ভয়েজার

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
ব্রিটিশ বিজ্ঞান লেখক ক্রিস্ট ক্রাইলি বলেছেন, আমরা আমাদের গ্যালাক্সিতে অন্য কোনো প্রাণীর সভ্যতা আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছি। এ রেকডর্টা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা আগামী ১০০ কোটি বছর পযর্ন্ত অক্ষয় বা ভালো থাকতে পারে। এমনও তো হতে পারে, কোনো কারণে মানবসভ্যতা বা এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। হতে পারে বিশাল বিস্ফোরণ বা কিয়ামত। এটা তখন পৃথিবীর মানবসভ্যতার একমাত্র প্রমাণ হয়ে থাকবেÑ এই যে পৃথিবী বা সৌরজগৎ এখানে একদিন মানুষ ও আদশর্ সভ্যতার বসবাস ছিল। সুপারনোভা বা বিস্ফোরিত তারার অবশিষ্ট বা অন্যান্য অংশ থেকে। বাস্তবিক অথের্ই ভয়েজার এখন অচেনা অজানা এক নতুন পরিবেশ ও জগতে রয়েছে। এর ছবি ও বাতার্ চালু থাকবে যত দিন এর বিদ্যুৎপ্রবাহ চালু থাকবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে ১০ বছরের মধ্যেই তা-ও শেষ হয়ে যাবে। তখনো এই চ্যাম্পিয়ন মহাকাশযানটি চলতেই থাকবে ক্রমাগত সামনের দিকে। কিন্তু তখন আর পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে না। এই চ্যাম্পিয়ন মহাকাশযানটির মধ্যে রাখা হয়েছে একটি গ্রামোফোনের সোনালি রেকডর্, যার মধ্যে রাখা আছে এই মানবসভ্যতার বিভিন্ন নিদশর্ন। প্রাণিজগতের বিভিন্ন রকমের শব্দ। যেমন মানুষের ছবি ও কথাবাতার্, বিভিন্ন দেশের গান, যন্ত্রসঙ্গীত, যানবাহনের শব্দ, বিভিন্ন প্রাণীর ডাক, কিছু সাংকেতিক বাতার্ ইত্যাদি। কালর্ সাগান এর গায়ে এঁকেছেন এক ধরনের সংকেত। বিভিন্ন দেশের ভাষার নমুনা এতে আছে। আছে রক্তের বিনিময়ে আন্তজাির্তক ভাষা দিবসের মযার্দা পাওয়া বাংলা ভাষাও। উদ্দেশ্য হলো, সৌরজগতের বাইরে অন্য কোথাও যদি প্রাণের অস্তিত্ব বা বুদ্ধিমান প্রাণীর কোনো সভ্যতা থেকে থাকে তারা যেন এই সোনালি রেকডর্ থেকে পৃথিবীর মানবসভ্যতা ও পরিবেশ সম্পকের্ ধারণা পেতে পারে। আমেরিকান বিজ্ঞান লেখক কালর্ সাগানসহ আরো ১০ জন বিজ্ঞানী এ রেকডির্ট তৈরি করেছিলেন। এতে বিভিন্ন রকম শব্দ দিয়ে এ পৃথিবীর পরিবেশ ও চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ধরুন আমরা যদি পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনো সভ্যতা বা গ্রহ থেকে কোনো রেডিও সংকেত পাই, তাহলে আমরাও তো সেই অজানা গ্রহ ও তার অধিবাসীদের জীবন থেকে বিভিন্ন রকম শব্দ শুনতে চাইব।