মহাকাশে নতুন গ্রহ

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আফরিন জাহান নাসার কেপলার মিশন জানিয়েছে, তারা আরো ৭১৫টি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছে। আর এ গ্রহগুলো আমাদের সূর্যের মতো ৩০৫টি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। অর্থাৎ আমাদের সূর্যকে কেন্দ্র করে যেমন অনেক গ্রহ ঘুরছে ঠিক একইভাবে এ নক্ষত্রগুলোকে কেন্দ্র করেও ঘুরছে একাধিক গ্রহ। এ গ্রহগুলোর শতকরা ৯৫ ভাগই নেপচুনের চেয়ে আকারে ছোট। নেপচুনের আকৃতি পৃথিবীর প্রায় ৪ গুণ। নতুন এ গ্রহগুলোর আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীর সঙ্গে দৃশ্যত মিল আছে এ রকম জানা গ্রহের সংখ্যা আরো বেড়ে গেল। ঘঅঝঅ্থং ঝপরবহপব গরংংরড়হ উরৎবপঃড়ৎধঃব. ওয়াশিংটন ডিসির জন গ্রম্নন্সফিল্ড বলেন, 'কেপলার ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদলের নিরলস পরিশ্রমের ফলে অল্প সময়েই আমরা গ্রহদের অনুসন্ধানসংক্রান্ত বিষয়ে চমৎকার ফলাফল পেয়েছি।' আর এর ফলে মানুষের এ মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ পদচারণা কেমন হবে তারই ধারণা পাওয়া যাবে। আর সে লক্ষ্যেই তৈরির অপেক্ষায় রয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এর কাজ হবে এই 'নতুন বিশ্বগুলো'কে নিয়ে গবেষণা করা। আজ থেকে ২০ বছর আগে সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহটি আবিষ্কৃৃত হয়েছিল। এত মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যে গ্রহগুলোকে আলাদাভাবে নির্ণয় করা ছিল বেশ সময়সাপেক্ষ। তবে এখন বিজ্ঞানীদের কাছে রয়েছে, একটি পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রযুক্তি, যার ফলে নতুন গ্রহগুলো নির্ণয় করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার অসবং জবংবধৎপয ঈবহঃবৎ-এর গ্রহবিজ্ঞানী জ্যাক লিসাওর একটি গবেষণা পরিচালনা করেন, যার ফলে ২০০৯-১১, এ দুই বছরে অনেক গ্রহ ও নক্ষত্র আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। কেপলার প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মধ্যে হাজারের মতো নক্ষত্রকে বিবেচনায় আনা হয়। যাদের মধ্যে ৭১৫টি গ্রহ বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ গ্রহগুলোর মধ্যে অন্তত চারটির আকার পৃথিবীর চেয়েও ২.৫ গুণ বড়। এ আবিষ্কারের ফলে আমাদের সৌরজগতের বাইরে জানা গ্রহের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭০০টিতে। নাসার ওহঃবৎভধপব জবমরড়হ ওসধমরহম ঝঢ়বপঃৎড়মৎধঢ়য (ওজওঝ) মহাশূন্যযানকে উৎক্ষেপণ করা হয় বেশ কিছুদিন আগে। এ মহাশূন্যযানকে সূর্যের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে পরিভ্রমণ করতে পাঠানো হয়েছে। এর মূল কাজ এটা দেখা, কীভাবে বিভিন্ন সৌরপদার্থ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হয় ও শক্তি সঞ্চয় করে। এ মিশনের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের পৃথিবীর নিকটবর্তী নক্ষত্রের জন্মরহস্য অনুসন্ধান, আর সেখান থেকে উৎসারিত প্রবল মহাজাগতিক বল বা সৌরঝড় নিয়ে অনুসন্ধান করা। সৌরঝড়ের কারণে একটি নক্ষত্র থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাতের মতো বিস্ফোরণের মাধ্যমে এর ভেতরের গলিত উত্তপ্ত পদার্থগুলো নিঃসরিত হয়। সৌরজগতের এ ঘটনাটি ঠিক তখনই ঘটে যখন সূর্যের বাঁকানো চৌম্বক ক্ষেত্রগুলো একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে ও আবার যুক্ত হয়। এর ফলে যে বিস্ফোরণ ঘটে তার শক্তিমত্তা প্রায় কয়েক লাখ হাইড্রোজেন বোমার সমান। এ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট এক্স-রে ছড়িয়ে পড়ে মহাবিশ্বের সর্বত্র। আর সৃষ্ট এ তেজস্ক্রিয় ঝড়ের ফলে পৃথিবীতে মাঝেমধ্যে বেতার সংকেত মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। গত জানুয়ারিতে বেশ কয়েকটি সৌরঝড়ের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে ওজওঝ মহাশূন্যযান। যেমন জানুয়ারির ৭ ও ২৮ তারিখে। এর মধ্যে ৭ জানুয়ারি ঢ১.২ নামের একটি সৌরঝড়ের কারণে আন্তর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশনে মালামাল বোঝাই একটি কার্গো মহাশূন্যযানের যাত্রা বিলম্ব ঘটে।