টনি স্টাকর্ একবার আয়রন ম্যানের কাঠামোর মধ্যে ঢুকে গেলে এই জাভির্সই তার ভরসা, শত্রæদের উপস্থিতি থেকে শুটের গÐগোল, সব খবর এই জাভিের্সর মাধমেই পেতে হয় স্টাকের্ক।
প্রতিদিন সাধারণ মানুষের জীবনে এরকম ‘জাভির্স’ থাকলে না জানি কত সুবিধে হতো, কত পরিশ্রম কমে যেত। এই চিন্তাধারা থেকেই যেমন স্মাটর্ হোম বা গুগল- অ্যামাজনের স্মাটর্ অ্যাসিস্টান্ট এখন ঘরে ঘরে পেঁৗছে যাচ্ছে, তাইওয়ানের এক কোম্পানি বানিয়ে ফেলেছে স্মাটর্ হেলমেট। তারও নাম জাভির্স!
এই জাভির্স হেলমেট দেখতে একেবারে সাধারণ হেলমেটের মতো। যার কাজ চালককে সুরক্ষিত রাখা। এই হেলমেটে রয়েছে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা। ফলে আপনার সামনে পিছনে ওপরে কী হতে চলেছে সবটাই ক্যামেরায় ধরা পড়বে স্মাটর্ হেলমেট। অ্যাভেঞ্জাসের্র দৌলতে আয়রন ম্যানকে চেনে না, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তার ব্যক্তিগত ডিজিটাল অ্যাসিস্টান্ট জাভির্স, অত্যন্ত আধুনিক, প্রায় মানুষ সমান ক্ষমতা তার বিচার-বিবেচনার, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও।
ফলে খুব সহজেই আপনার স্মাটর্ ফোনের সঙ্গে সেটি সংযোগ করতে পারবেন। সব থেকে দারুণ যে বৈশিষ্ট্য এখানে রয়েছে তা হলো ডিসপ্লে। বিশদে না জানা গেলেও মোটামুটিভাবে যা জানা গিয়েছে তা হলো, হেলমেটের সামনের কাচে থাকবে এই ট্রান্সপারেন্ট স্ক্রিন।
ফলে আপনি সাধারণত হেলমেট পরে সামনে যেভাবে দেখতে পান, এখানেও তাই পাবেন। সঙ্গে থাকবে অতিরিক্ত কিছু তথ্য। সময়, আবহাওয়া, কারও ফোন এলে তার নাম-ফোন নম্বর, এর সঙ্গে গাড়ি চালানোর সুবিধের জন্য কত স্পিড, কোন দিকে যেতে হবে এবং সেই অঞ্চল বা রাস্তার স্পিড লিমিট কত, সব আপনি দেখতে পাবেন।
ভয়েস কমান্ড রয়েছে, ফলে আপনার শুধু বলার অপেক্ষা, বললেই এই স্ক্রিন হাজির হবে বা মিলিয়ে যাবে আপনার হেলমেট থেকে।
কাবর্ন ফাইবারের তৈরি এই হেলমেট যথেষ্ঠ মজবুত। ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা থাকার দরুন গাড়ি চালানোর সময় চারপাশের ঘটনা সবটাই মেমোরিতে থেকে যাবে।
ফলে কোনো কারণে তথ্য প্রমাণের দরকার পড়লে শুধু সময় ধরে ভিডিও খেঁাজার অপেক্ষামাত্র। ক্যামেরার কোয়ালিটি কী রকম হবে, তা এখনো স্পষ্ট জানা না গেলেও সাধারণ ড্যাশ ক্যামেরার মতো, অথার্ৎ ২কে রেজুলিউশনের হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্টোরেজ ১৬ জিবির হলেও ২৫৬ জিবি অবধি বাড়ানো যেতে পারে মেমোরি কাডর্ দিয়ে।স্বাভাবিকভাবেই স্মাটর্ হেলমেটের দাম খুব কম নয়। এর দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৫ হাজার টাকা। তবে এখনই যদি তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করান, পেয়ে যাবেন ৩৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট। ২০১৯-এর মাঝামাঝি বাজারে চলে আসার কথা, দেখা যাক আগামী দিনে এই হেলমেট চালকের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।
বøুটুথ অথবা ওয়াইফাই, দুই রকমভাবেই সংযোগ করতে পারবেন আপনার ফোনের সঙ্গে। একবার চাজর্ দেয়ার পর টানা ৪ ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারবেন, ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করে গান চালানো থেকে দিনের বিশেষ খবর অথবা সারা দিনের আপনার প্ল্যানিংÑ সব করতে পারবেন, অ্যামাজনের অ্যালেক্সার সঙ্গে।
