ইউটিউবে আয়ের আসল উৎস

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

জামান আহমেদ
খেয়াল করেছেন কিনা, বেশিরভাগ ইউটিউব ভিডিও দেখা শুরু করলেই বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এই বিজ্ঞাপনগুলোই হচ্ছে আয়ের আসল উৎস। এখানে, ইউটিউব কাজ করছে প্লাটফমর্ হিসেবে ও তিনটি সাব-প্লাটফমের্ক এর সঙ্গে যুক্ত করছেÑ ১. যে ভিডিও তৈরি ও আপলোড করছে, ২. দশর্ক ৩. বিজ্ঞাপনদাতা এখন আমার বাগান করা সম্পকির্ত প্রশিক্ষণ প্রকল্পে ফিরে আসি। যেহেতু প্রাথমিক বিনিয়োগের অভাব সুতরাং আমি ইউটিউবের দ্বারস্থ হলাম এভাবে, -ভিডিও ক্যামেরা কেনার টাকা নেই তাই মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করলাম। -ধরা যাক টবে কীভাবে সুন্দর গোলাপ বাগান করবেন তার একটা সুন্দর ধারা বিবরণীসহ ভিডিও করলাম। -ভিডিও কম্পিউটারে কপি করলাম। -উইন্ডোজ মুভি মেকারে দরকারি এডিট সেরে নিলাম। -ভিডিওটা ইউটিউব ফমের্ রূপান্তরিত করলাম। -এখন ইউটিউবে আপলোড করার জন্য প্রস্তুত। এখন দরকার হবে একটা গুগল অ্যাকাউন্ট। খুব সহজে খুলে ফেললাম। একই ইউজার নাম ও পাসওয়াডর্ ব্যবহার করে ইউটিউব অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করলাম। ভিডিও আপলোড করে ফেললাম। ভিডিও আপলোড করার সময় সেটিংয়ে ঢুকে ‘মনিটাইজ’ ঘরে টিক দিয়ে দিলাম অথার্ৎ আমার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন যোগ করার জন্য ইউটিউবকে অনুমোদন দিয়ে দিলাম। এইবার আমার ভিডিও আমি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিতে থাকলাম। যতবার ভিডিওটি দেখা হবে ততবার ইউটিউব আমাকে টাকা দিতে থাকবে। এখন মূল ও শেষ প্রশ্ন, ইউটিউব যে আমাকে টাকা দিচ্ছে আমি কীভাবে জানতে পারব, কোথায় তা জমা হবে এবং আমি কীভাবে হাতে পাব। এই লিংকটিতে এই বিষয়টি দেখুন : ডযু অফঝবহংব? - অফঝবহংব ঐবষঢ় সুতরাং ভিডিও আপলোডের কয়েক দিন পর আমি বেশ গুঁতোগুঁতি করে ইউটিউবের এই পেজ ওই পেজে গিয়ে, তাদের ইন্সট্রাকশন অনুসরণ করে একটা ‘এডসেন্স (অফঝবহংব)’ অ্যাকাউন্টের জন্য আবেদন করলাম গুগলের কাছে। গুগল এখন কয়েকদিন ধরে আমার অ্যাকাউন্ট-যাচাই করল যে আমার ভিডিও কেউ দেখছে কিনা, ভিডিওটি কোনো ক্ষতিকর বিষয়বস্তু ধারণ করছে কিনা ইত্যাদি এবং তখন আমার আবেদনের অনুমোদন দিয়ে দিল। এখন আমি যে কোনো সময় আমার অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা হলো তা দেখতে পারব। এটিকে বলে ‘ড্যাশবোডর্’। টাকার পরিমাণ একটা নিদির্ষ্ট মাত্রায় (ঞযৎবংযড়ষফ) পৌঁছালে ইউটিউব জানতে চাইবে আমি কীভাবে টাকাটা পেতে চাই অথার্ৎ চেক নাকি ব্যাংক ট্রান্সফার। আমি আমার ঠিকানাসহ জানিয়ে দিলাম যে আমি চেক নিতে চাই। খুব ভালোভাবে চিন্তা করে আপনার ভিডিওর বিষয় নিধার্রণ করুন। আপনি কাদের দশর্ক হিসেবে চান, অত্যন্ত সূ²ভাবে আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তুর মধ্যে তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। একটা উদাহরণ দিই। সম্প্রতি ফেসবুকে দেখলাম ‘বক্স টিভি’নামক একটা অতি অখাদ্য ভিডিও অনেকে লাইক, শেয়ার দিচ্ছে। ভিডিওটিতে অভিনয় করেছেন একজন লেখক ও একজন ফেসবুক সেলিব্রেটি। এটিকে অখাদ্য বলছি এই কারণে, বিষয়বস্তুর মধ্যে কোনো ‘মেসেজ’ নেই। খুব নিচু পযাের্য়র অশালীন ডায়ালগ বলা হচ্ছেÑ যা থেকে দশের্কর ‘টাগের্ট গ্রæপ’ কারা তা সহজেই প্রতীয়মান ও নিধাির্রত হয়ে গেছে। ভিডিওর নিচে মন্তব্য পড়লে যেটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর ফলে ভালো দশের্কর বাজার হারাচ্ছে। নিচে লিঙ্ক দেয়া হলো। যঃঃঢ়ং://িি.িুড়ঁঃঁনব.পড়স/ধিঃপয?া=ঐতশকঅ১এয৬৪ম আবার ভিডিওর শিরোনাম দেয়ার সময় এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করা উচিত যেগুলো দশর্ক সাধারণত ইউটিউবে কোনো কিছু খেঁাজার সময় খুব বেশি ব্যবহার করে থাকে। এ সম্পকির্ত অনেক ভিডিও ইউটিউবে আছে, দরকার মতো খুঁজে বের করে গবেষণা করুন, উপকার পাবেন নিশ্চিত। আপনি ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করার পর যদি কোনো সমস্যা মনে হয় তখনও প্রয়োজনীয় ‘এডিট’ করতে পারবেন ইউটিউবের টুলস ব্যবহার করে। অতএব আসুন ঘরে বসে সময় নষ্ট না করে আজই বেরিয়ে পড়ি ভিডিও ক্যামেরাটি নিয়ে ও বেশি করে টাকা আয় করে নিই ইউটিউব প্লাটফমর্ থেকে। কোনো আথির্ক বিনিয়োগ ছাড়া শুধু বুদ্ধির জোরেই এটা সম্ভব। আপনার-আমার মূল্যবান সময়কে রূপান্তরিত করি টাকায়।