নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে ওয়েবক্যামেরা

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
ওয়েবক্যাম হলো বিশেষ ধরনের ভিডিও ক্যামেরা যা একটি কম্পিউটারের সঙ্গে ইউএসবির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ইন্টারনেটে ভিডিও আদান-প্রদান করতে পারে। ১৯৯১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবক্যাম আবিষ্কার হয়। একুশ শতক থেকে ল্যাপটপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাপটপেই ওয়েবক্যাম যুক্ত করা শুরু করেছে। ওয়েবক্যাম সাধারণত একটি লেন্স (উপরে), ইমেজ সেন্সর (নিচে), এবং সমর্থনকারী সার্কিট দ্বারা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ওয়েবক্যামে মাইক্রোফোনও থাকে। ওয়েবক্যামে সাধারণত চার্জ কাপলড ডিভাইস বা কপিস্নমেন্টারি মেটাল-অক্সাইড-সেমিকন্ডাক্টর সেন্সর ব্যবহার করা হয়, তবে সস্তা হওয়ার কারণে কপিস্নমেন্টারি মেটাল-অক্সাইড-সেমিকন্ডাক্টর অধিক ব্যবহার করা হয়। ওয়েবক্যামেরা ডিজিটাল ক্যামেরার একটি বিশেষ রূপ। এটি হার্ডওয়ার হিসেবে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত থাকে। সাধারণত ল্যাপটপ কম্পিউটারে এ ক্যামেরা সংযুক্ত থাকে। ওয়েবক্যামেরার মাধ্যমে স্থির চিত্র বা ভিডিও চিত্র কম্পিউটারে ইনপুট হিসেবে প্রবেশ করানো যায়। ওয়েবক্যামেরা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে সরাসরি ছবি বা ভিডিও আদান-প্রদান করতে পারে। সামাজিক ওয়েবসাইটগুলোতে আলাপচারিতায় ওয়েবক্যাম ব্যবহৃত হয়। ভিডিও কনফারেন্স বা ভিডিও ফোনে ওয়েবক্যামেরার ব্যবহার সর্বাধিক। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে এ ক্যামেরার ব্যাপক ব্যবহারের কারণেই এর নাম হয়েছে ওয়েবক্যাম। ওয়েবক্যাম বা ওয়েবক্যামেরা হচ্ছে এক ধরনের ভিডিও ক্যামেরা, যা বাস্তব সময়ের ভিডিও ধারণ করে এবং একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তা কোনো মনিটরে প্রদর্শন করে। বাস্তব সময়ের ভিডিও চিত্র ধারণের পর তা ব্যবহারকারী নিজে দেখতে পারে অথবা ই-মেইল ইত্যাদির মাধ্যমে অন্য কোথাও প্রেরণ করতে পারে। আইপি ক্যামেরা (যা সাধারণত ইন্টারনেট বা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়), যেভাবে মূল সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে থাকে, ওয়েবক্যাম সেভাবে যুক্ত না হয়ে সাধারণত ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে থাকে। দূর থেকে ভিডিও কথোপকথনের ক্ষেত্রে ওয়েবক্যাম যেমন বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকে, তেমনি এর বাণিজ্যিক মূল্যও কম। ওয়েবক্যামের সর্বাধিক ব্যবহার হচ্ছে ওয়েব লিঙ্ক তৈরির মাধ্যমে একটি কম্পিউটার বা ডিভাইসকে অন্য একটি কম্পিউটার বা ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করে ভিডিও কথোপকথনের সুবিধা প্রদান। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার বা ডিভাইসটি একটি ভিডিও ফোন অথবা ভিডিও কনফারেন্স স্টেশন হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ওয়েবক্যাম নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ, কম্পিউটার ভিশন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, নিরাপত্তা ক্ষেত্রে, ভিডিও সম্প্রচার এবং সামাজিক ভিডিও রেকর্ড করা ইত্যাদি কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের কাজে বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েবক্যামকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ১৯৯১ সালে, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম উন্নতকরণের কাজ করা হয়। ১৯৯৪ সালে প্রথম সাদা-কালো ওয়েবক্যাম বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে। এটি বাজারজাত করে আমেরিকার একটি কোম্পানি কানেকটিক্স। ১৯৯৪ সালের আগস্ট মাসে প্রথম অ্যাপল ম্যাকিনটোশের কুইকক্যাম বাজারে আসে। এ ওয়েবক্যামগুলোর দাম ছিল ১০০ ডলার করে। ১৯৯৫ সালের অক্টোবরে পার্সোন্যাল কম্পিউটারে ওয়েবক্যাম ব্যবহারের জন্য মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সিরিয়াল পোর্ট ও সফটওয়্যার বাজারে নিয়ে আসে। এগুলো সব ওয়েবক্যামের ইতিহাস। ওয়েবক্যাম হচ্ছে এমন এক ধরনের ভিডিও ক্যামেরা, যা বাস্তব সময়ের ভিডিও কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মনিটরে প্রদর্শন করে। এ ভিডিওচিত্র তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারকারী নিজে দেখতে পারে আবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোথাও প্রেরণ করতে পারে। অর্থাৎ ওয়েবক্যাম হলো বিশেষ ধরনের ভিডিও ক্যামেরা, যা দিয়ে ইন্টারনেটে ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। এটি কম্পিউটারের সঙ্গে ইউএসবির মাধ্যমে যুক্ত থাকে। ১৯৯১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম ওয়েবক্যাম আবিষ্কৃৃত হয়। একুশ শতক থেকে ল্যাপটপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাপটপেই ওয়েবক্যাম যুক্ত করা শুরু করে। বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোতে ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে ওয়েবক্যাম সংযুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে এটির ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়িতে নিরাপত্তার প্রয়োজনে এ ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এ ক্যামেরার সঙ্গে সরাসরি কম্পিউটারের সংযোগ থাকে। ফলে এ ক্যামেরা সার্বক্ষণিক ভিডিও চিত্র কম্পিউটারে প্রেরণ করে এবং তা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। পরে সে ভিডিও চিত্র দেখে অপরাধী শনাক্ত করা সম্ভব হয়। আমাদের দেশে অপরাধ দমনে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।