ফেসবুকে ভাচুর্য়াল কবরস্থান

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ছবি ঘোষ
প্রত্যেক দিনে গড়ে প্রায় ৮ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী মারা যান। সেই হিসাবে চলতি শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বের বৃহত্তম ভাচুর্য়াল কবরস্থানে পরিণত হবে ফেসবুক। কারণ এই সময়ের পরে ফেসবুকের জীবিত ব্যবহারকারীর চেয়ে মৃত মানুষের প্রোফাইল থাকবে বেশি। বিশ্বের বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি হচ্ছে ফেসবুক। টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরও কোটি কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। বতর্মানে বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ফেসবুকে রয়েছেন। এ ছাড়া দেড়শ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ, একশ কোটি ইনস্টাগ্রাম, ৩৩ কোটি ৬০ মানুষ টুইটার ব্যবহার করছেন। ডিজিটাল এসব প্লাটফমের্ অনেক সময় ব্যয় করছেন ব্যবহারকারীরা; মৃত্যুর পর এসব প্রোফাইলের কী হবে তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেন খুব কম সংখ্যক মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন একজন ব্যবহারকারী মারা গেলে তার ব্যক্তিগত ডিজিটাল সম্পত্তি যেমনÑ ছবি, ভিডিও অন্যান্য পোস্ট কী তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ভারতীয় সাইবার বিশেষজ্ঞ পবন দুগাল বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি তার ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট রেখে মারা যায়, তখন তার যে কোনো উত্তরাধিকারী এগুলোর অ্যাক্সেস পাওয়ার অধিকার চাইতে পারেন। ফেসবুক এজন্য লেগাসি কন্ট্যাক্ট নামে একটি অপশন চালু রেখেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী মারা যাওয়ার পর পরিবারের কোনো সদস্য অথবা বন্ধু তার অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।