ঈদটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে

দেশের এ সময়ে যে কজন ব্যস্ত কণ্ঠশিল্পী রয়েছেন, আঁখি আলমগীর তাদের মধ্যে অন্যরকম। গানের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে তাদে উপস্থাপনায়ও দেখা যায়। লকডাউনের এ সময়ে কাজকর্ম বন্ধ করে কেমন কাটছে ঘরবন্দি জীবন, ঈদের পরিকল্পনা কী, প্রস্তুতি কেমন- সব মিলিয়ে তারার মেলার মুখোমুখি হয়েছিলেন এ শিল্পী।

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২১, ০০:০০

মাতিয়ার রাফায়েল
আঁখি আলমগীর
করোনা ও লকডাউনে নিশ্চয়ই শুয়ে-বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন! একদমই তাই। খুব বাজে। যাকে বলে অসহ্য। কিন্তু কিছুই তো করার নেই আসলে। গান-বাজনা সবই পুরোপুরি স্থগিত রাখা হয়েছে। নিয়মিত রেওয়াজ করতাম, সেটাও আর করা হচ্ছে না। তাহলে তো ঈদ নিয়েও আহামরি কোনো আনন্দ-উচ্ছ্বাস কাজ করছে না মনে! নাকি কোনো পরিকল্পনা আছে? না, একদমই কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদের দিন কিংবা ঈদের আগের তিন পরের দিন কি করবো- এটা নিয়ে চিন্তাও করিনি এখনও। ঈদের চিন্তা কিংবা প্রস্তুতির কথা হয়তো মাথাতেই আসবে না। অনলাইনে কেনাকাটা, মার্কেটে যাওয়া কোনো বিছুতেই নেই এবার। একেবারেই সাদামাটাভাবে যাবে এবারের ঈদ। কোথাও যাওয়া হবে না। সে ইচ্ছাও নেই। ঈদের কোন স্মৃতিটা আপনার বেশি মনে পড়ে? সব আনন্দই তো আসলে একই রকম। আলাদাভাবে দেখানোরও তো কিছু নেই আসলে। তবে ঈদ উৎসবের আনন্দ আলাদা। এদিনের আনন্দে অংশগ্রহণ থাকে বড় পরিসরে। আর সেভাবে বড় পরিসরের স্মৃতি তো থাকেও না খুব একটা। ছোট ছোট পরিসরের স্মৃতিই বরং মানুষের মনে থাকে। আর ছোটবেলার স্মৃতি বলতে আমার তেমন কিছু মনেও নেই। তবে এবারের ঈদস্মৃতিটা হয়তো মনে থাকবে এই কারণে, এবার কোথাও যাওয়া হবে না। ঘরে বসেই বিষণ্ন মনে সারাদিন কাটিয়ে দিতে হবে। একটা অবসাদগ্রস্ত দিনই হয়তো কাটাতে হবে এদিন। করোনা আসলে গোটা দেশটাকেই একটা হতাশা ও বিষণ্নতার চাদরে ঢেকে দিল এবার। বাবা আলমগীরের অবস্থা এখন কেমন? আলহামদুলিলস্নাহ এখন অনেকটাই সুস্থ। এরই মধ্যে বাসাতেও নিয়ে আসা হয়েছে। তবে খুব কষ্ট পেয়েছি একটি দল আমার বাবার মৃতু্যর গুজব ছড়ানোয়। একজন শিল্পীকে নিয়ে মানুষ এমন নোংরামি করতে পারে, ভাবতেও পারছি না। যারাই এটা করুক, তারা নিজেরাই নিজেকে প্রশ্ন করুক, তাদের নিজেদের ক্ষেত্রেই যদি এটা হতো তাহলে এই একই নোংরামি অন্যরা করলে তাদের কেমন লাগত?