শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিউজিক, চিকিৎসাবিজ্ঞানের সহায়ক

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
  ২০ মার্চ ২০২১, ০০:০০

ব্রিটিশ চিকিৎসাসাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণাবিষয়ক এক রিপোর্টে বলা হয়, অপারেশনের সময় ও তার পরে যেসব রোগী মিউজিক শোনেন, তাদের ব্যথা-বেদনা ও কষ্ট কম হয় এবং তারা অপেক্ষাকৃত তাড়াতাড়ি সেরে ওঠেন। এমনকি এদের পুরোপুরি সংজ্ঞালোপ করে অপারেশন করা হলেও এ মিউজিকের প্রভাব থেকে যায়।

এ গবেষণায় অংশ নেওয়া বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণালব্ধ ফলকে বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতালে মিউজিকের যন্ত্র ও পেস্নলিস্ট রাখার সুপারিশ করেছেন। সে পেস্নলিস্টে উচ্চাঙ্গসংগীত থাকতে পারে, নন মিউজিক থাকতে পারে, যার যেটা পছন্দ। বস্তুত এমন মিউজিকের ব্যবস্থা অনেক ওটিতেই আছে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, সার্জনরা তাদের পছন্দের মিউজিক শুনতে শুনতে রোগীর অপারেশন করলে সে অপারেশন বেশ ভালো হয়। কারণ পছন্দের মিউজিক তাদের অপারেশনের কাজে মনোসংযোগ করতে ও সেরা নৈপুণ্যের প্রয়োগ ঘটাতে সাহায্য করে।

রয়াল কলেজ অব সার্জনসের প্রেসিডেন্ট জন বস্ন্যাক বলেন, 'আমিসহ অনেক সার্জন ওটিতে আবহসংগীত কাজে লাগিয়ে এমন এক প্রশান্ত পরিবেশ রচনা করি, যা সচেতন রোগীমাত্র প্রশংসা না করে পারে না।' অবশ্য সবাই এ ব্যাপারে একমত যে, কিছু কিছু মিউজিক ওটির জন্য উপযোগী নয়। তা ছাড়া মিউজিকের পর্দাটাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উঁচু পর্দায় মিউজিক বাজলে ওটির স্টাফদের মধ্যে যোগাযোগের অসুবিধা হতে পারে।

গবেষকরা অপারেশনের সময় এবং তার আগে-পিছে প্রায় ৭ হাজার রোগীর ওপর মিউজিকের ৭০টি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালান। এদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্নিগ্ধ ও মিষ্টি সুরের মিউজিক পরিবেশন করা হয়। দেখা যায়, এতে তাদের ধকল এবং ব্যথা-বেদনা উপশম হয়েছে। তবে তাই বলে হাসপাতালে অবস্থানের সময় কমেনি।

ল্যানসেট সাময়িকীর সেই নিবন্ধের লেখিকা ডা. ক্যাথরিন মিডস বলেছেন, হিপ সার্জারির ৩ ঘণ্টা পর মিউজিক তার বেদনা লাঘবে সহায়ক হয়েছে। ব্যথার জায়গাটিতে আরামের পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। তার মতে মিউজিক হলো ব্যথা-বেদনা ও কষ্ট লাঘবের এক সস্তা ও নিরাপদ কৌশল, যা অস্ত্রোপচারের পর সবারই ব্যবহার করা উচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে