ক্যাটওয়াক করতে সবচেয়ে ভালোবাসি

জনপ্রিয় মডেল ও কোরিওগ্রাফার সৈয়দ রুমা। দীঘির্দন ধরে র‌্যাম্প মডেলিংয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। পেয়েছেন সেরা মডেল ও সেরা কোরিওগ্রাফারের অনেক সম্মাননা। বতর্মানে নিজের ফ্যাশন লাইন ‘আর বাই রুমা’ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। পাশাপাশি চলছে মডেলিং, কোরিওগ্রাফি, স্টাইলিং, মডেল গ্রæমিংসহ নানা কাজ। এই তারকার লাইফস্টাইল নিয়ে লিখেছেন তিয়াসী মোস্তফা

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সৈয়দ রুমা
শৈশবের দিনগুলো ... ছোটবেলায় আমি খুব দুরন্ত ছিলাম। ছেলেদের মতো সারাদিন টো টো করে বেড়াতাম। আমি বড় হয়েছি ঢাকার ওয়ারীতে। এখনো সেখানেই থাকি। স্কুলে পড়ার আগেই আমার বেশ বড় একটি বন্ধু-বান্ধবীর দল হয়ে গিয়েছিল। তাদের নিয়েই নানা ধরনের দুষ্টুমি করতাম। একটা ঘটনা এখনো মনে পড়লে হাসি পায়। এলাকার একটি সমবয়সী ছেলেকে পিটিয়েছিলাম বলে মার হাতে প্রচুর মার খেয়েছিলাম। সৌন্দযের্র রহস্য ... আমি মনে করি সৌন্দযর্ থাকে মানুষের মনে। যে মানুষ যত বেশি সৎ, শিক্ষিত ও উদার, সেই তত বেশি সুন্দর। তাই আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আর বাহ্যিক সৌন্দযের্র প্রতি আমার কোনো হাত নেই। এটি ঈশ্বরপ্রদত্ত। আমার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের জিন কিছুটা কাজ করেছে (হাহাহা)। সৌন্দযর্ বধের্ন ... সৌন্দযর্ ধরে রাখতে কিছুটা চচার্র প্রয়োজন আছেই। আমি খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের ব্যাপারে খুবই সচেতন। যতই ব্যস্ত থাকি না কেন, ঠিকমতো খাই, আর দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমাই। এ ছাড়া মাসে একবার বিউটি পালাের্র যাই স্কিন, হেয়ার ও অন্যান্য ট্রিটমেন্টের জন্য। ডায়েট চাটর্ ... খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিই ফলমূল। সকালে রুটি, সবজি বা ডিম খাই। দুপুরে সপ্তাহে তিনদিন ভাত আর বাকি দিনগুলোতে নুডুলস, সবজি বা স্যুপ খাই। সন্ধ্যায় হালকা কোনো স্ন্যাকস খাই। আর রাতে স্যুপ বাধ্যতামূলক। এর ফঁাকে ফঁাকে প্রচুর ফল ও পানি পান করি। ভক্তরা যখন চিনে ফেলে ... ভক্তদের জন্যই আমি আজকের রুমা। তাদের জন্যই কাজ করি। তাই যতই কাজের মধ্যে থাকি না কেন, আমি সবসময় হাসিমুখে ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলি, সময় দিই। তবে একবার খুব ভিড়ের মধ্যে গিয়ে বিপদে পড়েছিলাম। অনেক ছেলেমেয়ে একসঙ্গে আমার কাছে আসছিল ছবি তুলতে। তাই বাধ্য হয়ে বলেছিলামÑ আমি রুমা না, রুমার বড় বোন (হাহাহা)। যখন অবসর ... অবসরে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করি। বিশ্রাম করি আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাই। শখ ... আমার ফ্যাশন পণ্য সংগ্রহের শখ রয়েছে। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ব্যাগ, ঘড়ি, কসমেটিকস, বিশেষ করে জুতা সংগ্রহ করি প্রচুর। এ ছাড়া আমি খুব পষু-পাখি ভালোবাসি। এখন আমার বাসায় ৫টি বেড়াল রয়েছে। প্রিয় কাজ ... র‌্যাম্পের মঞ্চে ক্যাটওয়াক করতে সবচেয়ে ভালোবাসি। প্রিয় গ্যাজেট ... আমি খুবই গ্যাজেটফ্রিক। মোবাইল ফোন ছাড়া তো চলেই না। প্রিয় রং ... সাদা ও কালো আমার সবসময়ের প্রিয়। প্রিয় পোশাক ... শাড়ি সবচেয়ে প্রিয় পোশাক। সবাই বলে শাড়িতে আমাকে সবচেয়ে বেশি মানায়। তবে বেশি পরা হয় ওয়েস্টানর্ পোশাক। প্রিয় চলচ্চিত্র ... কাটুর্ন ছবি দেখতে সবচেয়ে ভালো লাগে। টম অ্যান্ড জেরি, গোপালভঁাড়Ñ এসব কাটুর্ন দেখে একা একা হাসি। এতে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি পাই। প্রিয় অভিনয়শিল্পী ... প্রিয় অভিনয়শিল্পী চিত্রনায়িকা মৌসুমী। আর প্রিয় মডেল সাদিয়া ইসলাম মৌ। চলচ্চিত্রে আগ্রহী ... আমি মডেলিং অঙ্গনেই খুব ভালো আছি। চলচ্চিত্রে এক সময় অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। এখনো পাই। তবে কখনোই আগ্রহ দেখাইনি। পরিবার পরিজন ... বাবাকে হারিয়েছি অনেক আগে। বতর্মানে মা, বড় একটি বোন আর ছোট একটি ভাই নিয়ে আমার পরিবার। যদিও বড়বোন রেশমার বিয়ে হয়েছে কিছুদিন আগে। তার অনুপ্রেরণাতেই আমি মডেল হয়েছি। বতর্মান ব্যস্ততা ... বতর্মানে আমার নিজের ফ্যাশন লাইন ‘আর বাই রুমা’ নিয়ে বেশি ব্যস্ত। এটি মূলত অনলাইন ফ্যাশন শপ। বিদেশি নানা ফ্যাশন পণ্য পাওয়া যায়। খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি এই ব্যবসায়। তাই ধানমÐির ৬/এ, আনাম র‌্যাঙ্কস প্লাজায় একটি শোরুম উদ্বোধন করেছি সম্প্রতি। এ ছাড়া নিয়মিত র‌্যাম্প শোতে হঁাটা, কোরিওগ্রাফি ও মডেলদের গ্রæমিং করাচ্ছি। মাঝে-মধ্যে ফটোশুটের স্টাইলিংও করি।