হুয়াওয়ের স্মাটের্ফানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে

প্রকাশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

আলীজা ইভা
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে হুয়াওয়ের স্মাটের্ফান বিক্রি বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। তবে প্রতিদ্ব›দ্বী স্যামসাংয়ের স্মাটের্ফান বিক্রি কমেছে ১৪ শতাংশ। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গাটর্নার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর রয়টাসর্। বৈশ্বিক স্মাটের্ফান বিক্রি প্রবৃদ্ধিতে চীনা ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে ও শাওমির অবস্থান ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সামগ্রিকভাবে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে স্মাটের্ফান বিক্রি ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৩৮ কোটি ৯০ লাখ ইউনিটে পৌঁছেছে। প্রান্তিকটিতে অ্যাপল ডিভাইস বিক্রিতে দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। হুয়াওয়ে একমাত্র ব্র্যান্ড, যা তৃতীয় প্রান্তিকে স্মাটের্ফান বিক্রিতে বড় অঙ্কের প্রবৃদ্ধির দেখা পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী এর অনার সাব-ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেটের ক্রমবধর্মান চাহিদা বিক্রি প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। গাটর্নারের তথ্যমতে, গ্যালাক্সি এস৯ ও গ্যালাক্সি নোট ৯ সিরিজের ডিভাইসের চাহিদা না থাকা স্যামসাং স্মাটের্ফান বিক্রি কমার অন্যতম কারণ। গাটর্নার বৈশ্বিক স্মাটের্ফান বাজার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ শুরুর পর এবারই প্রথম বড় ধরনের বিক্রি কমতির মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া মাঝারি ও এন্ট্রি লেভেলের স্মাটের্ফান বাজারে চীনা ব্র্যান্ডগুলোর কারণে সংকটে পড়েছে স্যামসাং। হুয়াওয়ের স্মাটের্ফান ব্যবসায় এমন উল্লম্ফন কেন? বলা হচ্ছে, স্মাটের্ফানের সবচেয়ে বড় বাজার চীনে ব্যাপক পরিসরে কাযর্ক্রম জোরদার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর সুবাদে স্থানীয় বাজারে শীষর্ অবস্থান পুনরুদ্ধারে সমথর্ হয়েছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি ইউরোপের বাজারেও কাযর্ক্রম সম্প্রসারণ করেছে এ প্রতিষ্ঠান, যা বৈশ্বিক স্মাটের্ফান বাজারে ডিভাইস বিক্রির দিক থেকে অ্যাপলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় শীষর্ অবস্থানে উঠে আসতে সহায়তা করেছে। বিভিন্ন বাজারে ডিভাইস ব্যবসা সম্প্রসারণ এর স্মাটের্ফান বিক্রি প্রবৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রেখেছে। গাটর্নারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্রি কমলেও বৈশ্বিক স্মাটের্ফান বাজারের শীষর্ অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে স্যামসাং। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের স্মাটের্ফান বিক্রি ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ইউনিটে দঁাড়িয়েছে। অথচ এক বছর আগে একই প্রান্তিক শেষে এর স্মাটের্ফান বিক্রি হয়েছিল ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫ হাজার ইউনিট। গত প্রান্তিকে হুয়াওয়ের স্মাটের্ফান বিক্রি ৫ কোটি ২২ লাখ ১৮ হাজার ইউনিটে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ছিল ৩ কোটি ৬৫ লাখ ১ হাজার ইউনিট। চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৪৬ হাজার ইউনিটে পৌঁছেছে, যা গত বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ছিল ৪ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ইউনিট। গত প্রান্তিকে শাওমির স্মাটের্ফান বিক্রি এক বছর আগে তৃতীয় প্রান্তিকের ২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ইউনিট থেকে বেড়ে ৩ কোটি ৩২ লাখ ১৯ হাজার ইউনিটে পৌঁছেছে। অন্যদিকে গত প্রান্তিকে চীনভিত্তিক অপোর স্মাটের্ফান বিক্রি ৩ কোটি ৫ লাখ ৬৩ হাজার ইউনিটে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ছিল ২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ইউনিট। গাটর্নারের গবেষণা পরিচালক আনশুল গুপ্ত বলেন, বৈশ্বিক স্মাটের্ফান ভেন্ডর তালিকা থেকে যদি হুয়াওয়ে ও শাওমিকে বাদ দেয়া হয়, তাহলে বাজেট সাশ্রয়ী ডিভাইস বিক্রি ৫ দশমিক ২ শতাংশ কমবে। চীনা ব্র্যান্ডগুলো সাধারণত সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত ক্যামেরা ও উচ্চ রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে-সংবলিত ডিভাইস দিয়ে ব্যবসা জোরদারে কাজ করছে। তিনি বলেন, উদীয়মান বাজারগুলোয় ফোরজি নেটওয়াকর্ সমথির্ত স্মাটের্ফানের চাহিদা বাড়ছে। সাশ্রয়ী মূল্যে অধিক স্টোরেজ সুবিধা, উন্নততর ক্যামেরা ও আরও বেশি শক্তিশালী প্রসেসরের কারণে ভোক্তাদের কাছে চীনা ব্র্যান্ডের স্মাটের্ফানের কদর বাড়ছে।