কোয়ান্টাম জগতে অন্যরূপ

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

রমালী আহমেদ
নীল আকাশ, মায়াময় চঁাদ, প্রকৃতি, মহাবিশ্ব এদের দিকে কোনো পযের্বক্ষক যদি চেয়ে না দেখে তা হলে ধরে নিতে হবে বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। আমি না দেখলেও বিশ্বজগৎ যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। ব্যক্তি আমির বইরে থাকলেও, মহা আমি, মহাচৈতন্যের বাইরে নয়। ব্যক্তি আমির মধ্যেই তো মহাচৈতন্যের জীবন্ত প্রকাশ। রবিঠাকুরের ভাষায় : ধরণীর একা কোণে ধরিবে কি মধুর সুরভী। এই আসলে মানুষ। মানুষ মহাবিশ্বের সাথর্ক আধ্যাত্মিক সৌন্দযর্ মানুষের ইচ্ছায় রচিত হবে তার মনের মতো জগৎ। পরমাণুর অভ্যন্তর জগৎ যখন তার ইচ্ছায় রচিত হবে এবং এর ফলে বাস্তব জগৎ তার অনুক‚লে আসবে আরো সুদৃঢ়রূপে যেমনটি সে চায়। শনাক্ত না হলে কোনো কথা বাস্তবে থাকে না অথার্ৎ পযের্বক্ষক থাকতে হবে তার মধ্যে চৈতন্যময় সত্তার পযের্বক্ষণ অপরিহাযর্। বিষয়টিকে ভুতুড়ে মনে হলেও আমি মনে করি বিষয়টি ভুতুড়ে নয় কেননা আমাদের মস্তিষ্কের রয়েছে তরঙ্গ তা জামাির্নর ট্যুবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ু মনোবিজ্ঞানী নিলয় বিরবাত্তম্যায় ইইজির মাধ্যমে শনাক্ত করেছেন। এ বিষয়টির উৎকষর্ সাধন করে অচিরেই ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারনেট বা বিসিআই দ্বারা কম্পিউটার চালনা সম্ভব হবে। শুধু চিন্তার দ্বারাই এবং অট ট্রান¯েøশন ডিভাইসের বা টিটির মাধ্যমে প্যারালাইজড রোগীর রোগ নিয়ন্ত্রণ যথারীতি বতর্মানে চলছে। ধ্যান করে যে মানুষ সুফল পায় আসলে মস্তিষ্কের তরঙ্গ শক্তির নিয়ন্ত্রণের দ্বারা আমি মনে করি সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন মস্তিষ্ক তরঙ্গ আরো ব্যাপকভাবে শনাক্ত হবে। কোয়ান্টাম স্তরের সাব অ্যাটমিক দ্বারা জ্ঞান যত নিখঁুত হবে ততই মানুষ ইচ্ছাশক্তি তরঙ্গরূপে কণা ও শক্তি শনাক্তকরণের কাজে লাগাতে পারবে। ইচ্ছার বিমূতর্ শক্তি কোয়ান্টাম স্তরে পযের্বক্ষকের ভ‚মিকায় অবতীণর্ হবে এবং ধ্যানের আরো ব্যাপক সুফল অজের্ন সক্ষম হবে। ধ্যানের দ্বারা মস্তিষ্ক তরঙ্গ অনেক বেশি পরিশীলিত নিয়ন্ত্রিত হয়। ঘরবষং নড়যৎ বলেছেন, কোয়ান্টাম তত্ত¡ দ্বারা ঝযড়পশবঃ না হলে কোয়ান্টাম তত্ত¡ বুঝবেন না। পরমাণুর অভ্যন্তরে একটি ইলেকট্রন একাধিক সুপ্ত অবস্থায় থাকবে, কেবল দশের্কর পযের্বক্ষণের পরই একটি নিদির্ষ্ট অবস্থায় তা উপনীত হবে। মহাবিশ্বও ইলেকট্রনের মতো একাধিক সুপ্ত কোয়ান্টাম অবস্থায় ছিল বলে মনে করা হয়। মহাবিশ্বের অসংখ্য সম্ভাবনা থেকে একটি মাত্র বাস্তব রূপলাভ করে। মহাবিশ্বের অসংখ্য সম্ভাবনার ধারণা থেকে ১৯৫৭ হিউজ এভারেট নিয়ে আসেন সমান্তরাল অসংখ্য মহাবিশ্বের ধারণা, আমরা তার একটিতে মাত্র বাস করছি। কোয়ান্টাম তত্ত¡ নিয়ে গুরুত্বপূণর্ অবদানের জন্য যারা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন : ম্যাক্স প্লাঙ্ক ১৯১৮, আইনস্টাইন ১৯২১, নিলস বোর ১৯২২, ডিব্রগলি ১৯২৯, হাইসেনবাগর্ ১৯৩২, ডিরাক ও শ্রোডিংগার ১৯৩৩, পাউলি ১৯৪৫, ম্যাক্স বনর্ ১৯৫৪ সালে। যদি দুটি কণা এক সময় একত্রে থাকে এবং যদি পরে তারা পৃথক হয়ে যায় একটি কণা ভেঙে দুটি তৈরি হলো। কণা দুটি একসঙ্গে থাকলে আমরা তাদের অবস্থান ও গতিবেগ নিণর্য় করতে পারি। কণা দুটি পৃথক হয়ে গেলে যত আলোক বষর্ দূরেই থাকুক না কেন একটির অবস্থান ও গতি জেনে অন্যটির অবস্থান ও গতি হুবহু জানা সম্ভব। এখানে স্থানিক দূরত্ব বলতে কিছুই থাকল না। এটা কোয়ান্টাম এনটেঙ্গেল মেথড এ সূত্র ধরে নিমিষেই তথ্য বহু বহু আলোকবষর্ দূরে প্রেরণ সম্ভব। ভবিষ্যতের কম্পিউটারে এ পদ্ধতি কাজে লাগানো সম্ভব হবে। বিষয়টি ঊহঃধহমষবফ চযড়ঃড়ং হিসেবে বহুল আলোচিত। একজোড়া ফেটিন বহু আলোকবষর্ দূরে থাকা সত্তে¡ও একই আচরণ করে। আইনস্টাইন একে ভৌতিক ব্যাপার বলে আখ্যায়িত করেছেন। পদাথর্ বিজ্ঞানের কোয়ান্টাম জগতের প্রতিষ্ঠালগ্নে মূল চারটি প্রবন্ধের একটি সজেন্দ্রনাথ বসুর এবং অন্যগুলোর রচয়িতা হলো ম্যাক্স প্লাঙ্ক, আইনস্টাইন, নিলসবোর, বোসের নাম ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে কোয়ান্টাম সংখ্যাতত্তে¡¡র জনক হিসেবে। প্লাঙ্কের বিবরণতত্তে¡র মাধ্যমে কোয়ান্টাম পদাথির্বজ্ঞানের জন্ম হলো বটে। কিন্তু সমীকরণে ত্রæটি ছিল। এই ত্রæটি দূর করেন বোস যা আইনস্টাইনের কাছে ১৯ বছর ধরা পড়েনি। বোসের এ আবিষ্কারের ফলে দ্রæত আইনস্টাইনের মতবাদ সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। কোস্টাম জগতে বোসের নাম অনুসারে রয়েছে বোসন কথা।