তথ্যপ্রযুক্তির এক বিরাট সমস্যা হ্যাকিং

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রযুক্তি যত এগিয়েছে সামনের দিকে ততই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে আমাদের তথ্যগুলো। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে সারাবিশ্বে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়ে গেছে। যেমন- ফেসবুক, টুইটার, ইয়াহু, জিমেইল প্রভৃতির মাধ্যমে সারাবিশ্বের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়ে থাকে। তবে প্রযুক্তির ধাপ এগিয়ে যাওয়ায় যত ইতিবাচক সুবিধা আমরা ভোগ করছি, তেমনি অনেক সমস্যারও সৃষ্টি হচ্ছে। আজকের আলোচনার বিষয় হলো হ্যাকিং। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির এক বিরাট সমস্যা হ্যাকিং। সারাবিশ্বে প্রতিদিনই কেউ না কেউ হ্যাকিংয়ের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যেমন- ফেসবুক থেকে শুরু করে সরকারি সাইটসহ বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে হ্যাকাররা অবৈধ উপায়ে গড়ে তুলছে টাকার পাহাড়, আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে হ্যাকিংকে বলা হয় সাইবার ক্রাইম। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর এক মিলিয়ন টাকা হ্যাকাররা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিয়ে যায়। আর যারা হ্যাক করেন তারা সাধারণ মানুষের মতো নন। তাদের মধ্যে অনেক মেধা। অত্যাধুনিক সফটওয়্যার দ্বারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্যের ক্ষতিসাধনের নাম হচ্ছে হ্যাকিং। হ্যাকাররা এত চতুর ও চালাক যে, মুহূর্তের মধ্যে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং যাবতীয় ফাইল হ্যাক করে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যারা কম্পিউটারের প্রোগ্রামের ওপর অভিজ্ঞ তারা মূলত হ্যাকিং সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। হ্যাকাররা হ্যাক করার জন্য মূলত বিভিন্ন প্রক্সি ব্যবহার করেন, যাতে তাদের ট্রেস করা না যায়। ফেসবুক হ্যাকিংয়ের জন্য যেসব পন্থা অবলম্বন করা হয় সেগুলো হলো ফিসিং, ব্রম্নটোফোর্স, মাইস্ফোয়াল প্রভৃতি। হ্যাকিংয়ের জন্য কম্পিউটার, ইন্টারনেট প্রভৃতি বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হয়। শিক্ষণীয় ক্ষেত্রে হ্যাকিং করা খারাপ কিছু নয়, তবে এটা যদি অন্যের ক্ষতির কারণ হয় এবং আপনি ধরা পড়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনার ওপর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার। কখনো অন্যায়ভাবে হ্যাকিং করে অন্যের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নেওয়া উচিত নয়। হ্যাকিং প্রতিরোধে সরকারের আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এবং সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক কম্পিউটার ও ইন্টারন্টে ব্যবহারকারীর উচিত অনলাইন সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা।