ক্ষমা চাইলেন নোবেল

প্রকাশ | ২০ মে ২০২১, ০০:০০

তারার মেলা রিপোর্ট
কলকাতার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো'র মাধ্যমে আলোচনায় আসা বাংলাদেশি গায়ক এখন বিতর্কের আরেক নামে পরিণত হয়েছে। বিব্রত হওয়ার পাশাপাশি তাকে নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করছেন দেশের খ্যাতিমান ও সিনিয়র সংগীত তারকারা। কিছুদিন থেকেই ফেসবুকে একের পর এক মানহানিমূলক পোস্টের জন্য আলোচিত সমালোচিত মাইনুল আহসান নোবেল ওরফে নোবেলম্যান। দেশের স্বনামধন্য টিভি, মিডিয়া ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করেন তিনি। এমনকি সাংবাদিককেও অপহরণের হুমকি দেন। নানা বিতর্কের পর শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন মাইনুল আহসান নোবেল। মঙ্গলবার ভুল স্বীকার করে জেমস ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে পৃথক দুটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। রাত ৯টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জেমসের কাছে নিজেকে ক্ষমা করে দেয়ার আর্জি জানান নোবেল। জেমসের কাছে ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাসে নোবেল লিখেছেন, 'জেমস্‌ ভাই। আমার তো মায়ের পেটের বড় ভাই নাই। যদি থাকতো, আমি তাকে আপনার মতো করেই ভালোবাসতাম, শ্রদ্ধা করতাম। জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে, রাগ অভিমানে, অনেক অন্যায় করে ফেলেছি। গুরু!! যে ভুল আমি করেছি, সে ভুলের ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য আমি নই। তবুও, যদি নিজের ছোট ভাই এবং আপনার সবচেয়ে বড় ভক্ত মনে করে আমাকে একটু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখতেন, আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।' নোবেল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেয়া স্ট্যাটাসে সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জানালেন, এমন ভুল আর হবে না। সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেয়া স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি বলেন, 'রোড এক্সিডেন্টের পর আমাকে কেউ একবার কল করে খবর নিল না। নিজের আবেগ আসলে ধরে রাখতে পারি নাই। আমি মাত্র ২৪ বছর বয়সি একজন তরুণ শিল্পী। আমিও তো দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়েছি। আমি না হয় ভুল করেছি। সেগুলো ভুল ধরে দেওয়ার দায়িত্ব তো আপনাদেরই। সেখানে অনেকেই আমাকে প্রতিনিয়ত হেয় করছেন। তাই আসলে রাগ সামলাতে পারিনি। আমি সব সাংবাদিক ভাইয়ের প্রতি শ্র্রদ্ধা রেখে কথা দিচ্ছি পরবর্তী সময়ে এরকম ভুল আর হবে না... সবার প্রতি রইল ভালোবাসা... ঈদ মোবারক।' এদিকে জেমসের কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিলেন নোবেল। জেমসকে নিয়ে স্ট্যাটাসগুলো পোস্ট হওয়ার পর নোবেল বলেছিলেন, তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ হ্যাকড হয়েছে এবং স্ট্যাটাসগুলোতে হ্যাকার লিখেছে। যদি স্ট্যাটাসগুলো হ্যাকার লিখে থাকে, তাহলে জেমসের কাছে নোবেলের ক্ষমা চাওয়ার কোনো কারণ নেই। তাহলে কেন তিনি জেমসের কাছে ক্ষমা চাইলেন? উলেস্নখ্য, ঈদের দিন শুক্রবার থেকেই ভেরিফাইড ফেসবুক হ্যাকড হওয়া, সুরকার আহমেদ হুমায়ূনের ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়ার হুমকি, নিজের মৃতু্যর তারিখ ঘোষণা, গানের ইতি টানার পোস্টে সয়লাব ছিল তার পেইজ। ধারাবাহিক এসব পোস্টের জন্য আইনি নোটিশও দেয় সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (সিএসএফ) নামে একটি সংগঠন।