সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মোবাইল জীবন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক মোবাইল ফোন এখন সময়ের চাহিদা। না, একে আসলে চাহিদার চেয়ে প্রয়োজনীয় বলাটাই বেশ মানানসই। ডিজিটাল যুগে এ জিনিসটির প্রয়োজনীয়তা বলার অবকাশ থাকে না। আর সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোবাইল ফোনে আসছে অনেক আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন। আর মানুষের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনও হয়ে যাচ্ছে স্মাটর্। তাই তো বাজার সয়লাব স্মাটের্ফানে। আর নতুন নতুন ফিচারসহ এসব স্মাটের্ফানের ক্রেতা মূলত তরুণরাই। বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন-সংবলিত এসব মুঠোফোন সহজেই স্থান করে নিয়েছে সবার পকেট বা পাসের্। সোশ্যাল নেটওয়াকির্ং সাইট থেকে শুরু করে টেলিভিশনÑ সবকিছু এক হাতের মুঠোয়। এ প্রজন্মের তরুণদের সব চাহিদাই যেন মিটিয়ে দিচ্ছে এ ছোট্ট যন্ত্রটি। অবসরে গান বা গেমস এমনকি চাইলে মুভি। ইন্টারনেট, গুগল প্লেস্টোর, ওয়েব ব্রাউজিং ডাউনলোড সব। এমনকি নতুন জায়গায় অচেনা পথ! সে জন্য রয়েছে ম্যাপস। স্ক্যানার, টচর্, ডিকশনারিসহ আরো নানা ধরনের সহায়তাকারী অ্যাপস; যা জীবনকে করে তুলেছে আরো সহজ। এ সময়ের ফোনগুলোকে আসলে গড়ে তোলা হয়েছে জীবনকে আরো একধাপ সহজ করে তোলার জন্য। যে কারণেই তরুণদের হাতে হাতে এখন স্মাটর্র্ফোন না থাকাটাই অস্বাভাবিক। কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে যেন এসব গেজেটের ব্যবহার কখনো ভুল পথে না হয়, আর তাহলেই এসব গেজেট সত্যিকার অথের্ হয়ে উঠবে সবার জন্য আশীবার্দ। ডাইনোসরের প্রকারভেদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক প্রাণিবিজ্ঞানীরা ডাইনোসরকে সরীসৃপ হিসেবে ভাগ করেছেন। তাই বিভিন্ন প্রকার ডাইনোসর হলো যথাÑ ১. ব্রান্টোসোরাস ২. ব্রাচিও সোরাস ৩. স্টেগোসোরাস ৪. ডিপলোপডুকাস ৫. টাইরানোসোরাস ইত্যাদি। তবে বিভিন্ন প্রকার এই প্রাণীর নাম ডাইনোসর। প্রাণী ও ফসিল বিজ্ঞানীরা ডাইনোসরকে ঝধাৎপযরধ ও জঁঃঃযরংপযরধ এ দুই প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। কিছু কিছু ডাইনোসর ৬০-৭০ ফুট দীঘর্ ছিল। ব্রান্টোসোরাস উঁচু হয়ে দঁাড়ালে চারটি হাতির সমান দেখাত। ডিপলোপডুকাস ছিল, ৯০ ফুট দীঘর্। তবে ব্রাচিওসোরাসের চেয়ে কিছুটা ক্ষীণকায়। ব্রাচিওসোরাস ছিল সবচেয়ে বৃহদাকার ডাইনোসর। তবে আদিম পৃথিবীর স্থলভাগে এত বড় আর কোনো প্রাণী ছিল না। ব্রাচিওসোরাস অনায়াসে তিন তলা দালানের সমান উঁচুতে স্পশর্ করতে পারত। প্রকাÐ দেহ নিয়ে এরা অধিকাংশ সময় পানিতে বাস করত। জলভাগ ও স্থলভাগ উভয় স্থানেই এরা তৃণভোজন করত। বিজ্ঞানীরা প্রত্যেক মহাদেশেই এদের ফসিল আবিষ্কার করেছেন। মাংসভোজী ঞযবৎড়ঢ়ড়ফং শ্রেণির অন্তভুর্ক্ত ছিল। তারা ডিম থেকে শুরু করে সব প্রাণী ধরে খেত। তারপর একসময় পরিবেশ বিপযের্য়র ফলে ডাইনোসরের জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে পড়ে। তৃণলতার পরিবতের্ নতুন ধরনের গাছপালার জন্ম হয়। তা ছাড়া নানা অজ্ঞাত কারণে এরা মরতে শুরু করে। অঙ্গ সংযোজন নিয়ে গবেষণায় সাফল্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক মানবদেহে অঙ্গ সংযোজনের উপাদানের ক্ষেত্রে নতুন গবেষণায় দুটি গুরুত্বপূণর্ সমীক্ষায় প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে বিশেষ কোষ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এগুলো ভবিষ্যতে বহুমূত্র ও লিউকোমিয়ার মতো রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে। কিন্তু এ গবেষণায় গুরুতর নৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রের ইউসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ঊধ্বর্তন গবেষণা কমর্কতার্ ভাজিির্নয়া হিংসো বিবিসিকে বলেন, এ ধরনের এ প্রক্রিয়ার নৈতিকতা সম্পকের্ জনগণের উদ্বেগকে তিনি শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন, গবেষণাটি খুবই নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মধ্যে করা হয়েছে। আর ব্যবহৃত কোষগুলো সবই এসেছে স্বেচ্ছায় দান থেকে। তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করার বিপুল সম্ভাবনা প্রক্রিয়াটিতে রয়েছে। এ সম্পকের্ তিনি আরো বলেন, এ কোষটি যকৃতের কোষ, চামড়ার কোষ অথবা মূত্রগ্রন্থির কোষ হতে পারে। কোষ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বদলে নতুন কোষ স্থাপন করা সম্ভব হবে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপুল সম্ভাবনাসহ এটি সত্যি চমৎকার আবিষ্কার। এটি একটি অসাধারণ অগ্রগতি। অনেক দিন ধরে বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে বিশেষ ধরনের ভ্রƒণ কোষ গঠন করতে চেয়ে সফল হননি। ব্রিটেনের নেতৃস্থানীয় প্রজননবিশারদ লডর্ উইলসন বলেছেন, তিনি আবিষ্কারটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মহিলাদের স্বাভাবিক প্রজনন চক্রে ৫ ভাগের ৪ ভাগ নিষিক্ত ডিম্বাণু নষ্ট হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, নিষিক্ত ডিম্বাণুর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে যায়। নিষিক্ত ডিম্বাণু ব্যবহার করে এসব কোষ তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এদিকে মানুষের নিষিক্ত ডিম্বাণু ব্যবহার করে এসব কোষ তৈরি করার সংবাদে গভর্পাতবিরোধীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ সাহসী আবিষ্কারের ফলে অস্ত্রোপচারে সংযোজনের জন্য নতুন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি করা যাবে। ১০ বছরের মধ্যে তা করা সম্ভব। এসব কোষ অবিকল নকল মানুষ তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে না।