মহাকষীর্য় তরঙ্গ ও অন্যান্য

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

আলামিন হোসেন
১৪০০ কোটি বছর আগে মহাবিস্ফোরণ বা ‘বিগ ব্যাং’-এর পর যে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছিল, সেটাই মহাকষীর্য় তরঙ্গ। পুকুরে ঢিল ফেললে যেমন ঢেউ ছড়াতে ছড়াতে সেটি পাড়ে পেঁৗছে যায়, তেমনই এ বিশ্বব্রহ্মাÐে এখনো ওই মহাকষীর্য় তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ছে। আর চারপাশে অসম্ভব দ্রæতগতিতে মহাবিশ্ব এখনো প্রসারিত হয়ে চলেছে। তাই সেই তরঙ্গের পরিধিও উত্তরোত্তর বাড়ছে, কিন্তু তার হদিস পাচ্ছিলেন না মহাকাশবিজ্ঞানীরা। সে কারণে ভাবনা শুরু হয়েছিল আইনস্টাইনের তত্তে¡র পরিবধর্ন-পরিমাজের্নরও। অবশেষে ১০০ বছর পর তার তত্ত¡ই সঠিক প্রমাণিত হলো। সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে মহাকষীর্য় তরঙ্গের যে গাণিতিক পূবার্ভাস তিনি দিয়েছিলেন, তা পুরোপুরি সঠিক হলো। সরাসরি শনাক্ত হলো মহাকষীর্য় তরঙ্গ। ১০০ বছর আগে আপেক্ষিক তত্তে¡ যে মহাকষীর্য় তরঙ্গের দাবি করেছিলেন আইনস্টাইন, তার সত্যতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটিকে এ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। খবর বিবিসি ও রয়টাসের্র। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত¡ ১৯১৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পর একে একে এর পূবার্ভাস মিলতে শুরু করে। কিন্তু তার ওই তত্তে¡র একটি পূবার্ভাসের সরাসরি প্রমাণ মিলছিল না কিছুতেই। তা হলো ‘গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ’ বা মহাকষীর্য় তরঙ্গ। মহাকষীর্য় তরঙ্গ শনাক্তের জন্য বিজ্ঞানীরা লেজার রশ্মি ভ্রমণ করতে পারেÑ এমন ৪ কিলোমিটার দীঘর্ টানেল তৈরি করেন। গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবী থেকে ১০০ কোটিরও বেশি আলোকবষর্ দূরে দুটি কৃষ্ণগহŸরের সংঘষের্র ফলে স্থান-কাল কিভাবে বেঁকে যায়, তা তারা পযের্বক্ষণ করেছেন। আন্তজাির্তক বিজ্ঞানীদের একটি দল লিগো কোলাবোরেশন বলছে, প্রথমবারের মতো মহাকষীর্য় তরঙ্গ শনাক্ত করার মাধ্যমে জ্যোতিবির্জ্ঞানে নতুন যুগের সূচনা হবে। কয়েক দশক ধরে অনুসন্ধানের পর গবেষণাটি চ‚ড়ান্ত পযাের্য় পেঁৗছাল। এর মাধ্যমে ‘বিগ ব্যাং’ সম্পকের্ আরো জানার সুযোগ হতে পারে। তত্ত¡ অনুযায়ী বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমেই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। লিগো কোলাবোরেশনের গবেষণা প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ফিজিক্যাল রিভিউ লেটারসে প্রকাশের জন্য গৃহীত হয়েছে। লিগো কোলাবোরেশন এ নিয়ে বিশ্বের কয়েকটি গবেষণাগারে পরীক্ষা চালায়। লিগো প্রজেক্টের নিবার্হী পরিচালক ডেভিড রিজ বলেন, ‘আমরা মহাকষীর্য় তরঙ্গ শনাক্ত করেছি। এই প্রথম মহাকষীর্য় তরঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্ব আমাদের সঙ্গে কথা বলল।