই ক্যামেরা মুক্ত বাতাসে খোলা জায়গা ভূমি থেকে শূন্যে ওড়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ বহুক্ষেত্রে ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার অনেক বেড়েছে।

এছাড়া ডে-নাইট ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা, পেন ক্যামেরা, বাটন ক্যামেরা এগুলোর ব্যবহারও অনেক হারে বেড়েছে। তবে চাহিদার দিক থেকে ওয়াইফাই সার্পোট নিতে পারে ক্যামেরার চাহিদা বেশি। দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত রিমোট ক্যামেরাও এখন বেশ প্রচলিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে