তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্যানসার

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
রাসায়নিক পদার্থের সঙ্গে ক্যানসারের অনেক বড় একটা সম্পর্ক রয়েছে। যেমন- জমেসোথেলিওমিয়াতে (এক ধরনের দুর্লভ ক্যানসার, এতে ফুসফুসের চারপাশ এবং পেটের দিকের কোষগুলো আক্রান্ত হয়) আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই অ্যাসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে এই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত জাহাজ তৈরির শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের এই ধাতুর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে। এই কারণেই অনেক দেশে এই ধাতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ। একইভাবে রঙের কারখানা, রাবার বা গ্যাসের কাজে যারা নিয়োজিত তারা এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে মূত্রথলির ক্যানসারে আক্রান্ত হন। পরে অনেক দেশে এসব রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশগত কারণের অন্যতম একটা হচ্ছে সূর্য। রোদে বেশিক্ষণ থাকার কারণে ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তেজস্ক্রিয়তার কারণেও বিভিন্ন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। ক্যানসারের সাধারণ লক্ষণ : মানবদেহে যেসব স্থানে ক্যানসার ধরা পড়েছে তা হলো প্রস্টেট গ্রন্থি, স্তন, জরায়ু অগ্ন্যাশয়, রক্তের ক্যানসার, চামড়ায় ক্যানসার ইত্যাদি। একেক ক্যানসারের জন্য একেক ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ হচ্ছে: ১. খুব ক্লান্ত বোধ করা ২. ক্ষুধা কমে যাওয়া ৩. শরীরের যে কোনো জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেওয়া ৪. দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা ৫. মলত্যাগে পরিবর্তন আসা (ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া) ৬. জ্বর, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া ৭. অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা \হ৮. অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া ৯. ত্বকের পরিবর্তন দেখা যাওয়া কার্সিনোমা : এটা খুব সাধারণ ধরনের ক্যানসার। ফুসফুস, মলদ্বার, স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের অন্তর্ভুক্ত। সার্কোমা : সাধারণত হাড়ের, কশেরুকা, চর্বি বা মাংসপেশির ক্যানসারকে সার্কোমা বলে। লিম্ফোমা : আমাদের শরীরজুড়ে লিম্ফ নোড ছড়ানো রয়েছে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধব্যবস্থা এই লিম্ফ নোডের সঙ্গে জড়িত। লিম্ফ নোডের ক্যানসারকেই লিম্ফোমা বলে। লিউকেমিয়া : রক্ত কোষের ক্যানসারকেই লিউকেমিয়া বলে। এই রক্তকোষগুলো হাড়ের মজ্জা থেকে জন্ম নেয়। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষপর্যায়ে গিয়ে ভালো কোনো চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনো পর্যন্ত ক্যানসারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। ক্যানসার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।