ডিজিটাল অ্যাপসে ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ছবি ঘোষ
বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় অ্যাপসের প্রচলন ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। এগুলো দিয়ে এবার ঈদে চলবে ডিজিটাল কেনাকাটা ছবি : ইন্টারনেট
বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় অ্যাপসের প্রচলন ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। বিভিন্ন সময়ের পাশাপাশি উৎসবে এই অ্যাপসগুলোর ব্যবহার বেশি হতে দেখা যায়। বাংলাদেশের প্রচলিত অ্যাপসগুলোর মধ্যে রয়েছে আইপে, ডাচ-বাংলার নেক্সাস-পে, ইউসিবির ইউপে, ব্র্যাকের বিকাশ প্রভৃতি। বিভিন্ন সময়ে আমরা এ সকল ব্র্যান্ডের জন্য নানা রকম চুক্তি অনুষ্ঠিত হতে দেখি। দেশের প্রথম ই-ওয়ালেট আইপে লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে জিলস। এই চুক্তির আওতায় আইপের মাধ্যমে দেশের জিলস শপে চালু হলো পেমেন্ট সুবিধা। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে আইপের প্রধান কাযার্লয়ে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তি সইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন জিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম মো. আল আমিন, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম এ কাদের, রিটেল সেলস ম্যানেজার মো. মনিরুল মোরশেদ, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স) আমিরুল ইসলাম (মুরাদ)। আইপের উপদেষ্টা মোহাম্মদ নুরুল আমিন, হেড অব মাচের্ন্ট রায়হান ফাইয়াজ ওসমানি, ম্যানেজার, হেড অব বিজনেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি মোহাম্মাদ আবুল খায়ের চৌধুরী, সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মো. মহসিন খান, ম্যানেজার মাচের্ন্ট একুইজেশন এবং এইচভিও সাগির আহমেদ রবিন, ম্যানেজার মাচের্ন্ট অপারেশন মাহবুবুর রহমান, স্পেশালিস্ট, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মাচের্ন্ট একুইজেশন তানভির শরিফ খান। আইপে সিস্টেমস লিমিটেড বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ওয়ালেট সাভির্স যা বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃর্ক পেমেন্ট সাভির্স প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্স প্রাপ্ত। অ্যাপল স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে আইপের অ্যাপ ডাউনলোড করে খুব সহজেই যে কোনো ধরনের লেনদেন কিংবা যে কোনো পণ্য কিনে অনলাইনে বিল পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া আইপের মাধ্যমে বিল পরিশোধ, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আইপে অ্যাকাউন্টে টাকা আনা, কাউকে টাকার অনুরোধ পাঠানো এবং টপআপ করা যায়। আইপেতে সাইনআপ করার সময় সাধারণ তথ্য, যেমনÑ নাম, মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়াডর্ সেট করতে হবে। এরপর অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য নিজের একটি ছবি এবং ন্যাশনাল আইডি কাডর্, পাসপোটর্ বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে কোনো একটির ছবি আপলোড করতে হবে। সবশেষে সোসর্ অফ ফান্ড নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করতে হবে অথবা ক্রেডিট/ডেবিট কাডর্ থেকে আইপে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে। দেশের প্রথম ই-ওয়ালেট আইপে লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে মীনা বাজার (জেমকন)। এ চুক্তির আওতায় এখন থেকে ‘মীনা বাজারের’ যে কোনো পণ্য কেনা যাবে আইপের মাধ্যমে। সম্প্রতি জেমকন ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টসের প্রধান কাযার্লয়ে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মীনা বাজারের প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ শাহিন খান, জেনারেল ম্যানেজার (এইচওডি) ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আহমেদ শোয়েব ইকবাল, ম্যানেজার ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস রাহি আলাউল রায়হান। আইপের পক্ষ থেকে প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ জাকারিয়া স্বপন, হেড অব মাচের্ন্ট, রায়হান ফাইয়াজ ওসমানি, ম্যানেজার-মাচের্ন্ট একুইজেশন সাগির আহমেদ রবিন, মাচের্ন্ট সাভির্স মাহবুবুর রহমান এবং স্পেশালিস্ট বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাইমুর রাহমান। আইপে সিস্টেমস লিমিটেড বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ওয়ালেট সাভির্স যা বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃর্ক পেমেন্ট সাভির্স প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্স প্রাপ্ত। অ্যাপল স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে আইপের অ্যাপ ডাউনলোড করে খুব সহজেই যে কোনো ধরনের লেনদেন কিংবা যে কোনো পণ্য কিনে অনলাইনে বিল পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া আইপের মাধ্যমে বিল পরিশোধ, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আইপে অ্যাকাউন্টে টাকা আনা, কাউকে টাকার অনুরোধ পাঠানো এবং টপআপ করা যায়। আইপেতে সাইন আপ করার সময় সাধারণ তথ্য, যেমন- নাম, মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়াডর্ সেট করতে হবে। এরপর অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য নিজের একটি ছবি এবং ন্যাশনাল আইডি কাডর্, পাসপোটর্ বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে কোনো একটির ছবি আপলোড করতে হবে। সবশেষে সোসর্ অফ ফান্ড নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করতে হবে অথবা ক্রেডিট/ডেবিট কাডর্ থেকে আইপে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে। দেশের প্রথম ই-ওয়ালেট আইপে লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে লোটো। এই চুক্তির আওতায় আইপের মাধ্যমে দেশের সব লোটো শপে চালু হলো পেমেন্ট সুবিধা। সম্প্রতি রাজধানীর টঙ্গীতে লোটোর প্রধান কাযার্লয়ে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তি সইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন লোটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জামিল ইসলাম, ডিরেক্টর অপারেশন মোহাম্মাদ বশির আলম, হেড অফ মাকেির্টং শফিকুর রাহমান লিটন, হেড অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস মো. আবু ইশা ভূঁইয়া, মাকেির্টং কনসালট্যান্ট কাজী জাভেদ ইসলাম। আইপের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, আইপের হেড অব মাচের্ন্ট রায়হান ফাইয়াজ ওসমানি, ম্যানেজার মাচের্ন্ট একুইজেশন সাগির আহমেদ রবিন, ম্যানেজার মাচের্ন্ট অপারেশন মাহবুবুর রাহমান। ম্যানেজার মাচের্ন্ট সাভিির্সং অ্যান্ড ট্রেড মাকেির্টং আল কানান চৌধুরী। আইপে সিস্টেমস লিমিটেড বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ওয়ালেট সাভির্স যা বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃর্ক পেমেন্ট সাভির্স প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্স প্রাপ্ত। অ্যাপল স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে আইপের অ্যাপ ডাউনলোড করে খুব সহজেই যে কোনো ধরনের লেনদেন কিংবা যে কোনো পণ্য কিনে অনলাইনে বিল পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া আইপের মাধ্যমে বিল পরিশোধ, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আইপে অ্যাকাউন্টে টাকা আনা, কাউকে টাকার অনুরোধ পাঠানো এবং টপআপ করা যায়। আইপেতে সাইন আপ করার সময় সাধারণ তথ্য, যেমন- নাম, মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়াডর্ সেট করতে হবে। এরপর অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য নিজের একটি ছবি এবং ন্যাশনাল আইডি কাডর্, পাসপোটর্ বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে কোনো একটির ছবি আপলোড করতে হবে। সবশেষে সোসর্ অফ ফান্ড নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করতে হবে অথবা ক্রেডিট/ডেবিট কাডর্ থেকে আইপে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে। ব্যাংকিং সেবার সুবিধা বঞ্চিত বা ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা সাধারণ মানুষের আথির্ক অন্তভুির্ক্তর লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিকাশ। দেশের অভ্যন্তরে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি আরও নানা সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকদের যে কোনো লেনদেন আরও সহজ, দ্রæত ও নিরাপদ করতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে অ্যাপ। ২০১০ সালে বাংলাদেশে বিকাশ কাযর্ক্রম শুরু করলেও ২০১১ সালে পুরোপুরি মাঠে নামে। দীঘর্ ৭ বছর পর প্রযুক্তির হালের এই সংস্করণ অ্যাপকে ধরে ফেলেছে তারা। সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগঁাও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সেই সম্পকের্ই পরিচিতি তুলে ধরেন বিকাশের কমর্কতার্রা। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিকাশের যাত্রা থেকে বতর্মান সময় পথপাড়ি পযর্ন্ত তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নিবার্হী (সিইও) কামাল কাদীর। এরপর অ্যাপ ও তার ব্যবহার নিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করেন প্রধান বিপণন কমর্কতার্ মীর নওবত আলী। প্রধান নিবার্হী এসময় বলেন, অ্যাপ আনতে আমরা সময় নিয়েছি। আমরা চাচ্ছিলামÑ আগে সাধারণ মানুষের স্মাটের্ফান সম্পকের্ ভালো ধারণা তৈরি হোক। আমরা যদি ২০১১ সালেই অ্যাপ আনতাম তাহলে হয়তো আমাদের সাধারণ মানুষকে অ্যাপ সম্পকের্ আগে পড়িয়ে নিতে হতো। তিনি বলেন, সব ধরনের মানুষ সম্পকের্ গবেষণা করেই এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এখানের শিক্ষিত শ্রেণির মানুষের জন্য যেমন সুবিধা রাখা হয়েছে, তেমনি যারা কম অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাংলা ছাড়াও ইংরেজি ভাষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘ছবি ও লেখা সমৃদ্ধ এই অ্যাপে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্স বা মৌখিক নিদের্শনারও সুবিধা আছে। অথার্ৎ যে কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা সুনিদির্ষ্ট ধাপে গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় নিদের্শনা দেয় এই অ্যাপ।’ কামাল কাদীর বলেন, বিকাশে লেনদেনের ক্ষেত্রে এখন আর প্রাপকের নম্বর টাইপ করার দরকার নেই। বিকাশ অ্যাপে সেন্ড মানি, বাই এয়ারটাইম (মোবাইলে রিচাজর্) ও রিকোয়েস্ট মানি লেনদেনের সময় সরাসরি কন্ট্যাক্ট লিস্ট থেকে নম্বর নেয়া যাবে। ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভুল এড়াতে রাখা হয়েছে কিউআর কোড ব্যবস্থাও। নতুন অ্যাপ ব্যবহারের কিছু ছাড় দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, আমরা প্রোমোশনের জন্য সাভির্স কমিয়ে রেখেছি। যারা এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করবেন, তাদের প্রতি হাজারে ১৫ টাকা সাভির্স চাজর্ কাটা হবে। অ্যাপের বাইরে যেটা সাড়ে ১৮ টাকা নিধাির্রত আছে। অথার্ৎ হাজারে সাড়ে ৩ টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছি। এটার মাধ্যমে কোনো পাসোর্নাল নম্বরে টাকা পাঠানো হলে কোনো চাজর্ কাটা হবে না। অ্যাপের বাইরে যেটি ৫ টাকা বিদ্যমান আছে। অনুষ্ঠানের প্রধান বিপণন কমর্কতার্ মীর নওবত আলী কীভাবে এই ব্যবহার করতে হবেÑ তার প্রক্রিয়া সম্পকের্ বিস্তারিত তুলে ধরেন। এরপর তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে ভাড়া সাড়া পেয়েছি। প্রায় ১৮ দিনে ১৪ লাখ মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। এসময় প্রতিষ্ঠানটির অন্য কমর্কতার্রাও উপস্থিত ছিলেন। নেক্সাস-পে, ইউপে, বিকাশ, আইপে ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে নানা রকম ছাড় দিচ্ছে।