শাকিবের কলকাতার নায়িকারা

স্বস্তিকা ২০০৯ সালে মুক্তি পায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় এফআই মানিকের পরিচালনায় ‘সবার উপরে প্রেম’ ছবিটি। ভারতে মুক্তি পায় ‘আমার ভাই আমার বোন’ নামে। এ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা ছিলেন স্বস্তিকা মুখাজির্। তিনিই শাকিবের বিপরীতে কলকাতার প্রথম নায়িকা। তখন ঢাকায় শুটিং করতে এসে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা বলেছিলেন, ‘শাকিব বাংলাদেশের বড় তারকা। বুঝে-শুনেই অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার সঙ্গে। শাকিব খান ক্যামেরার সামনেও দারুণ।’ স্বস্তিকা সম্পকের্ শাকিব বলেন, ‘টালিগঞ্জের বড় তারকা স্বস্তিকা। সে সব ব্যাপারে বেশ প্রাণখোলা। ঠাট্টা করতে ভালোবাসে খুব। অল্প সময়েই ইউনিটের সবার আপন হয়ে গিয়েছিল।’ পাওলি পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘সত্তা’ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা ছিলেন কলকাতা ও বলিউডের ব্যস্ততম নায়িকা পাওলি দাম। ঢাকায় আসার পর এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, ‘ওর সম্পকের্ জানতাম, বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তা আকাশছেঁায়া। কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, স্পেশাল কিছু ব্যাপার আছে ওর মধ্যে। ওর কথা বলার ধরন, হঁাটার স্টাইল আলাদা। একজন সুপারস্টার হওয়ার সব গুণই ওর আছে।’ আর পাওলি দাম সম্পকের্ শাকিব খান বলেন, ‘তিনি ক্যামেরার সামনে এক রকম আর ক্যামেরার বাইরে আরেক রকম। শুটিং শুরুর আগে বেশ মজা করে পাওলি। ক্যামেরা চালু হলেই ও ভিন্ন এক মানুষ, চরিত্রের মধ্যে ঢুকে যায়। আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব। কলকাতা গেলে দেখা করি, আড্ডা মারি।’ শ্রাবন্তি ২০১৬ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘শিকারি’ ছবিতে শাকিবের নতুন লুক দিতে নাকি অনেক সহযোগিতা করেছিলেন কলকাতার সুপারস্টার নায়িকা শ্রাবন্তি। টালিগঞ্জের অনেক নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করলেও শ্রাবন্তির সঙ্গেই বেশি বন্ধুত্ব তার। ‘শিকারি’র শুটিংয়ের সময় নিজের হাতে রান্না করে শাকিবের জন্য নিয়ে আসতেন শ্রাবন্তি। ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রাবন্তি বলেন, ‘ওকে আমি কখনো শাকিব বলে ডাকি না। অনেক নাম দিয়েছি ওর। কিউট, চকলেট, সুইট, আরও কত-কী! ও সত্যি ভালো মানুষ। ওর সঙ্গে ছবি করার প্রস্তাব পাওয়ার পর ভেবেছিলাম, হয়তো প্রয়োজন ছাড়া কথাই বলবে না! কিন্তু শুটিংয়ের প্রথম দিনই ধারণাটা পাল্টে গেল।’ শ্রাবন্তি প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘আমাদের পদার্ রসায়নটা দারুণ। ‘শিকারি’ ও ‘ভাইজান এলো রে’ তার বড় প্রমাণ। দশর্ক শ্রাবন্তির সঙ্গে জুটি বেঁধে আরও ছবি করার অনুরোধ করেন।’ শুভশ্রী শাকিব খানের ওপার বাংলার চতুথর্ ছবি ছিল ‘নবাব’। এ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি। শাকিব-শুভশ্রীর দ্বিতীয় ছবি ‘চালবাজ’ পহেলা বৈশাখে মুক্তি পায়। এই জুটি আরও দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে জানা যায়। শাকিব প্রসঙ্গে শুভশ্রী বলেন, ‘আমার চোখে শাকিব বাংলাদেশের রজনীকান্ত। একাই একটা ইন্ডাস্ট্রি চালিয়ে নিচ্ছেন। একটা উৎসবেই তিন-চারটি করে ছবি মুক্তি পায় ওর। প্রতিটি ছবিই ব্যবসা করে! দুই বাংলার হিসাব করলে মানতেই হবে, শাকিবের দশর্ক সবচেয়ে বেশি।’ শুভশ্রী প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘ও অনেক ল²ী একটা মেয়ে। কাজের ব্যাপারে নিবেদিত। পরিচালক যতক্ষণ পযর্ন্ত সন্তুষ্ট না হন, ততক্ষণ শট দিতে তার কষ্ট নেই। এ ছাড়াও সে খুব ভালো নাচে।’ পায়েল ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিতে শ্রাবন্তি ছাড়াও শাকিবের আরেক নায়িকা কলকাতার গুণী অভিনেত্রী পায়েল সরকার। শাকিবের সঙ্গে এটাই তার প্রথম কাজ। শাকিব প্রসঙ্গে পায়েল বলেন, ‘শাকিব খানের ‘শিকারি’ ছবিটি দেখে মনে হয়েছিল তার বিপরীতে আমিও কাজ করব। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’ পায়েল প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘পায়েলের দুটি ছবি আমি দেখেছি। দারুণ একজন অভিনেত্রী সে। খুবই মিশুক প্রকৃতির, শুটিংয়েও খুব গোছানো।’ সায়ন্তিকা টালিগঞ্জের পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘নেকাব’ ছবিতে শাকিব নায়িকা হিসেবে পেয়েছেন নৃত্যপটিয়শী ও ফ্যাশনেবল নায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানাজিের্ক। শাকিবের সঙ্গে কাজ করতে পেরে বেশ খুশি এই নায়িকা। সায়ন্তিকা বলেন, ‘রাজীবদা যেদিন থেকে বলেছেন শাকিব হচ্ছেন আমার নায়ক, সেদিন থেকেই দিন গুনেছি। অবশেষে কাজ করে খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে।’ শাকিব সায়ন্তিকা সম্পকের্ বলেন, ‘উনি খুব মেধাবী অভিনেত্রী। বড় বড় প্রডাকশনের ছবিতে কাজ করছেন। অন্যদিকে শুনেছি সায়ন্তিকা প্রযোজকদের জন্য ল²ী, ওর কোনো ফ্লপ ছবি নেই।’ নুসরাত শাকিবের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘নেকাব’-এর আরেক নায়িকা মিষ্টি মুখের নুসরাত জাহান। তিনি বলেন, ‘শাকিবের কয়েকটা ছবি দেখেছি। ভালো অভিনয় করেন। টালিগঞ্জের অনেকেই তার ভক্ত।’ নুসরাত প্রসঙ্গে শাকিব জানান, ‘নুসরাত এমনিতেই দেখতে ভীষণ কিউট। তাছাড়া ওপার বাংলায় তার ভক্ত সংখ্যাও অনেক।’