অনলাইনে ই-কমাসর্

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ছবি ঘোষ
ডিজিটাল যুগে কষ্ট কমিয়ে দিচ্ছে অনলাইন শপিং সাইটগুলো। পিছিয়ে নেই সোশ্যাল নেটওয়াকির্ং সাইট ফেসবুকও। কম্পিউটারে ব্রাউজ করলেই ঘরে বসে পাওয়া যাচ্ছে নিজের পছন্দমতো পোশাক, গহনা বা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। অনলাইন শপিং শুনলেই অনেকে মনে করেন, টাকা দিতে হবে ক্রেডিট কাডের্। তবে সেই সমস্যাও এখন বলতে গেলে নেই। বেশির ভাগ অনলাইন শপই ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ সাভির্স দিয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, অনলাইন সাইটগুলো দ্রæত পণ্য ঘরে পেঁৗছে দিতে নিয়ে এসেছে ‘হোম অন ডেলিভারি’, ‘ফ্রি ডেলিভারি’। অনেকেই মনে করেন, এ অনলাইন শপগুলোতে ভালোমানের পণ্য পাওয়া মুশকিল। কিন্তু সে দুশ্চিন্তাও এড়িয়েছে অনলাইন সাইটগুলো। এখন এ শপগুলোতে ব্র্যান্ডের পণ্যও পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণেই তরুণদের চাহিদা বাড়ছে অনলাইন শপের প্রতি। স্বল্পসময়ে ঝামেলাহীন বাজারের চাহিদা মেটাতে বেশি ঝুঁকছে একক পরিবারগুলো। দিন দিন গ্রাহকের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অনলাইন শপগুলোর চাহিদা। দেশে এখন অধর্শতাধিকেরও বেশি অনলাইন শপ রয়েছে। বিশ্বে ই-শপিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়া। এখানে মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার অন্য অঞ্চলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে ই-কমাসের্র পরিধিও। ই-কমাসর্ বিজ্ঞাপনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ক্রিশেওর তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ার ই-কমাসর্ লেনদেনের ২৭ শতাংশ হয় মোবাইল ডিভাইসে। আর এ হার সময়ের সঙ্গে বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী এক বছরের ১৬ হাজার কোটি ডলারের ১৪০ কোটি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ক্রিশেও। প্রতিবেদন অনুযায়ী দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ায় ই-কমাসের্র লেনদেনে মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহারের হার স্পেন ও ইতালির সমান। যুক্তরাষ্ট্রে এর হার কিছুটা বেশি। ই-কমাসর্ ও মোবাইল ডিভাইসের মধ্যে সম্পকের্র গভীরতা বোঝাতে বেশকিছু তথ্য তুলে ধরেছে ক্রিশেও। প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোবাইল ডিভাইস সাপোটর্ করে এ ধরনের ই-কমাসর্ সাইটের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে বাড়ছে। ফলে মোবাইল ডিভাইসেই মানুষ এখন কেনাকাটায় প্রয়োজনীয় যে কোনো সাইটের সন্ধান পাচ্ছে। আরো জানানো হয়, ডেস্কটপের চেয়ে মোবাইল ডিভাইসেই ই-কমাসের্র লেনদেন বেশি হচ্ছে। ফ্যাশন, লাক্সারি ও ভ্রমণসংক্রান্ত পণ্যই ই-কমাসের্ বেশি কেনাকাটা হচ্ছে বলে জানানো হয়। দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ায় ই-কমাসর্ খাতে মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে ক্রিশেওর দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়া বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়োকো সাইতো বলেন, ই-কমাসর্ খাতে পুরো বিশ্বে দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ার অগ্রগতি সবচেয়ে বেশি। এর পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে মোবাইল ডিভাইস। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের মতো উন্নয়নশীল বাজারগুলোয় এ প্রবণতা অধিক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব বাজারে মোবাইল ডিভাইসকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। নতুন গ্রাহকরা ডেস্কটপ কেনার আগে মোবাইল ডিভাইস কিনছেন। এতে আগামীতে ই-কমাসর্ লেনদেনে এসব ডিভাইসের ব্যবহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ছে। সাইতো আরো বলেন, উন্নয়নশীল বা উন্নত বাজার সবর্ত্রই মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী ই-কমাসের্র প্রসারে এটি গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা রাখছে এবং রাখবে। তাই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মোবাইলবান্ধব ই-কমাসর্ সেবা চালুর দিকে মনোনিবেশ বাড়ানো উচিত। এরই মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ ই-কমাসর্ প্রতিষ্ঠান তাদের মোবাইল সংস্করণ চালু করেছে। শুধু ই-কমাসর্ নয়, অনলাইনের অনেক সেবাই এখন মোবাইলভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। আগামীতে হয়তো এমন সময় আসবে যখন ইন্টারনেটের সমাথর্ক হিসেবে মোবাইল ডিভাইসের নামটি ব্যবহৃত হবে। পৃথকভাবে বিবেচনা করতে গেলে দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ই-কমাসর্ খাতে লেনদেনে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহৃত হয় ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে। তাইওয়ানে এ হার ৩১ ও সিঙ্গাপুরে ২৯ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ই-কমাসর্ লেনদেনে মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়েই বাড়ছে দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ায় ডিভাইসের এ ধরনের ব্যবহার। ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ ই-কমাসের্ মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের এ হার ৪০ শতাংশে দঁাড়াবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। মানুষের হাতে ডিভাইসের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে বাড়ছে। উৎসবে এই অনলাইন ই-কমাসর্ চলে ব্যাপকহারে। যেমন- এবার কোরবানীর ঈদে প্রিয়শপ.কমে স্পেশাল ডিসকাউন্ট অফার ছিল। এ প্রসঙ্গে প্রিয়শপ.কমের সিইও আশিকুল আলম খান বলেন, ফ্রিজ, ডিপফ্রিজ, প্রেশার কুকার প্রভৃতি পণ্যে ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক অফার ছিল। এক্ষেত্রে ভিসাকাডর্, মাস্টারকাডর্ এবং বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। একই রকম সুযোগসুবিধা ছিল পিকাবো.কম, অথবা.কম, দারাজ.কম, আজকের ডিল.কমসহ নানারকম অনলাইন সেবায়।