সুপার কম্পিউটার

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
কম্পিউটার-বিজ্ঞানীরা সুপার কম্পিউটারে সমসাময়িক বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানোকে নিয়েছেন নতুন একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এ ব্যাপারে মেং বলেন, তেল অন্বেষণ ডেটা ম্যানেজমেন্ট, অ্যানিমেশন এবং ভিডিও ইফেক্ট, বায়োমেডিক্যাল ডেটা প্রসেসিং ও উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি তৈরির মতো কাজ তিয়ানহে-১এ দ্বারা সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব, তাই দিন দিন এর কমর্ক্ষমতা বেড়েই চলেছে। বতর্মানে তিয়ানহে-১এ কম্পিউটারটি দিনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বড় ধরনের কাজ এবং প্রায় ১ হাজার ব্যবহারকারীকে সেবা প্রদান সম্পন্ন করে। চীন পরিকল্পনা করছে নতুন একটি সুপার কম্পিউটার তৈরির, যা বতর্মানের সবচেয়ে পরিচিত সুপার কম্পিউটার তিয়ানহে-১এ-এর চেয়েও ১ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। ধারণা করা হচ্ছে দুই বছর পর কম্পিউটারটি প্রস্তুতকরণ শেষ হলে এটিই কম্পিউটার জগতের নতুন একটি প্রজন্মের জন্ম দেবে। সংবাদটি জানা গেছে ভারতীয় সংবাদ চ্যানেল এনডিটিভির অনলাইন সংস্করণের একটি প্রতিবেদন থেকে। তিয়ানজিনে অবস্থিত চীনের ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটার সেন্টার ২০১৭ কিংবা ২০১৮ সালে উন্মুক্ত করবে নতুন ধরনের এ কম্পিউটারটি। সেকেন্ডে বিলিয়ন বিলিয়ন ক্যালকুলেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম এ ধরনের কম্পিউটারকে বলা হচ্ছে ‘এক্সাস্কেল’ কম্পিউটার। সেন্টারের অ্যাপ্লিকেশন বিভাগের প্রধান মেং জিনাংফি জানান এ তথ্য। এক্সাস্কেল কম্পিউটারকে বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের সুপার কম্পিউটার এবং এ শক্তিশালী কম্পিউটার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ইতিহাসের অন্যতম বড় একটি সাফল্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে। ২০১০ সালে তিয়ানহে-১এ স্বীকৃত হয় বিশ্বের দ্রæততম কম্পিউটার হিসেবে। এরপর তিয়ানহে-২ ২০১৩ সালে সে আসন ছিনিয়ে নিলেও তিয়ানহে-১এ এখনো বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত সুপার কম্পিউটার।