পূজায় মন খারাপ হয়ে যায়

ঢোলের তালে তালে মেতে উঠছে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সবাই। আর সবার মতো এই ধর্মের তারকারাও মেতে উঠছেন আনন্দে। অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। শুটিংয়ের পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গে পূজায় সময় কাটছে। বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

মাসুদুর রহমান
ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর
পূজার এ সময়ে... এ সময়ে নাটকের শুটিংয়ে আছি। পূজার এ সময়টা শুটিংয়েই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। দুর্গাপূজা সনাতম ধর্মের বড় উৎসব হলেও এ সময়ে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে উৎসব-পার্বণে বাবা ছাড়া কল্পনাই করতে পারি না। কয়েক বছর হলো বাবাকে ছাড়া পূজা করছি। পূজার সপ্তমী দিনে আমার বাবার মৃতু্যবার্ষিকী। এ জন্য পূজার আনন্দ আগের মতো নেই। বরং অনেকটা কষ্টের। বাবার কথা মনে করিয়ে দেয়। পূজার দিনে যেখানে... করোনার মধ্যে এবার পূজা উদযাপন হচ্ছে। এজন্য এবারের এ উৎসব অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না। কিছু আয়োজন বাদ পড়ে যাচ্ছে। এবারের পূজায় বাসাতেই থাকব, পূজার মধ্যে কাজও (শুটিং) আছে। তবুও যেখানে লোকসমাগম কম, মাকে নিয়ে সেখানে একটু বের হওয়ার পরিকল্পনা আছে। বিজয়া দশমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে বের হতে পারি। বারিধারা ডিওএইচএস মন্ডপ, জগন্নাথ হল আর রামকৃষ্ণ মিশনে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। ছোটবেলায় পূজা বাবা সরকারি চাকরি করতেন। আর্মি অফিসার ছিলেন। যখন যেখানে পোস্টিং থাকত, সাধারণ সেই এলাকায় পূজা করতাম। ক্যান্টনমেন্টের আশপাশের মন্ডপগুলোতে ঘুরতে যেতাম। চট্টগ্রামে অনেকবার পূজা করেছি। সেখানে অনেক বেশি মন্ডপ হয়, অনেক বড় করে পূজার আয়োজন হয়। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে বিভিন্ন পূজামন্ডপে ঘুরতে যেতাম। পূজার সময় বাবা নতুন জামা-জুতা কিনে দিতেন। কত মজা হতো। বড় হলেও প্রতি পূজায় বাবা উপহার দিতেন। বাবাকে ছাড়া পূজার সময়টা পার করতে সত্যিই অনেক কষ্ট হয়। খুব মনে পড়ছে বাবাকে। তারকা হওয়ার পর পূজা... অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর পূজার ঘোরাঘুরিটা অন্য রকম। পূজায় ঘোরাঘুরি একটু কঠিন। অনেক লোকের ভিড়ে যখন লোকজন আমাকে চিনতে পারেন তারা সবাই কাছে এসে ভিড় করেন। সেলফি-ছবি তুলেন। ছবি তুলতে তুলতে অনেক সময় বিরক্ত লাগলেও আমি তা বুঝতে দিই না। কারণ তারকাদের মানুষ কাছে পেলে এমনটা করবেই। সাধারণ মানুষ কিংবা দর্শকের ভালোবাসাতেই তো একজন তারকা তৈরি হয়। তাই তাদের আগ্রটা ভালো লাগে। পূজায় উপহার... এখন নিজের জন্য আসলে কেনাকাটা হয় না। তবে অন্যদের জন্য কেনাকাটা করি। গিফট পাই বেশি। ভাই, ভাইয়ের বউ, মা এরাই বেশি গিফট দেয়। এবার আমিও তাদের গিফট করি। এছাড়া কাছের কিছু আত্মীয়স্বজন, পরিচিত জন আছেন তাদের জন্যও পূজায় গিফট কিনি। পূজার নাটকে... বরাবরের মতো এবারও একাধিক পূজার নাটকে কাজ করেছি। এবার চয়নিকা চৌধুরীর নির্মাণে আমার একটা ভালো নাটক হচ্ছে। নাটকের নাম 'বিশ্ব ভরা প্রাণ'।