নাসার মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ছবি ঘোষ
২০৩০ সালের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গল গ্রহে বসবাসের জন্য মানুষ পাঠাবে মাকির্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর এজন্য মঙ্গল গ্রহে মানুষ্যবাহী বিশেষ মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’ নিমাের্ণর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবার নাসা তাদের ভবিষ্যত মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’ এর কিছু ছবি এবং একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যা একটি আভাস জুগিয়েছে যে ২০১৮ সালে নিমার্ণ শেষ হওয়ার পর ‘ওরিয়ন’ দেখতে কেমন হবে। নাসা পরিকল্পনা করছে এই মহাকাশযানটিই কোনো একদিন মানুষকে মঙ্গলে নিয়ে যেতে পারবে। স্পেস লঞ্চ সিস্টেমের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বঙ রকেটের সাহায্যে এটিকে মঙ্গল অভিযানে পাঠাবে নাসা। এই মহাকাশযানটিতে সহজ তিনটি স্ক্রিন সেটআপ করা হয়েছে যা প্রায় ২,০০০ সুইচ এবং নিয়ন্ত্রণ স্পেস শাটলের একটি ভালো বিকল্প হিসেবে পরিকল্পিত এবং এতে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর উপস্থিতি রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই স্পেস এজেন্সিটি কয়েক ধাপে ‘ওরিয়ন’ এর নকশা প্রণয়ন করেছে শুধুমাত্র এটা দেখার জন্য যে, মহাকাশচারীরা এটি ব্যবহার করতে পারেন কিনা, ব্যথর্তার দৃশ্যকল্পের মতো অ্যাপোলো ১৩-এর ক্ষমতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন কিনা। আরপিএলের ডেপুটি জেফ ফক্স বলেন, ‘আমাদের এই নকশা প্রণয়ন এর ক্ষেত্রে প্রধান যে বিষয়লো বিবেচ্য ছিল তা হলো ক্রু এবং মিশন কন্ট্রোলার এর মধ্যে প্রথম যোগাযোগের সময় কি ঘটে তা দেখা। ‘আমরা দেখতে চাইছি কিভাবে ক্রু ইন্টারফেস সিস্টেম যা আমরা নিমার্ণ করছি তা কীভাবে ভূমিতেই আমাদের গবেষক দলের সঙ্গে আচরণ করে।’ তিনি বলেন, ‘ওরিয়ন’ এ একটি অত্যাধুনিক ডিসপ্লে এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও এটিতে পৃথিবী থেকে দূরে দীঘর্ মিশনের ক্ষেত্রে ক্রুদের সাহায্য করার জন্য উন্নত একটি সফটওয়্যার থাকবে যেন ঐখানে তারা পৃথিবীর নিকট কক্ষপথের চাইতে আরো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। নাসার নতুন মহাকাশযানটিতে সফটওয়্যার থাকবে যাতে ক্রুরা মাত্র তিনটি প্রদশির্ত স্ক্রিনকে ব্যবহার করে বেশিরভাগ সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে এই যানটিকে চালনা করতে পারে। নাসার হিউম্যান ফেক্টর বিভাগের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী হাইফা মুসা বলেন, ‘আমরা একটি সম্পূণর্ নতুন সফটওয়্যার মডেল নিয়ে কাজ করেছি যা একটি মিশনের সময় ঘটা কোনো দুঘর্টনার ক্ষেত্রে বা মিশনটি ব্যথর্ হলে এবং এর বাতার্ ফ্লাইট কনট্রোলারের জন্য প্রদশের্নর ক্ষেত্রে করা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে।’ ফেব্রæয়ারিতে চালিত এই পরীক্ষামূলক চালনায় দুই মহাকাশচারী এবং বিভিন্ন ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা সম্পৃক্ত ছিল যার মধ্যে ছিলেন একজন ফ্লাইট পরিচালক, ক্যাপসুল বা ক্যাপকম ক্রুর সঙ্গে যোগাযোগ করার সহকারীরা, বৈদ্যুতিক কন্ট্রোলাররা যারা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন এবং পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ এবং লাইফ সাপোটর্ উপাদান পরিচালনায় জড়িতরা। মুসা বলেন, একইসঙ্গে আমরা ‘ওরিয়ন’ এর একটি ব্যথর্ দৃশ্যকল্প নিয়ে কাজ করেছি যেখানে ‘ওরিয়ন’ এর পাওয়ার সিস্টেম কাজ করছিল না। এই পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধানে ট্রাবলশ্যুটিংয়ের দরকার ছিল যেন পাম্প এবং অন্যান্য সিস্টেম আবার কাযর্কর হয়ে ব্যাকআপ দেয় এবং ক্রুরা বেঁচে থাকতে পারে।