সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মহাকাশের দুরবিন য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক মাকির্ন স্পেস স্টেশন স্কাইল্যাব মহাকাশ গবেষণায় একটি উল্লেখযোগ্য নাম। সাম্প্রতিক সময়ে স্কাইল্যাবের সহযোগিতায় মহাকাশবিজ্ঞানীরা মহাকাশের বেশ কিছু নতুন তথ্য পেয়েছেন। সূযর্ এবং অন্যান্য নক্ষত্র সম্পকের্ বিজ্ঞানীদের অসংখ্য ছবি ও গুরুত্বপূণর্ তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতা করেছে স্কাইল্যাব। স্কাইল্যাব-সংক্রান্ত প্রজেক্ট মাকিির্নরা শুরু করেন ১৯৬৯ সালের দিকে। তবে তার আগে মাকির্ন মহাকাশবিজ্ঞানীরা স্কাইল্যাবের ডিজাইন অঙ্কন শুরু করেন। তারপর প্রথম স্কাইল্যাব মহাকাশ স্টেশন মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করে ১৯৭৩ সালের মে মাসে এবং নভেম্বর পযর্ন্ত চারটি স্কাইল্যাব যান মহাকাশের উদ্দেশ্যে যায় স্কাইল্যাব মিশন যথাথর্ভাবে সম্পন্ন করার জন্য। এ যানগুলো মহাকাশে গিয়ে মহাকাশ স্টেশন নিমাের্ণ সহযোগিতা করে। যানগুলোর প্রথমটি ছিল মনুষ্যযাত্রীবিহীন। কিন্তু পরের তিনটিতে যাত্রী হিসেবে মানুষ ছিলেন। যারা যাত্রী হিসেবে গিয়েছিলেন তারা সবাই মহাকাশবিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। অ্যাপোলো বেসড মহাকাশ স্টেশনগুলোকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে স্কাইল্যাবের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। মাকির্ন মহাকাশবিজ্ঞানী স্টেফেন লাসর্ বলেন, পৃথিবীর মহাকাশবিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে স্কাইল্যাব একটি অনন্য সংযোজন। তিনি আরও বলেন, সূযর্, নক্ষত্র এবং গ্রহগুলোর আপেক্ষিক গতি পযের্বক্ষণে স্কাইল্যাব বরাবরই সাহায্য করে আসছে। তা ছাড়া স্যাটেলাইটভিত্তিক কাযর্ক্রম, আবহাওয়াসংক্রান্ত তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও স্কাইল্যাব বিশেষ সহযোগিতা করছে। অস্ট্রেলিয়ার পাথের্ বসবাসকারী মহাকাশবিজ্ঞানী এলান স্ট্রাউস বলেন, স্কাইল্যাব আমাদের মহাকাশের খঁুটিনাটি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। তবে পাশাপাশি আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে এ মহাকাশ স্টেশনের আরও উন্নতি সাধন করা যায়। উল্লেখ্য, মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে স্কাইল্যাবের উন্নতি সাধনে কাজ শুরু করেছে। বিশ্বের প্রথম কোয়ান্টাম কম্পাস য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক অবস্থান জানার জন্য শুধু গেøাবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএসের উপরই আর নিভর্র করতে হবে না। কারণ ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিশ্বের প্রথম কোয়ান্টাম কম্পাস। স্বয়ংসম্পূণর্ ডিভাইসটিও সঠিক অবস্থান বলে দিতে সক্ষম। তাপনিরোধক ডিভাইসটি জিপিএস ছাড়াই কাজ করে। উপগ্রহের সিগন্যালের ওপর নিভর্র না করায় কোনোকিছু প্রভাবিত করতেও পারে না। জিপিএস এক ধরনের একমুখী ব্যবস্থা। কারণ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা শুধু উপগ্রহের পাঠানো সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারে। তাই তা অবরুদ্ধ করা বা আটকানো সম্ভব। কোয়ান্টাম কম্পাস তৈরিতে লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা এটিকে বিশেষ করে পারমাণবিক সাবমেরিনে ব্যবহারের জন্য চিন্তা করছে। ইমপেরিয়াল কলেজের সেন্টার ফর কোল্ড ম্যাটারের গবেষক জোসেফ কটার বলেন, কোয়ান্টাম অ্যাক্সিলেরোমিটার নামের নতুন সিস্টেমটি সম্পূণর্রূপে স্বয়ংসম্পূণর্। যখন কেউ একটি বড় জাহাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করবে তখন এটি বিশেষভাবে ভ‚মিকা রাখবে। চালকবিহীন কোনো গাড়ি দীঘর্সময় চলাচল করার ক্ষেত্রেও ডিভাইসটি কাজে দেবে। অবস্থান জানতে অন্য কোনো সিগন্যাল পাঠানো কিংবা গ্রহণ করার প্রয়োজন হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মহাকাশের খারাপ অবস্থায় উপগ্রহগুলো অনেক সময় সিগন্যাল পাঠাতে সমস্যায় পড়তে পারে বা সিগন্যাল হারিয়ে ফেলারও আশঙ্কা থাকে। অভিনব প্রযুক্তির সাশ্রয়ী স্কুটার য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক হিরোর দেশীয় পরিবেশক নিলয় মোটরস লিমিটেড দেশের বাজারে আনলো নতুন স্কুটার। মডেল হিরো প্লেজার। এটি তেল সাশ্রয়ী স্কুটার। হিরো দাবি করছে এই স্কুটারটি এক লিটার পেট্রোল বা অকটেনে ৬০ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। দেখতে আকষর্ণীয় এই স্কুটারটিতে রয়েছে ১০২ সিসির এয়ার কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। বিএস ফোর ইঞ্জিন সংবলিত এই স্কুটারের সবোর্চ্চ ক্ষমতা ৬.৯ বিএইপি এবং ৭০০০ আরপিএম। এর টকর্ ৮.১ এনএম এবং ৫০০০ আরপিএম। ড্রাই, অটোমেটিক সেন্ট্রিফিউগ্যাল ক্ল্যাচসমৃদ্ধ স্কুটারটিতে সিডিআই ইঞ্জিন রয়েছে। সেলফ স্টাটার্রসমৃদ্ধ বাইকটির সবোর্চ্চ গতি ৭৭ কিলোমিটার। এর ফ্রন্ট সাসপেনশন বটম লিঙ্ক সঙ্গে আছে স্ক্রি লোডেড। রিয়ারে আছে সুইং আমর্ এবং হাইড্রোলিক ড্রাম্পার। ১২৪০ হুইল বেজের এই দ্বিচক্র যানটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১২৫ মিলিমিটার। কাবর্ ওয়েট ১০১ কেজি। উভয় চাকায় ড্রাম ব্রেক রয়েছে। এর ফুয়েল ট্যাঙ্কে ৫ লিটারের জ্বালানির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। ১২ ভোল্টের ব্যাটারিসমৃদ্ধ হেডল্যাম্পে হ্যালোজেন বাল্ব সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ ফিচার হিসেবে বাইকটিতে রয়েছে মোবাইল চাজার্র, ল্যাগেজ বক্স এবং টিউবলেস টায়ার। বাংলাদেশে বাজারে বাইকটির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। সহজ কিস্তিতেও বাইকটি কেনার সুযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকটি রঙে বাইকটি পাওয়া যাবে।