সাবমেরিন ক্যাবলের নতুন কনসোটির্য়ামে

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

পাবর্নী দাস
তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের নতুন কনসোটির্য়ামে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। সি-মি-উই ৬ কনসোটির্য়ামে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে কনসোটির্য়াম উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বাংলাদেশ এই ক্যাবলে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের হনুলুলুতে সি-মি-উই ৬ নিয়ে উদ্যোক্তাদের বৈঠকের বিস্তারিত কাগজপত্র এখনও পাওয়া যায়নি বলে এই কনসোটির্য়ামে কারা যুক্ত হয়েছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। নতুন এই উদ্যোগের সক্ষমতা, বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ। সি-মি-উই (ঝঊঅ-গঊ-ডঊ) হচ্ছে দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপের সংক্ষিপ্ত নাম। এই এলাকার মধ্যদিয়ে ক্যাবলটি স্থাপিত বলে প্রতিটি ক্যাবলের নামে এমনটা যুক্ত থাকে। যেমন সি-মি-উই ৪, সি-মি-উই ৫। সবের্শষ সি-মি-উই ৫ কনসোটির্য়ামে এই এলাকার দেশগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিবুতি, মিসর, তুরস্ক, ইতালি, ফ্রান্স, মিয়ানমার, ইয়েমেন। এই ১৯ দেশ ১৯টি ল্যান্ডিং পয়েন্টের মাধ্যমে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নতুন সি-মি-উই ৬ কনসোটির্য়ামেও দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপ হতেই দেশগুলো যুক্ত হবে। এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন, ‘সি-মি-উই ৬ এ যোগ দেয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে অফিসিয়ালভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। অতীতের ৫টি কনসোটির্য়ামই খুব সাকসেসফুলি রান করা হয়েছে। ক্যাবল লাইন কেবল হওয়া নয়, ক্যাবল লাইন সিগনেফিকেন্টলি-টেকনোলজিক্যালি যেন সাউন্ড হয় সেটাই ফ্যাক্টর। এই সি-মি-উই রুটে এখন যে কোনো কনসোটির্য়াম সাকসেসফুল হবে।’ মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের সামনে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল অনিবাযর্ হয়ে উঠেছে। যেভাবে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেছি তাতে কিছুদিন পরে আমাদের ব্যান্ডউইথের চাহিদা এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকবে যে, সি-মি-উই ৫ দিয়ে তা আর সামাল দেয়া যাবে না।’ উল্লেখ্য, দেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার এক হাজার জিবিপিএস। ২০১৮ সালের নভেম্বরের শেষে দেশে মোট কাযর্কর ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা দঁাড়ায় ৯ কোটি ১৮ লাখ। যার মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংযোগ আছে ৮ কোটি ৬২ লাখ। সংখ্যায় মাত্র ৫৭ লাখ ৩৫ হাজার হলেও ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমেই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের বেশির ভাগ ব্যবহার হয়ে থাকে।