মোটর টেকনোলজিতে বৈচিত্র্য

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ধীমান সাহা
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী বাইক শোর। একই সঙ্গে ১৪তম ঢাকা মোটর শো, ৪র্থ ঢাকা অটো পার্টস শো ও তৃতীয় ঢাকা কমার্শিয়াল অটোমোটিভ শো ২০১৯-এর আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে আইসিসিবির হল-২ এ মোটর শোয়ের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনদিনব্যাপী এই শোতে সুজুকি, টিভিএস, সুবারু, হোয়াজু, পাওয়ার, লিফান, কিওয়ে, এপ্রিলিয়া, স্পিডারসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বাইক ও গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ শোতে বাইক ছাড়াও মবিল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় বাইক ও অন্য পণ্য কিনলে গ্রাহকরা পাবেন নানা পুরস্কার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই কুপনের মাধ্যমে বিভিন্ন পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছে মেলায়। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে শো। আগামী ১৬ মার্চ রাত ৮টায় শেষ হবে এই বাইক শো। ঢাকায় তিন দিনের আন্তর্জাতিক মোটর শোর আয়োজন করেছে ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান সেমস বাংলাদেশ। ১৪ থেকে ১৬ মার্চ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের ২৬৫ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে মোটরকার, বাইক ও এর যন্ত্রাংশ নির্মাতা ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে। ১৪ মার্চ সকাল ১১টায় এর উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সম্প্রতি রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রদর্শনী আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সেমস গ্রম্নপের এমডি মেহেরুন এন ইসলাম। তিনি জানান, ঢাকা মোটর শো বাংলাদেশের অটোমোটিভ শিল্পের একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনী নতুন যানবাহনের একটি বড় পস্নাটফর্ম হয়ে উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রদর্শনী আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এরা হলেন- জাপানি গাড়ির ব্র্যান্ড সুবারুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনাইন মো. রিয়াদ, এনার্জি প্যাকের এজিএম ফাইয়াজ এইচ চৌধুরী, সুজুকির হেড অব সেলস এ কে এম তৌহিদুর রহমান, সেমস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম ও হেড অব মার্কেটিং নঈম শরিফ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে গাড়ির বাজার দ্রম্নত বাড়ছে। দৈনিক গড়ে ৬৩টি করে গাড়ি রাস্তায় নামছে। গত তিন বছরে গাড়ি বিক্রির হার তিনগুণ হয়েছে। একই সময়ে মোটরবাইক বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। বিকল্প জ্বালানিসহ সিএনজি রূপান্তর হচ্ছে প্রচুর। এর সঙ্গে যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। তারা জানান, বাংলাদেশে এক সময় বেশির ভাগই পুরাতন গাড়ি আসতো। তবে সেমসের এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এখন প্রচুর নতুন গাড়ি আসছে।