শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডেটা সংরক্ষণের যন্ত্র হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
  ০৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

হার্ড ডিস্ক, হার্ড ড্রাইভ বা ফিক্সড ড্রাইভ হলো ডেটা সংরক্ষণের যন্ত্র- যা তথ্য জমা এবং পরবর্তী সময়ে পড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। হার্ড ডিস্কে সমকেন্দ্রিক একাধিক চাকতি থাকে, একে পেস্নটারস বলে। এগুলো চৌম্বকীয় ধাতু দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। পেস্নটারসগুলো চৌম্বকীয় হেডস বা মাথার সঙ্গে জোড়া দেওয়া থাকে। এগুলোর সঙ্গে আর একটি সক্রিয় একচুয়েটর আর্ম বা হাত থাকে। এই একচুয়েটর হাত পেস্নটারগুলোর উপরিভাগ থেকে তথ্য পড়তে এবং তথ্য জমা করতে ব্যবহৃত হয়। ডেটাগুলো ড্রাইভে স্থানান্তরিত হয় র?্যানডম-একসেস প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে। এর মানে হলো ডেটা যখন ড্রাইভে রাখা হয় এগুলো পর পর সাজানো হয় না বরং যে কোনো খালি জায়গায় ডেটা জমা করা হয়। হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ কম্পিউটার বন্ধ করার পরও ডেটা সংরক্ষণ করে রাখে। কম্পিউটার হার্ড ড্রাইভে প্রকৃতপক্ষে কোনো লোহার টুকরা থাকে না, সেখানে একটি চকচকে বৃত্তাকার ম্যাগনেটিক ধাতুর পেস্নট থাকে- যাকে 'পেস্নটার' বলা হয়- আর এর মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এরিয়া থাকে। এর প্রত্যেকটি এরিয়া স্বাধীনভাবে চুম্বকত্ব সংরক্ষণ করে। আবার অচম্বুকও সংরক্ষণ করে থাকে। কম্পিউটার ফ্ল্যাশ মেমোরির সমস্যা হলো, এতে বিদু্যৎপ্রবাহ বন্ধ করা হলে এটি সব তথ্য ভুলে যায় (যেমন- র?্যাম), তাই তথ্য সংরক্ষিত করার জন্য হার্ড ড্রাইভে চৌম্বক শক্তি ব্যবহার করা হয়, যাতে কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও এটি তথ্যগুলোকে ধারণ করে রাখতে পারে। বর্তমানে অধিকাংশ কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণের স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে হার্ড ডিস্ক ব্যবহৃত হয়। হার্ড ডিস্ক ছাড়াও বর্তমানে ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার, মিউজিক পেস্নয়ার প্রভৃতি যন্ত্রে হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করা হয়। ২০০টি কোম্পানিরও বেশি কোম্পানি এই ড্রাইভ বিভিন্ন সময় প্রস্তুত করেছে। বর্তমানে এটি প্রস্তুত করছে বেশকিছু খ্যাতিমান কোম্পানি যাদের মধ্যে সিগেট, তোশিবা এবং ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল উলেস্নখযোগ্য। একটি হার্ড ড্রাইভের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য হলো এর ধারণ ক্ষমতা ও কার্যকারিতা। ধারণ ক্ষমতাকে উলেস্নখ করা হয় ১০০০ ইউনিটের উপসর্গ দিয়ে যেমন- ১ টেরাবাইট ড্রাইভের ধারণ ক্ষমতা হলো ১০০০ গিগাবাইট। এই ধারণ ক্ষমতার সবটাই ব্যবহারকারীর জন্য পুরোপুরি থাকে না কারণ ফাইল সিস্টেম এবং কম্পিউটারের

অপারেটিং সিস্টেম ও অভ্যন্তরীণ বাড়তি জায়গা ব্যবহার করা হয় ভুল সংশোধন ও পুনরুদ্ধার কাজের জন্য। কার্যকারিতাকে বোঝানো হয় হার্ড ড্রাইভের একসেস টাইম ও ল্যাটেন্সি বৈশিষ্ট্যের ওপর। একসেস টাইম হলো কতটুকু সময়ে একটি হেড কোনো নির্দিষ্ট ট্র্যাক বা সিলিন্ডারে যায় এবং ল্যাটেন্সি হলো একটি সেক্টর কত দ্রম্নত হেডের নিচে আসে সেই সময়ের সমষ্টি। ল্যাটেন্সির ব্যাপারটি হার্ড ড্রাইভের রোটেশনাল স্পিড যা রিভোলুশন পার মিনিট দিয়ে মাপা হয়। এ ছাড়া হার্ড ড্রাইভে কত গতিতে ডেটা স্থানান্তর হয় সেটিও অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে