সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বুদ্ধিমত্তা ও আবেগ য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক বিষয়টি আরেকটু সহজ করলে বলা যায় আমাদের ভাবনার আছে প্রধান দুটি দিকÑ যৌক্তিক ও আবেগী দিক। বাইরে থেকে হোক বা নিজের ভেতর থেকে হোক তা আমাদের মস্তিষ্কে আবেগী ভাবের প্রাধান্য সৃষ্টি করে। এ আবেগকে প্রশমন বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ হয় সহজ। আত্মসচেতনতাই হলো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে বড় সামথর্্য। আত্মনিয়ন্ত্রণ করার অথর্ নিজের আবেগ-অনুভ‚তিকে দমন করা নয় বরং অ্যারিস্টটলের ভাষায়, ইচ্ছার কঠোর শ্রমচচার্। কারো বুদ্ধি বেশি হলে আমরা বলি তার ‘আইকিউ’ বেশি। ‘আইকিউ’ অথার্ৎ ওহঃবষষরমবহপব ছঁড়ঃরবহঃ, যাকে বাংলায় বলে বুদ্ধাঙ্ক। কিন্তু কোনো কোনো মনোবিজ্ঞানী মনে করেন জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করার জন্য আইকিউর (ওছ) গুরুত্ব সাবির্ক নয় বরং যার যত বেশি ‘ইকিউ’ সে-ই জীবনে তত বেশি সফল। ইকিউ (ঊছ) যার পূণর্ নাম হলো ঊসড়ঃরড়হধষ ছঁড়ঃরবহঃ বা আবেগজাত বুদ্ধি। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার দুই মনোবিজ্ঞানী পিটার স্যালোভে ও জন মেয়ার বলেন, ‘আবেগজাত বুদ্ধি হলো ব্যক্তির নিজের অনুভ‚তিকে জানার, বোঝার ও অন্যের অনুভ‚তির প্রতি সংবেদনশীল থাকার এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা।’ মাকির্ন মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল বলেন, ‘নিজের আবেগ বুঝতে পারা, রাগ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারা, যে কোনো জটিল পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে পারার যে ক্ষমতা তা-ই ইকিউ।’ ইকিউ হলো মনের গুণাবলি যাকে অনেকে চরিত্র বলে থাকেন। মনোবিদ ওয়াটসন (ডধঃংড়হ) মনে করেন আবেগ জন্মগতভাবে পাওয়া, সারমেনের (ঝযবৎসধহ) মতে আবেগ শিশুর মনের বিকাশের সঙ্গে সম্পকর্যুক্ত। আমাদের আবেগ-অনুভ‚তিকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের প্রিফন্টাল সাকির্ট, সেটার সম্ভবত মাঝ বয়ঃসন্ধির আগ পযর্ন্ত পূণর্ বিকশিত অবস্থাপ্রাপ্ত হয় না। তাই কচি বয়সে আবেগগত শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক আমাদের মস্তিষ্কে লিম্বিক সিস্টেম বলে একটি স্থান রয়েছে। এখান থেকেই উৎপন্ন হয় আবেগ-কামনা বা লালসা, উত্তেজনা ইত্যাদি। লিম্বিক সিস্টেমের মধ্যে আছে অ্যামাইগডালা নামে একটি বিশেষ স্থান যেখানে ভালোলাগা, মন্দলাগা, ক্রোধ, বিমষর্তা, আতঙ্ক ইত্যাদি জন্ম নেয়। লিম্বিক তন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নিউকরটেক্স। এরই জন্য মানুষ কিছু শিখতে, স্মরণ করতে ও পরিকল্পনা করতে সক্ষম। ভালোবাসার জন্ম হয় নিউকরটেক্সে। সরীসৃপদের নেই নিউকরটেক্স। তাই তো সন্তানদের প্রতি এদের নেই কোনো স্নেহ-ভালোবাসা। আর এ কারণেই জন্মের পর নিজেরাই নিজের বাচ্চাদের খেয়ে ফেলতে দেখা যায়। আর তাই বাচ্চাদেরও জন্মের পরপরই লুকিয়ে থাকতে শিখতে হয়। নিউকরটেক্স ও লিম্বিক সিস্টেমের মধ্যে যত বেশি সংযোগ গড়ে ওঠে তত বেশি আবেগজাত অনুভ‚তি বিকশিত হয়। তাই তো আবেগজনিত প্রতিবতর্ (জবভষবী) ছাড়া আমাদের পক্ষে কোনো কাজ করাই সম্ভব নয়। কারণ আবেগ আমাদের কাজে প্রবৃত্ত করে। নিউকরটেক্সের ভালোবাসার আবেগ দিয়ে যা কিছু শেখা যায় তা আমাদের মনেও থাকে বেশি। ইকিউ বাড়াতে কিছু চচার্ করা যেতে পারে ১. নিজেকে নিয়ন্ত্রণ। ২. অন্যের আবেগ বুঝতে শেখা। ৩. নিজেকে জানা। ৪. মনোযোগী হওয়া। ৫. বেশি বেশি জেনে নেয়া। ৬. নিজেকে ব্যথর্ করা। বৈচিত্র্যময় মহাকাশযান য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক ডন মহাকাশযানের সোলার উইং ছড়িয়ে রাখা অবস্থায় এর দৈঘ্যর্ ৬৫ ফিট। এতে রয়েছে ইনফ্রারেড স্পেক্ট্রোমিটার এবং একটি গামা রে ও নিউট্রন ডিটেক্টর যা দিয়ে সে কক্ষপথে থেকে সেরেসকে পযের্বক্ষণ করবে। প্রদক্ষিণের শুরুতে ডন ছিল সেরেস থেকে ৩৮ হাজার মাইল দূরে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সে এই কক্ষপথ ছোট করতে করতে সেরেসের ২৩৫ মাইলের মাঝে পৌঁছে যাবে এবং মিশন শেষ হওয়ার পরেও সেখানেই থেকে যাবে। সৌরজগতে যত গ্রহ আছে, সবগুলোর প্রতিই আগ্রহ রয়েছে বিজ্ঞানীদের এবং কোন গ্রহে কী হচ্ছে না হচ্ছে, তা জানার জন্য তারা সবসময়েই উন্মুখ। কিন্তু ভাবুন তো, এবার অন্য কোনো চোখ রাখছে পৃথিবীর ওপরে, তবে কেমন হবে? সম্প্রতি দেখা গেছে, বৃহস্পতি চোখ রাখছে পৃথিবীর ওপর। অন্তত বৃহস্পতির এক সাম্প্রতিক ছবি দেখে তাই মনে হচ্ছে। এপ্রিলের ২১ তারিখে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের তোলা এই ছবিতে মনে হচ্ছে বৃহস্পতির পৃষ্ঠে এক অতিকায় চোখ আর তা নজর রাখছে পৃথিবীর দিকেই। এই ‘চোখ’ আসলে বৃহস্পতির পৃষ্ঠে চলমান বিশাল এক সাইক্লোন । নাসার মতে, জুপিটারের চঁাদ গ্যানিমিডের ছায়া পড়েছে ঠিক এই সাইক্লোনের মাঝখানে, যার ফলে একে দেখাচ্ছে চোখের মতো। নাসা এক বিবৃতিতে বলে, তাদের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হচ্ছে সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের অদ্ভুত সুন্দর এসব রূপ। কিন্তু যখন দেখা যায় এই গৃহ উল্টো আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তখন ভয় পেতে হয় বৈকি। এই বিশাল গ্রহের ১০ হাজার মাইল ব্যাসের ‘চোখ’-এর ওপর গ্যানিমিডের ছায়া পড়ে সেই চোখের তারা তৈরি করেছে।