করোনায় চলে গেলেন কে এস ফিরোজ

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

তারার মেলা রিপোর্ট
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন নাটক ও চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেতা কে এস ফিরোজ। গতকাল ভোর ৬.২০ মিনিটে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরপর বাদ জোহর বনানীর সামরিক কবর স্থানে এই অভিনেতাকে সমাহিত করা হয়। তার মৃতু্যতে সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। কে এস ফিরোজের মেয়ে ব্যারিস্টার রাবিয়া ফিরোজ জানান, 'গতকাল বাদ আছর জানাজা শেষে রাজধানীর বনানীতে সেনা কর্মকর্তাদের কবরস্থানে তার বাবা'কে দাফন করা হয়। রাবিয়া ফিরোজ বলেন, 'আমার আব্বুর জন্য সবাই দোয়া করবেন আলস্নাহ যেন আমার আব্বুকে বেহেস্ত নসিব করেন।' এদিকে ফিরোজের এই হঠাৎ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে অভিনয়শিল্পী সংঘ'র সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, 'টিভি নাটকে এবং সিনেমায় তার সঙ্গে অভিনয় করেছি আমি। নিঃসন্দেহে তিনি অনেক ভালো একজন অভিনেতা ছিলেন। যদিও তার মধ্যে সব সময়ই বেশ ভাবগাম্ভীর্য বিদ্যমান থাকত কিন্তু তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তার বিনয়, ভদ্রতা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা একজন সত্যিকারের অভিনেতাকে হারালাম, একজন ভালো মানুষ হারালাম, অভিনয় শিল্পী সংঘ হারালো একজন অভিভাবক- যিনি নানান সময়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। কে এস ফিরোজের গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে হলেও তার জন্ম ঢাকায়। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। নাট্যদল থিয়েটারের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে তার পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছিলেন 'সাতঘাটের কানাকড়ি', 'কিংলিয়ার', 'রাক্ষসী' ইত্যাদি। 'কিংলিয়ার'-এ তিনি নামভূমিকায় অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। এটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন কামালউদ্দিন নীলু। টিভি নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দিলারা জামানের স্বামী শফিউজ্জামানের রচনায় ও জামান আলী খানের প্রযোজনায় 'দীপ তবু জ্বলে' নাটকে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ডলি ইব্রাহীম। ১৯৬৭ সালে কে এস ফিরোজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন পদে চাকরি নেন। ১৯৭৭ সালে তিনি মেজর হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর মাধবীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তিনি প্রথম 'লাওয়ারিশ' সিনেমায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে 'শঙ্কনাদ', 'বাঁশি', 'সূর্যগ্রহণ', 'বৃহন্নলা' সিনেমাতেও অভিনয় করেন।