শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভালোবাসার টানেই অভিনয়ে সাবিলা

তরুণ প্রজন্মের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী তারকা সাবিলা নূর। নূর নামের স্বার্থক পরিচয় মেলে তার কাজেও। কাজ দিয়েই আলোয় আলোকিত করে চলেছেন সাবিলা নূর। একের পর এক ছড়িয়ে যাচ্ছেন তার অভিনয়ের দু্যতি। করোনার কারণে এ উজ্জ্বল প্রতিভার কাজ আপাতত বন্ধ থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার তার অভিনয়ের দু্যতিতে আলোকিত হবে নাট্যাঙ্গন- এটাই তার ভক্তদের প্রত্যাশা।
মাতিয়ার রাফায়েল
  ২৭ মে ২০২১, ০০:০০
সাবিলা নূর

সহজেই শক্ত অবস্থান...

নাটক হোক কিংবা চলচ্চিত্রই হোক অথবা শোবিজের যে কোনো শাখাতেই হোক- প্রায় প্রতিটি শাখাতেই পারফর্মারের একটা সংকট চলছে। বিশেষ করে নাটকে পুরানো একই মুখ ঘুরেফিরে ঘন ঘন আসায় ড্রয়িংরুম মিডিয়াতেও বিরক্তি ভর করেছে। দর্শকরা নতুন নতুন পারফর্মার চাচ্ছেন। সেই চাহিদা পূরণে সাম্প্রতিক সময়ে যে কয়জন পারফর্মার দর্শকের নজরে আসতে পেরেছেন তার মধ্যে সাবিলা নূর অন্যতম। অভিনয় এবং মডেলিংয়ে খুব সহজেই নিজের মেধা, যোগ্যতার মাধ্যমে দেশীয় শোবিজে শক্ত একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন তিনি।

আয়োজনহীন জন্মদিন...

আজ ২৭ মে এ মডেল অভিনেত্রীর জন্মদিন। কিন্তু করোনার কারণে শোবিজে যেমন কাজকর্ম প্রায় বন্ধ, তেমনই একই কারণে ইচ্ছে থাকলেও এবার নিজের জন্মদিনটিও উদ্‌যাপন করতে পারছেন না বলে জানালেন সাবিলা নূর। সাধারণত অন্যান্য সময়ে জন্মদিন উদ্‌যাপন করে এলেও এবার নিজ পরিবারের মধ্যেই এই জন্মদিন উদ্‌যাপন সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানালেন। এ নিয়ে আলাদাভাবে কোনো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেই।

\হনাচ থেকে দূরে...

নতুন কোনো কাজ করছেন কিনা এ বিষয়েও জানাবেন কী- না, নতুন কোনো কাজ আপাতত করছি না। যেসব কাজ করার কথা ছিল; করোনার কারণে তাও বন্ধ আছে। বর্তমানে নাটক ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে কাজ করছেন কিনা জানতে চাইলে নতুন প্রজন্মের এ অভিনেত্রী বলেন, 'নাচের ওপর আমার একটা ডিপেস্নামা করা আছে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে। ২০০৭ সালে আমি এই ডিপেস্নামা সম্পন্ন করেছি। নাটকে আসার আগে আমি নাচই করতাম। কিন্তু নাচের ওপর অনুষ্ঠান আগের মতো হচ্ছে না। অনেক কমে গেছে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নাচের কোনো কাজ করতে পারছি না।'

আমার জানা নেই...

টিভির দর্শক সিনেমার দর্শকের মতো নয়। এক্ষেত্রে যদি একই মুখ ঘুরেফিরে দেখা যায়, তখন দর্শকের মধ্যে একটা বিরক্তি ভর করে। এই বিরক্তির বিষয়ে সাবিলার মন্তব্য, 'আসলে এটা ইন্ডাস্ট্রির ব্যাপার। একই মুখ ঘুরেফিরে দেখলে দর্শক বিরক্ত হয় কিনা- এটা আমার জানা নেই। তবে নাটকে একইরকম গল্প ঘুরেফিরে আসার কারণেও দর্শক বিরক্ত হতে পারে। এই যে অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব; এত বছর ধরে কাজ করছেন তিনি, তার ক্ষেত্রে তো এমন হচ্ছে না। তার ভিউয়ের সংখ্যাও অসংখ্য। এখন এত পস্ন্যাটফর্ম সোশ্যাল মিডিয়ায়, এত রকম কাজ হচ্ছে, তারপরও তো নির্মাতারা তার ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন না। দর্শকরা যদি একই মুখ ঘন ঘন দেখে বিরক্ত হতো, তাহলে তো নির্মাতারা তাদের নিয়ে নাটক বানাতেন না।'

এত কিছু ভাবলে চলবে না...

ভিউ কি এটা যাচাইয়ের মানদন্ড হতে পারে? এমনও কি হতে পারে না যে, নতুন কোনো নির্ভরযোগ্য কাউকে পাচ্ছেন না বলেই নির্মাতারা এক প্রকার নিরুপায় হয়েই এমনটা করছেন? জবাবে সাবিলা নূর বলেন. 'দুঃখিত। বিষয়টা আমি আপনার সঙ্গে কতটুকু একমত, বুঝতে পারছি না। আর আমি যেহেতু নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী, সেক্ষেত্রে এমন অভিজ্ঞতার বিষয়টি জ্যৈষ্ঠ অভিনয় শিল্পীরাই ভালো বলতে পারবেন। আর এতকিছু ভেবে অভিনয় করলে তো চলবে না। এতে কাজের ক্ষেত্রে একটা কমপেস্নক্স সৃষ্টি হতে পারে।'

আমারও ইচ্ছা আছে...

চলচ্চিত্রে আসার ইচ্ছে রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সাবিলা বলেন, 'আমি আসলে নাটকের অভিনয়টা খুবই ভালো উপভোগ করছি। এটা এখন আমার ভালো লাগার একটা জায়গা হয়ে গেছে। চলচ্চিত্রে অভিনয় করব না- তা নয়। যদি ভালো সুযোগ পাই, ভালো কোনো গল্প হলে অবশ্যই চলচ্চিত্রেও অভিনয় করব। যে কোনো ভালো কাজ করার ইচ্ছা আমারও আছে।'

সবাই একরকম নয়...

মিডিয়ায় তো চুন থেকে পান খসলেই সংসার ভেঙে যায়। এক্ষেত্রে আপনার নতুন সংসার ও দাম্পত্য জীবন কতটা মজবুত বলে মনে হচ্ছে? প্রশ্ন শুনে একগাল মিষ্টি হাসি দিয়ে এ অভিনেত্রী বললেন, 'ভালোই চলছে। দোয়া করবেন। আপনি যেটা বলতে চাচ্ছেন, সেটা তো শুধু মিডিয়ায়ই না, সব জায়গাতেই এটা কম বেশি হচ্ছে। আবার সব জায়গাতেই সফল দাম্পত্যজীবনও আছে। শোবিজেও অনেক সফল দাম্পত্যজীবনের উদাহরণ আছে। তবে ভালোমন্দ যাই হোক, শোবিজে তারকাদের দাম্পত্যজীবন নিয়ে বেশি আলোচনা হয়, এই আর কি!'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে