সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার খুব কম। পুরুষ ও নারীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবধান ৬২ শতাংশ। পাকিস্তানে এ হার ৪৩ শতাংশ এবং ভারতে ৫৭ শতাংশ। শ্রীলংকাভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আন্তজাির্তক গবেষণা ও পরামশর্ক প্রতিষ্ঠান লানর্ এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। শহর ও গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যকার পাথর্ক্য ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি। বাংলাদেশে এ হার ৬২ শতাংশ। আর পাকিস্তান ও ভারতে যথাক্রমে ১৩ ও ৫৭ শতাংশ। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোয় ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনার অভাব রয়েছে। পাকিস্তানে তা সবচেয়ে বেশি। পাকিস্তান সম্পকের্ বলা হয়, ইন্টারনেট কি তা জানেন না দেশটির ৬৯ শতাংশ মানুষ। ৩০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পকের্ সচেতন। আর মাত্র ১৭ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে জানতে ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পযর্ন্ত পাকিস্তানের দুই হাজার পরিবারের ১৫ থেকে ৬৫ বছরের নারী-পুরুষের ওপর জরিপ চালানো হয়। পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহার না করার কিছু কারণের মধ্যে সময়ের অভাব, উচ্চমূল্য ও ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা অন্যতম। ভঁাজ করা যাবে স্মাটের্ফান য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক অবশেষে ফোল্ড বা ভঁাজ করা যাবে এমন একটি স্মাটের্ফান উন্মোচন করেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল হ্যান্ডসেট নিমার্তা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকো শহরে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে তা উন্মুক্ত করা হয়। জানা গেছে, মাসখানের মধ্যেই এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবে স্যামসাং। ফোনটির মূল আকষর্ণ এর ডিরূপ্ল। যা ট্যাবের মতো বড় আকারের। আবার ভঁাজ করে সেটাকে স্মাটের্ফানের মতোও পকেটে রাখাও যাবে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ‘এটিকে আগামী পৃথিবীর স্মাটের্ফান বলে’ মনে করা হচ্ছে। মোবাইলটি ডিসপ্লে ৭.৩ ইঞ্চি যা দেখতে অনেকটা ট্যাবলেট আকৃতির। তবে মোবাইলটি বন্ধ করার পরও ‘কাভার ডিসপ্লে’ দেখা যাবে, তাৎক্ষণিক জরুরি দরকার হলে তখন ফোল্ড করা ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে। মূলত স্যামসাং পঁাচ বছরের বেশি সময় ধরে বিষয়টি উন্মোচন করেনি, বলা হয়ে থাকে ‘হাওয়াই’ মোবাইলকে টেক্কা দেয়ার জন্য স্যামসাংয়ের এই নতুন হ্যান্ডসেট। গত সপ্তাহে মোবাইল দুনিয়ায় পরিচিত ব্যান্ড রোয়াল ফ্লেক্সপাই তাদের ফ্লোডার ফোনটি উন্মোচন করেন যা স্যামসাং এবং হাওয়াই ফোনের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে ছিল। তবে স্যামসাং তাদের ডিজাইন পঁাচ বছর আগেই করে থাকলেও ইভেন্টের আগ পযর্ন্ত তা উন্মুক্ত করেনি, ধারণা করা হচ্ছে রোয়াল ফ্লেক্সপাই তাদের ফোল্ডার ফোনটি বাজারে ছেড়েছে এর আগেই। এই নতুন ফোনটিতে একই সময় এক সাথেই তিনটি অ্যাপস চালানো যাবে, যা আগে কোনো মোবাইল নিয়ে আসেনি। সূযের্র খুব কাছাকাছি সোলার প্রোব য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক সূযের্র খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেল নাসার মহাকাশযান সোলার প্রোব। এখন পযর্ন্ত মানুষের পাঠানো কোনো যান সূযের্র এতটা কাছে যেতে পারেনি। এখানেই শেষ নয়। ক্রমে সোলার প্রোব সূযের্র আরও কাছে এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে নাসা। জানা যাচ্ছে, দূরত্বটা আপাতভাবে অনেকটাই। দেড়শো লাখ মাইল। কিন্তু সূযের্র কাছাকাছি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সত্যিই হিসাবটা চমকে দেয়ার মতোই। এতদিন পযর্ন্ত সূযের্র সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়ার রেকডর্ ছিল হেলিয়োস বি নামে এক মহাকাশযানের। ১৯৭৬ সালের সেই রেকডর্ ২৯ অক্টোবর ভেঙে দিয়েছে সোলার প্রোব। স্বাভাবিকভাবেই সূযের্র এতটা কাছে পৌঁছে যাওয়ার দরুণ সোলার প্রোবের সূযের্র দিকে সম্মুখীন যে তাপরোধী অংশ, সেখানকার তাপমাত্রা দঁাড়িয়েছে ৮২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। আরও এগোলে এই তাপমাত্রা যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। নাসা জানিয়েছে, ক্রমে এই তাপমাত্রা আড়াই হাজার ফারেনহাইটেও পৌঁছতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় ২ লাখ ১৩ হাজার মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিবেগ নিয়ে চলছে সোলার প্রোব। এটাও কোনো মহাকাশযানের গতির ক্ষেত্রে রেকডর্। এই মুহূতের্ পৃথিবী থেকে কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না যানটিকে। স্বয়ংক্রিয় ওই যান সূযর্ সম্পকের্ অনেক অজানা তথ্য জানাবে। আপাতত সেই সব তথ্য জানতেই মুখিয়ে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।