ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৫জি চালু করতে যাচ্ছে। আর এ বছরেই সারা দেশ ৪জি নেটওয়ার্কের কাভারেজে যাচ্ছে। সম্প্রতি চতুর্থ শিল্প বিপস্নব : বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২৩ সালে আসছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। ২১ সালেই হাওড়-বিল-চর পার্বত্য অঞ্চল ক্যাবল/স্যাটেলাইট সংযোগের আওতায় চলে আসবে। চতুর্থ শিল্প বিপস্নব অথবা তার পরের সময়ের জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির জন্য যতটুকু প্রস্তুতির দরকার আমরা তা শেষ করেছি, এক্ষেত্রে যেসব ত্রম্নটি আছে তা চলতি বছরের মধ্যে দূর হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউপিইউর সদস্যপদ অর্জন এবং ৭৫-এর ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা ডিজিটালাইজেশনের বীজ বপণ করে গেছেন।

ডিপফেক ভিডিও নিয়ে বিশ্বজুড়ে অস্বস্তি

শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথা উলেস্নখ করেন মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রাথমিক স্তর থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রযুক্তিশিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী তাদের আগামী দিনের সম্পদে পরিণত করতে হবে।

তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপস্নবের জন্য দক্ষ জনসম্পদ জরুরি। এ লক্ষ্যে ৩৯টি হাইটেক পার্ক নির্মাণসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।