সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নতুন 'ভাষা'র খোঁজে য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক সহজ কথায়, ভাব/ভাবনা প্রকাশের যে কোনো মাধ্যমেই ভাষা হতে পারে মৌখিক, আক্ষরিক অথবা ইঙ্গিত। প্রাণিজগতের সবার সব মিলিয়ে কত ভাষা আছে বলতে পারছি না তবে শুধু মানুষেরই ভাষার সংখ্যা প্রায় ৬ হাজারের ওপর। সেই সঙ্গে গত শতাব্দী থেকে যোগ হয়েছে যন্ত্রের ভাষা, যা দিয়ে আমরা মেশিনের সঙ্গে কথা বলি, আদেশ-নির্দেশ দিই। এরই নাম 'প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ'। এ ভাষার সংখ্যাও কিন্তু কম নয় তবে হাতে গোনা কিছু জনপ্রিয় 'প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ' কর্তৃত্ব করে চলেছে। সম্প্রতি করহমংঃড়হ টহরাবৎংরঃু-এর ফরেনসিক সফ্‌টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রফেসর খবং ঐধঃঃড়হ-এর ৪৫ মিলিয়ন লাইনের কোডের এক জরিপে দেখা যায় ঈ,ঈ++ এবং ঔধাধ-তে বেশি লেখা হয়েছিল। এ ছাড়া ঋড়ৎঃৎধহ, অফধ,ঞপষ এবং অন্যান্য ভাষার দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু আজকের কম্পিউটিংয়ের সঙ্গে দশক পুরনো হাতে গোনা কয়েকটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যথেষ্ট নয়। স্বয়ং ঈ++ এর স্রষ্টা, প্রফেসর ইলধৎহব ঝঃৎড়ঁংঃৎঁঢ়-ও তাই মনে করেন। তিনি বলেন, জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো অনেক ক্ষেত্রে সহায়ক হলেও কিছু ফাংশনের জন্য এগুলো যুগোপযোগী নয়। এসব কারণে চলমান ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কোডিং হয়ে পড়ে জটিল, ব্যয় ও সময় সাপেক্ষ। প্রযুক্তি যখন মাল্টি-কোর প্রোসেসিং, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন-ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে তখন কিছু নতুন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে আসতে পারে সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন যা কিনা আগামীর সমস্যার সহজ সমাধান দিতে সক্ষম। সম্ভাবনাময় কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে বিজ্ঞানীরা আরও অনেক গবেষণা করছেন। এইচআইভি প্রতিরোধে আরেকটি সাফল্য য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক বছর না ঘুরতেই এইচআইভি প্রতিরোধে আরেকটি সাফল্য। আমেরিকার দুজন এইচআইভি পজিটিভ রোগীর, অস্থিমজ্জা স্থানান্তর দ্বারা স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে, ক্যান্সার প্রতিরোধী থ্যারাপি বন্ধের পরও দেখা গেছে, এইচআইভি ভাইরাসের কোনো নির্ধারণযোগ্য চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গত বুধবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল এইডস সোসাইটি কনফারেন্সে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এখনই একে নিরাময় বলা না গেলেও, এটি আশানুরূপ সাফল্য যে, চিকিৎসা বন্ধের পরও গত কয়েক মাসে আক্রান্ত রোগীদের দেহে নতুন করে এইচআইভি ভাইরাস বাসা বাঁধেনি। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে ওই দুই ব্যক্তির একজনের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য তিন বছর আগে স্টেম সেল চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। অন্য রোগীকে পাঁচ বছর আগে একই চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর তাদের এইডসের ওষুধ যথাক্রমে ১৫ সপ্তাহ ও সাত সপ্তাহ বন্ধ রাখার পরও এইচআইভির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ৪ বছর আগে প্রথম এইচআইভি থেকে আরোগ্যপ্রাপ্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়, যেখানে তাকে স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে লিউকেমিয়া রোগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ২০০৭ সালে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী টিমোথি রে ব্রাউনকে এ উপায়ে চিকিৎসা দেয়ায়, তার জার্মান চিকিৎসক দল ২ বছর পর ঘোষণা দিয়েছিল, ব্রাউন এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভ করেছে। এইচআইভিকে অকার্যকর করার চেষ্টায় নতুন আরও বেশ কয়েকটি সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে এইচআইভি আক্রান্ত একটি শিশুর ওপর বিশেষ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। ১৫ মাস পর ওষুধটি বন্ধ করে দেয়ার পর তার শরীরে ভাইরাসটি ফিরে আসার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। হলোগ্রাফিক ছবি দেখার প্রযুক্তি য়বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটে চশমা ছাড়াই হলোগ্রাফিক ত্রিমাত্রিক ছবি দেখার বিশেষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিউলেট প্যাকার্ডের (এইচপি) গবেষকরা। এক বিবৃতিতে এইচপির গবেষকরা জানিয়েছে, স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেট সামান্য কাত করেই এ ধরনের ত্রিমাত্রিক ছবি পরিষ্কারভাবে দেখা সম্ভব হবে। যদিও পস্নাস ফ্রি থ্রিডি প্রযুক্তি অবশ্য নতুন নয়। এর আগে জাপানি কোম্পানি নিনটেন্ডোর গেমিং কনসোল থ্রিডিএস হ্যান্ডহেল্ডে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এ ক্ষেত্রে গেমারদের স্ক্রিনের দিকে সরাসরি নাক তাক করে তাকাতে হয়। তবে আসন্ন এইচপির প্রযুক্তিতে ব্যবহারকারীকে এত বাধাধরা নিয়ম মানতে হবে না। এ প্রযুক্তিতে ৪৫ ডিগ্রি কোণেও ত্রিমাত্রিক ছবি দেখা যাবে বলে জানিয়েছে এইচপি। ওপর-নিচে-ডানে-বামে যে কোনো দিক থেকেই তা সম্ভব। গবেষকরা জানান, এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির ছবি একপাশ থেকে দেখা যাবে। আবার ঘুরিয়ে নিলে তার মুখের অন্য পাশ দেখা সম্ভব হবে। প্রযুক্তিবিদরা জানান, তারা ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাচের পাতের ওপর অতি ক্ষুদ্র ছিদ্র করতে সক্ষম হয়েছেন।