বিস্ময়কর জ্যোতিষ্ক ধূমকেতু

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
ধূমকেতু আকাশের এক অতি বিস্ময়কর জ্যোতিষ্ক। নক্ষত্রের চতুর্দিকে দীর্ঘ পথে এগুলো পরিভ্রমণ করে। এরা গ্রহের মতো নক্ষত্রের চারদিকে ঘুরতে থাকে। তবে এদের গতি গ্রহের বিপরীত দিকে। ধূমকেতুর গতি ঘড়ির কাঁটার চলন গতির দিকে। সূর্যের নিকটবর্তী হলে প্রথমে অস্পষ্ট মেঘের মতো দেখা যায়। পরে ক্রমেই এগুলো উজ্জ্বল কেন্দ্রবিন্দু এবং কুয়াশার আবরণে আচ্ছাদিত কেশের মতো দৃষ্টিগোচর হয়। এর কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসে উজ্জ্বল ঝাঁটার মতো দীর্ঘ বাষ্পময় লেজ বা পুচ্ছ। বিজ্ঞানীরা এর ৫টি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছেন। গঠনের দিক থেকে নিউক্লিয়াস হলো ধূমকেতুর মূল কেন্দ্র, যা পানি বা গ্যাসের জমাট বরফ দিয়ে তৈরি। একে ঘিরে যে মেঘটি থাকে তাকে বলে কোমা। যা পানি, কার্বন ড্রাইঅক্সাইড দিয়ে তৈরি। এর পিছনে থাকে ঝাঁটার মতো ডাস্ট টেইল বা ধূলার লেজ। এই লেজ আয়ন সৃষ্টিকারী গ্যাস দ্বারাও তৈরি হতে পারে। এই লেজের দৈর্ঘ্য লক্ষ থেকে কোটি কোটি কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি ১০ কোটি কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। কোনো কোনো ধূমকেতুর মাথা বা কেন্দ্র, গ্রহ থেকেও বড় এবং এগুলো একাধিক লেজ বিশিষ্ট হতে পারে। আকারে এগুলো বিশাল হলেও সৌরজগতে এগুলো প্রভাব নগণ্য। কারণ এগুলো অনেকদূর দিয়ে ও বিশাল দীর্ঘ কক্ষ পথে, নক্ষত্রকে পরিভ্রমণ করে। ফলে মহাকাশে পরিভ্রমণকালে নিকটবর্তী জ্যোতিষ্কমন্ডলীর ওপর ধূমকেতু কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। তাছাড়া এরা হালকা উপাদানে গঠিত। সূর্যকে কেন্দ্র করে যে মহাজগৎ পরিভ্রমণ করছে তাকে বলা যায়- একটি ডিম্বাকৃতির বৃত্ত মাত্র। ৮ নাম্বার গ্রহ নেপচুন, বামন গ্রহ পস্নুটো। এ দুটি গ্রহের মধ্যবর্তী অঞ্চলের পরিমাণ হলো- ১৪১ কোটি কিলোমিটার। এই হিমশীতল এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বরফ খন্ড থাকে।