দিন দিন মোবাইলের বৈচিত্র্য বাড়ছে

আগামী কয়েক বছর মোবাইল বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয়ের পরিমাণ উলেস্নখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। গ্রাহকদের কাছে যে মাধ্যমে সহজে যোগাযোগ করা যায় তাকেই প্রাধান্য দেয় বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিক দিয়ে বর্তমানে বিজ্ঞাপনের যে কোনো মাধ্যমের চেয়ে মোবাইল ডিভাইসগুলো অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। আর স্থির বিজ্ঞাপনের চেয়ে ভিডিও সংস্করণে ব্যয়ের পরিমাণ সামনের বছরগুলোয় আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

সোরিয়া রওনক

বর্তমান যুগকে অনেকেই মোবাইল ডিভাইসের যুগ বলে থাকেন। বিশেষ করে স্মার্টফোনের মতো পণ্যের কারণে ইন্টারনেট সেবা এখন গ্রাহকের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে। এ স্মার্টফোনকে ঘিরেই গড়ে উঠছে বিভিন্ন ব্যবসা। এর মধ্যে মোবাইল বিজ্ঞাপন অন্যতম। বিভিন্ন ধরনের অ্যাপিস্নকেশন সংবলিত এসব মুঠোফোন সহজেই স্ান করে নিয়েছে সবার পকেট বা পার্সে। সোশ্যাল নেটওয়ার্ককিং সাইট থেকে শুরু করে টেলিভিশন সব কিছু এক হাতের মুঠোয়। এ প্রজন্মের তরুণদের সব চাহিদাই যেন মিটিয়ে দিচ্ছে এ ছোট্ট যন্ত্রটি। অবসরে গান বা গেমস এমনকি চাইলে মুভি। ইন্টারনেট, গুগল পেস্নস্টোর, ওয়েব ব্রাউজিং ডাউনলোড সব। এমনকি নতুন জায়গায় অচেনা পথ! সে জন্য রয়েছে ম্যাপস। স্ক্যানার, টর্চ, ডিকশনারিসহ আরও নানা ধরনের সহায়তাকারী অ্যাপস যা জীবনকে করে তুলেছে আরও সহজ। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি আর মোবাইল ফোনের বৈচিত্র্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে। ফ্যাবলেট মোবাইল বৈচিত্র্যের অন্যতম উদাহরণ। বিশ্বজুড়ে ফ্যাবলেটের চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে গেম খেলা ও ভিডিও দেখার জন্য এ পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের গ্রাহকদের মধ্যে বড় আকৃতির এ স্মার্টফোনটির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিমত বাজার বিশ্লেষকদের। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্যাবলেটের চাহিদা উলেস্নখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। বার্তাসংস্থা এএফপির মাধ্যমে খবরটি জানা গেছে। আরও বেশকিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকাতেও এ সংক্রান্ত তথ্য ছাপা হয়েছে। বর্তমান বাজারে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বাজার বিস্তৃত করে যাচ্ছে। ফ্যাবলেটের ক্ষেত্রেও নির্মাতারা অ্যান্ড্রয়েডকেই বেশি প্রাধান্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাধারণত দেখা যায়, কোনো ভিডিও বা ছবি দেখার জন্য স্মার্টফোন খানিকটা ছোট হয়ে যায়। এদিকে ট্যাবলেট ব্যবহারে বিভিন্ন সুবিধা থাকলেও বহনের ক্ষেত্রে অনেকাংশেই অস্বস্তিকর। এসব দিক বিবেচনায় ফ্যাবলেট এখন গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আগামীতে ফ্যাবলেটই স্মার্টফোনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছে। এ বাজারে আগামী সময়ে মাইক্রোসফট ও গুগলের আধিপত্য বৃদ্ধি পাবে বলে জানায় জুনিপার। মাইক্রোসফট তাদের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ও গুগল অ্যান্ড্রয়েডের মাধ্যমে এ বাজারে রাজত্ব করবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়। মোবাইলের নানারকম সুবিধা যেমন বাড়ছে, তেমনভাবেই বাড়ছে এ সংক্রান্ত ভোক্তা আর উদ্যোক্তা। বিশ্বজুড়ে মোবাইল বিজ্ঞাপন বাজার ক্রমেই বাড়ছে। মোবাইল ডিভাইসগুলোর দ্রম্নত প্রসারের কারণে এ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান বাজার বিশ্লেষকরা। এদিকে মোবাইল বিজ্ঞাপনের প্রধান দুটি দিক স্থির বিজ্ঞাপন ও ভিডিওর মধ্যে ভিডিও খাতেই আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আগামী কয়েক বছর মোবাইল বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয়ের পরিমাণ উলেস্নখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। গ্রাহকদের কাছে যে মাধ্যমে সহজে যোগাযোগ করা যায় তাকেই প্রাধান্য দেয় বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এদিক দিয়ে বর্তমানে বিজ্ঞাপনের যে কোনো মাধ্যমের চেয়ে মোবাইল ডিভাইসগুলো অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। আর স্থির বিজ্ঞাপনের চেয়ে ভিডিও সংস্করণে ব্যয়ের পরিমাণ সামনের বছরগুলোয় আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামীতে সমগ্র বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যের ধরনেও থাকবে ভিন্নতা। এ ভিন্ন ভিন্ন পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রয়োজন হবে বিজ্ঞাপন প্রচারের। গার্টনারের বিশ্লেষকদের মতে, আগামীতে যে কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য মোবাইল ডিভাইসকেই বেছে নেবে। ২০২৫ সালের মধ্যে মোবাইল বিজ্ঞাপনের বাজার উলেস্নখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে জানান বাজার বিশ্লেষকরা। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে তাদের বিপণন কৌশলে পরিবর্তনে বাধ্য হবে। যার ফলে মোবাইল ডিভাইসে বিজ্ঞাপন প্রচার সবার আগে প্রাধান্য পাবে। আঞ্চলিক থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে এখন মোবাইল ডিভাইসের সহযোগিতা নিচ্ছে। এর ফলে আঞ্চলিক বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এ খাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্ত থেকেই এ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় একই হারে বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে উত্তর আমেরিকায় তুলনামূলক মোবাইল বিজ্ঞাপন খাতে ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। কারণ বিশ্বের এ অঞ্চলটিতে মোবাইল ডিভাইসের প্রসার অন্য এলাকার তুলনায় বেশি। পাশাপাশি এ অঞ্চলে বিশ্বের অনেক আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এদিকে চীন-ভারতেও এ খাতে ব্যয়ের পরিমাণ উলেস্নখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মোবাইল ফোন এখন সময়ের চাহিদা। না একে আসলে চাহিদার চেয়ে প্রয়োজনীয় বলাটাই বেশ মানানসই। ডিজিটাল এ যুগে এ জিনিসটির প্রয়োজনীয়তা আসলে বলার অবকাশ থাকে না। আর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোবাইল ফোনে আসছে অনেক আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন। আর মানুষের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনও হয়ে যাচ্ছে স্মার্ট। আর তাই তো বাজার সয়লাব স্মার্টফোনে। আর নতুন নতুন ফিচারসহ এসব স্মার্টফোনের ক্রেতা মূলত তরুণরাই। এ সময়ের ফোনগুলোকে আসলে গড়ে তোলা হয়েছে জীবনকে আরও একধাপ সহজ করে তোলার জন্য। যে কারণেই তরুণদের হাতে হাতে এখন স্মার্টফোন না থাকাটাই অস্বাভাবিক। কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যেন এসব গেজেটের ব্যবহার যেন কখনো ভুল পথে না হয়, আর তা হলেই এসব গেজেট সত্যিকার অর্থে হয়ে উঠবে সবার জন্য আশীর্বাদ।