তথ্যপ্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে হবে

ইন্টারনেট অব থিংস এবং আটিির্ফশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক কমর্সংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ অগ্রসরমান। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিসহ দেশে অনেক হাইটেক পাকর্ স্থাপিত হয়েছে। বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে।

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আল আমিন হোসেন
তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশ অগ্রসরমান। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিসহ দেশে অনেকগুলো হাইটেক পাকর্ স্থাপিত হয়েছে। বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের কারখানা দেশে স্থাপন করছে। ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং আটিির্ফশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (এআই) সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক কমর্সংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষাথীের্দর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। সম্প্রতি সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগে ৫১তম নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার। তিনি আরও বলেন, আগের প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জাভা, পিএইচপি, সুইফট, পাইথনে শিক্ষাথীের্দর পারদশীর্ হতে হবে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা অজর্ন করতে হবে। শুধু সাটিির্ফকেট অজর্ন করাই ছাত্রছাত্রীদের জীবনের উদ্দেশ্য না করে, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টিকে আত্মস্থ করার ইচ্ছেশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। তোমাদের জন্য কমের্ক্ষত্রে হাজার প্রতিষ্ঠান অপেক্ষায় রয়েছে। যোগ্যতা অজর্ন করো, চাকরি তোমাদের খুঁজতে হবে না। চাকরি তোমাদের খুঁজবে। নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নুর নাহার ইয়েসমিন। তিনি বলেন, শিক্ষাথীের্দর পড়াশোনা শেখার পাশাপাশি নৈতিকতা অনুশীলন করতে হবে। সবচেয়ে বড় আদালত মানুষের বিবেক। নিজের বিবেককে স্বচ্ছ রাখলে মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সহজ। মানসিকভাবে যাদের যৌবন থাকে, তারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস জানাকে গুরুত্বপূণর্ মনে করতে হবে। দেশীয় সংস্কৃতি উন্নত বিশ্বের মধ্যে নিজেদের আলাদা স্বকীয়তা দিবে। সুতরাং তোমরা নিয়মানুবতির্তা মেনে জীবনকে সাজিয়ে তোলো। সফলতা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। নবীনবরণে বোডর্ অব ট্রাস্টির প্রতিনিধিত্ব করেন এম কামালুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, নিয়মকানুন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পকের্ বিষদভাবে বণর্না করেন। ২০০২ থেকে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলে উত্তম ফলাফল অজর্ন করা শিক্ষকদের সিএসই বিভাগের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে। শিক্ষাথীর্রা মনোযোগী হলেই প্রতিষ্ঠান এবং তাদের সফলতা নিশ্চিত। সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন বলেন, শিক্ষাথীের্দর জন্য আমরা আমাদের কারিকুলাম সবচেয়ে আধুনিক করে সাজিয়েছি। সব ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই, ডিজিটাল লাইব্রেরি, শিক্ষাথীের্দর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিকিউরিটি সিস্টেমকে আমরা জোরদার করেছি। কোনো শিক্ষাথীর্ উপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে যদি ১০ দিন অনুপস্থিত থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা সরকারের নিদেির্শত পথে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। অনুষ্ঠানে বোডর্ অব ট্রাস্টির উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এএসএম মফিজুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহরিয়ার মঞ্জুরসহ অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষাথীর্রা উপস্থিত ছিলেন।