শারদীয়া মীম

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মীম। গø্যামার আর অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দশর্ক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। ঢালিউডের পাশাপাশি টালিউডেও অভিনয় করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। অভিনয় ব্যস্ততার পাশাপাশি শারদীয় দুগার্পূজার কেনাকাটা নিয়েও ব্যস্ত তিনি।

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

আকাশ নিবির
বিদ্যা সিনহা মীম
অভিনয়ে এক যুগ পার করে দিয়েছেন বিদ্যা সিনহা মীম। দীঘর্ দিনের ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো সম্মান। চলচ্চিত্র নিয়েই তার সব ধ্যানজ্ঞান। তবে এর মাঝে পরিবারকেও সময় দেন তিনি। মীমের ফেসবুকে প্রায়ই দেখা যায় সপরিবারে ঘোরাঘুরির ছবি। বিশেষ করে কোনো উৎসব হলেতো মীম সময় বের করে ঘুরতে বের হবেনই। আর তা যদি হয় সবচেয়ে বড় ধমীর্য় উৎসব তাহলে তো কথাই নেই। মহালয়ার মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে শারদীয় দুগার্পূজা। আর কদিন বাদেই শুরু হবে এই উৎসবের মূল পবর্। ষষ্ঠী থেকে দশমী পযর্ন্ত সব সনাতন ধমার্বলম্বী জঁাকজমক রীতিতে পালন করবেন বণার্ঢ্য উৎসব। মীম তো আরও এককাঠি সরস। কারণ দুগার্পূজা সব সময় তার কাছে বিশেষ কিছু। শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রতি বছর দুগার্পূজার সময় তিনি পুরোই অবসরে থাকেন। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সময় দেন। তার আগের কটা দিন কাজের ফঁাকেই সেরে নেন প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা। প্রতিবারের মতো এবারও বাবা-মা, একমাত্র বোন ও আত্মীয়-স্বজনকে পূজায় নতুন পোশাক উপহার দেবেন মীম। তাই এখন প্রতিদিনই কাজের ফঁাকে শপিংমলে ঢুঁ মারতে হচ্ছে এই তারকাকে। কারণ তাকে যে বেছে বেছে সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটিই কিনতে হবে প্রিয় মানুষদের জন্য। মীম রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই দুগার্পূজাটা রাজশাহীতে নিজের মামাবাড়িতেই কাটানো হয় এই অভিনেত্রীর। তবে এবার কাজের ব্যস্ততা থাকায় ঢাকাতে কাটাতে পারেন পূজার সময়টা। মামাবাড়ির পূজা নিয়ে মীম জানান, ‘রাজশাহীতে মামাবাড়ির পূজা খুব মিস করছি। ওখানে আমার মামাতো, মাসতুতো ভাই-বোনেরা আছে, ওখানকার পূজার জৌলুসই আলাদা। সবাইকে নিয়ে অনেক মজার সময় কাটে ওখানে।’ স্মৃতির ঝাপি খুলে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলার ভাই-বোনদের সঙ্গে রাজশাহীতে পূজার মেলায় ঘুরতে যেতাম, এটা সেটা কিনতাম, হইহল্লা হতো অনেক। সেসব এখন আর হবে না। যেহেতু ঢাকাতেই থাকছি, এখানেই আশপাশের কয়েকটি পূজামÐপে ঘোরা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে দেশের বাইরে কলকাতায় যতবার গিয়েছি ততবার শুধু কাজেই গিয়েছি। কিন্তু এবার বেশি ভালো লাগা থেকে সেখানেও টুপ করে উড়াল দিতেও পারি। সেটা অবশ্য ভালো লাগার ওপর নিভর্র করবে। তবে ওখানকার আনন্দটা আমাদের চেয়ে একটু বেশি।’ মিমের বাবা বিরেন্দ্র নাথ সাহা একজন শিক এবং মা ছবি সাহা একজন গৃহিণী। মীম হিন্দু ধমের্র হলেও তার ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রয়েছে সব ধমের্র প্রতি। এ প্রসঙ্গে মীম বলেন, ‘ধমর্ যার যার মানুষ আমরা সবার। আর আমি ধমের্ বিশ্বাসী নই। সকল মানুষের ভালোবাসায় বিশ্বাসী। এ মাসেই আমাদের ধমের্র সব চেয়ে বড় উৎসব ‘দুগার্পূজা-২০১৮’। আমি আমার পক্ষ থেকে আগাম সবাইকে দুগার্পূজার দাওয়াত দিলাম। যদিও পুজার দিন কোনো কাজ রাখব না, আড্ডা দিব, ঘুরে বেড়াব আর শুধুই মজা করব ও মজার মজার খাবার খাব।’ গতবারও তিনি দুগার্পূজাতে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে দিনটি নানাভাবে উদ্?যাপন করেছিলেন মীম। গত বারের উৎযাপন উপলক্ষে মীম বলেন, ‘এবারও মহাখালী আমার ভাইয়ের বাসা। দাদা আর পূজা বৌদি তাদের বাসায় পূজার আয়োজন করবেন। আমি আসার পর পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এর আগে তো বৌদি নানা পদের (১৬ পদ) খাবার রান্না করেছেন। সবই নিরামিষ। সঙ্গে ছিল নানা ধরনের মিষ্টি।’ পূজার দিন বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না? জানতে চাইলে মীম বলেন, ‘ইচ্ছা তো আছেই। সন্ধ্যার পর সুযোগ পেলে বাইরে বের হব। অনেক জায়গায় পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে আগে থেকে কিছু বলতে চাই না।’ সম্প্রতি তার অভিনীত মুক্তি পাওয়া ‘সুলতান দ্য সুভিয়্যর’ ওপার বাংলায় বেশ প্রশংসা পায় ছবিটি। দীঘর্ অভিনয়ের পর মা ও মেয়ে দেশের বাইরেও ছুটির পর নতুন ছবিতে কোনো কাজ করছেন কি না সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ক’দিন আগেই দেশের বাইরে থেকে ঘুরে এলাম। মাঝখানে শুটিংয়ের চাপও ছিল অনেক। বাংলাদেশে ফিরেও শুটিংয়ের কাজে বাইরে বাইরে ঘুরতে হয়েছে। ফলে জানির্টা অনেক বেশি হয়ে গেছে। এবার তাই মাকে বলেছি, তুমি একাই গিয়ে রাজশাহী থেকে ঘুরে এসো, আমি ঢাকাতেই থাকছি।’ তিনি আরও জানান, অবশ্যই নতুন কাজে ফিরব তবে ইতিমধ্যে কয়েকটি কাজের ব্যাপারেও কথা চলছে। কাজগুলো ব্যাটে-বলে মিলে গেলে শিগগিরই চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বসার কথা আছে। তখন সবাইকে জানিয়েই ছবির পরবতীর্ শুটিংয়ের তারিখ চূড়ান্ত করব। মূলত মীম বাংলাদেশের একজন মডেল, অভিনেত্রী এবং লেখিকা। প্রথম লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৭ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন। একই বছরে হুমায়ুুন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচিত্রে অভিষেক হয়। এ ছাড়াও ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় ক্যাটাগরিতে ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অজর্ন করেন তিনি।