আমাদের দেশ ক্রমেই একটি উন্নয়নশীল দেশের দিকে ধাবমান হচ্ছে। তাই সময়ের চাহিদায় ই-কমার্সের চাহিদা যে হারে বাড়ছে, তাতে এখন থেকেই যারা এই খাতে সময় দিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারবে স্বাভাবিকভাবেই তারা এগিয়ে থাকবে।
আগামী ২৫ বছরে বাংলাদেশে আনুপাতিক হারে তরুণদের সংখ্যা সর্বাধিক বৃদ্ধি পাবে। এসময় যদি ই-কমার্স খাতের বিকাশে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যায়, তবে বাংলাদেশের জন্য তা হবে একটি অপার সম্ভাবনাময় দিক। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির ৬৫% মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নিচে।
শুধু জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীতে ৮ম নয়; বরং যুব সম্প্রদায়ের সংখ্যার দিক থেকে বৃহৎ একটি দেশ। তাই যুবসমাজকে কাজে লাগাতেই হবে।
শুধু উচ্চবিত্ত নয়, মনে রাখার বিষয় যে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণিই ই-কমার্স কর্মকান্ডের মূল চালিকাশক্তি। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রম্নত বাড়ছে।
তাই আশার কথা হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা একটি দেশের ই-কমার্স খাতের অবস্থান নির্ণয়ের প্রধান সূচক হিসেবে কাজ করে।
দেশে ই-কমার্স কর্মকান্ড দ্রম্নত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি মাসে নতুন নতুন সাইট তৈরি হচ্ছে। যা ব্যবহার করে অনেক ক্রেতা সন্তুষ্ট।
ই-কমার্সের ক্রেতারা মূলত শহরকেন্দ্রিক। প্রায় ৮০ শতাংশ ক্রেতা ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের।
এদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ ঢাকার, ৩৯ শতাংশ চট্টগ্রামের এবং ১৫ শতাংশ গাজীপুরের অধিবাসী। অন্য দুটি শহর হলো- নারায়ণগঞ্জ ও সিলেট। এবং ৭৫ শতাংশ ই-কমার্স ব্যবহারকারীর বয়স ১৮-৩৪ বছর।
চাকরির থেকে ই-কমার্স কেন গুরুত্বপুর্ণ তা ফ্রান্সের একটা জরিপ দেখলে বোঝা যায়। ফ্রান্সের এক জরিপে দেখা যায়, ই-কমার্সের ব্যবসা পরিচালনার প্রকৃতির কারণে একটি চাকরি হারালে ২.৪টি নতুন চাকরি প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি হয়।
তাই বসে থাকার কোনো মানে হয় না। আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করার জন্য ই-কমার্সকে কাজে লাগানোর এখনই সময়।
শুধু যুবসমাজ নয়- যার হাতে সময় আছে, আর নিজের একটি কম্পিউটার, ট্যাব, অথবা স্মার্ট ফোন আছে, সে চাইলেই নিজেকে কাজে লাগাতে পারেন।
আর নিজের ও দেশের অর্থনীতিতে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন অনায়াসে।
লেখক :গল্পকার, শিশুসাহিত্যিক,
অ্যাডমিন- ই-কমার্স এক্সপ্রেস বাংলাদেশ।