সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নক্ষত্রহীন গ্রহ আবিষ্কার য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক আমাদের এই সৌরজগতের বাইরে নিঃসঙ্গ একটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা এ গ্রহটির নাম দিয়েছেন পিএসওজে১৮.৫-২২। এ গ্রহটি কোনো নক্ষত্রের (সূর্যের) চারদিকে ঘোরে না। বরং একাকী মহাশূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছে। ঝরহমষব সড়সবহঃ-এর ফলে এ গ্রহটির কোনো আহ্নিক ও বার্ষিক গতি নেই। আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির চেয়ে আকারে ৬ গুণ বড়। আবার বৃহস্পতি এ পৃথিবীর চেয়ে আকারে ১৩০০ গুণ বড়। তাহলে বুঝতে পারছেন এ গ্রহের আয়তন কতই না বিশাল! তবে এ গ্রহটি গ্যাসে তৈরি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এর বয়স ১ কোটি ২০ লাখ বছর। তবে অন্যান্য গ্রহের তুলনায় একে নবীন বা তরুণই বলা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০তম প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাজ্য হলো হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ। এ দ্বীপের হেলেকালা আগ্নেয়গিরির ওপর অবস্থিত প্যান-স্টারসে এক ওয়াইড-ফিল্ড সার্ভে দুরবিন দিয়ে এর অবস্থান খুঁজে পাওয়া গেছে। এ গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন মনোয়ার হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ ইন্সটিটিউটসের মাইকেল লিউ। তিনি বলেন, 'মহাকাশে এ-জাতীয় গ্রহ থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করেছিলাম। কিন্তু এবার আমরা ধারণামতো গ্রহটি পেলাম।' মহাকাশে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন গ্রহ এটিই প্রথম। অন্যান্য গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে এমন সব তরুণ গ্রহের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও এটা এখনো একাই ভেসে বেড়াচ্ছে। এ গ্রহ আবিষ্কারের তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার নামক বিজ্ঞান সাময়িকীতে। পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক ২৮৮০ সালের ১৬ মার্চ গ্রহাণুর আঘাতে আমাদের বাসস্থান পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ১৯৫০ডিএ নামের একটি গ্রহাণুর সত্যিই ওই তারিখে আঘাত হানার আশঙ্কা আছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই এখনই। বিজ্ঞানীদের হিসাবমতে, এ গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা মাত্র ০.৩%। আবার এতে পুলকিত হওয়ারও কিছু নেই। কারণ অন্য অনেক গ্রহাণুর চেয়ে পৃথিবীতে এর আঘাত হানার সম্ভাবনা ৫০% বেশি। তাহলে এবার আশা-নিরাশার দোলাচলে পড়ে গেছেন! এটি ৪৪৮০০ মেগাটন টিএনটির ক্ষমতা নিয়ে আঘাত হানবে। আর ১ মেগাটন মানে ১০ লাখ টন। তাহলে ৪৪৮০০ গুণ ১০,০০০০০ টন হবে। ১৯৫০ সালের ২৩ ফেব্রম্নয়ারি প্রথম আবিষ্কৃত হয় গ্রহাণুটি। ১৯৫০ডিএ ১৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর এটি ৫০ বছরের জন্য আড়ালে চলে যায়। ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর একে আবার দেখা যায়। এখন তা পৃথিবীর দিকে সেকেন্ড ১৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে। এ গ্রহাণুর ব্যাসার্ধ প্রায় ১ হাজার মিটার ও ১২৬ মিনিটে আবর্তিত হচ্ছে। এই গতিতে গ্রহাণুটি ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখনো সেরকম কিছু ঘটেনি। পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এটি ঘণ্টায় ৩৮ হাজার মাইল বেগে আছড়ে পড়তে পারে আটলান্টিক মহাসাগরে। ঘটনাটি ঘটতে পারে ২৮৮০ সালের ১৬ মার্চ। তাহলে কী হবে? তবে আগেও এরকম আসমানি বস্তু বা গ্রহাণু আঘাত হেনেছে পৃথিবীতে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে এরকম একটি বস্তুর আঘাতেই মরে গেছে পৃথিবীর বিশাল প্রাণী ডাইনোসরগুলো। তবে অনেক বিজ্ঞানী একে বিতর্কিত তত্ত্ব্‌ বা মত বলেছেন। তারা বলেছেন, এই পৃথিবীতে মহাপস্নাবন হয়েছিল। তার ফলেই ডাইনোসরেরা মারা গেছে। তবে সত্যিই যদি ৮৬৭ বছর পর পৃথিবীতে আঘাত হানে ১৯৫০ডিএ নামক গ্রহাণু, তাহলে কি বিলীন হবে মানবসভ্যতা? নতুন সুপার কম্পিউটার য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক চীন পরিকল্পনা করছে নতুন একটি সুপার কম্পিউটার তৈরি করতে, যেটি বর্তমানের সবচেয়ে পরিচিত সুপার কম্পিউটার তিয়ানহে-১এ এর চেয়েও এক হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। ধারণা করা হচ্ছে দুই বছর পর কম্পিউটারটি প্রস্তুতকরণ শেষ হলে এটিই কম্পিউটার জগতের নতুন একটি প্রজন্মের জন্ম দেবে। সংবাদটি জানা গেছে ভারতীয় সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণের একটি প্রতিবেদন থেকে। তিয়ানজিনে অবস্থিত চীনের ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটার সেন্টার ২০১৭ কিংবা ২০১৮ সালে উন্মুক্ত করবে নতুন ধরনের এই কম্পিউটারটি। সেকেন্ডে বিলিয়ন বিলিয়ন ক্যালকুলেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম এ ধরনের কম্পিউটারকে বলা হচ্ছে 'এক্সাস্কেল' কম্পিউটার। সেন্টারের অ্যাপিস্নকেশন বিভাগের প্রধান মেং জিনাংফি জানান এ তথ্য। এক্সাস্কেল কম্পিউটারকে বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের সুপার কম্পিউটার এবং এই শক্তিশালী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ইতিহাসের অন্যতম বড় একটি সাফল্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে। ২০১০ সালে তিয়ানহে-১এ স্বীকৃত হয় বিশ্বের দ্রম্নততম কম্পিউটার হিসেবে। এরপর তিয়ানহে-২ ২০১৩ সালে সে আসন ছিনিয়ে নিলেও তিয়ানহে-১এ এখনো বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত সুপার কম্পিউটার। কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা সুপার কম্পিউটারে সমসাময়িক বিভিন্ন অ্যাপিস্নকেশন চালানোকে নিয়েছে নতুন একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে।