শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এখনো ক্ষুদেই রয়ে গেছি

চ্যানেল আইতে 'ক্ষুদে গানরাজ' হিসেবে উত্থান সাবরিনা পড়শীর। তবে এখনো আগের সেই 'ক্ষুদে'ই রয়ে গেছেন বলে দাবি করেন এ কণ্ঠশিল্পী। ক্ষুদে গানরাজ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। চলমান ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে এ গায়িকার সঙ্গে কথা বলেছেন- মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ০৩ জুন ২০২১, ০০:০০
সাবরিনা পড়শী

ভোর হলেই রাত নামে...

আসলে আমার রাত শুরু হয় ভোর হলে। ঘুমাই ভোর ৬টা থেকে। কারণ, সারা রাত আমাকে কাজে থাকতে হয়। এর মধ্যে আমার নিয়মিত কাজের একটি হয়ে যাওয়া দ্বৈত কণ্ঠে আমি আর ইমরান 'এক দেখায়'। কয়েকটি পেস্ন-ব্যাকেও গান করেছি। এছাড়া সামনে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে একটি ডুয়েট মিউজিক ভিডিওর কাজ আছে, আপাতত এ নিয়ে কিছু বলছি না।

বড় গানরাজ...

কী যে বলেন (এক পশলা হাসি)! যারা আমার শিক্ষক, তারা এখনো আমাকে সেই 'ক্ষুদে গানরাজ'-এর ছোটো বাচ্চাটিই মনে করেন। তারা ভাবেন, আমি যেন এখনো সেই আগের পড়শীই রয়ে গেছি। যখনই কোনো কম্পোজারের কাছে যাই তিনি আমার মধ্যে সেই ছোট্ট পড়শীকেই খুঁজে বেড়ান। উনাদের কাছে আমি যেন এখনো ক্ষুদে 'বাচ্চা' হয়েই আছি। তাদের সবাই আমাকে শতভাগ সহযোগিতা করেন। আসলে গানের সবাই আমাকে খুব পছন্দ করেন। তারা কেন যে আমাকে এত পছন্দ করেন, জানি না।

প্রযুক্তির দুই ধারা...

এ নিয়ে কোনো তুলনায় যাব না। তারপরও বলব, এই যে একটা করে গান কম্পোজ হয়- এতে কিন্তু একটা উচ্চ ঝুঁকিও থাকে। কারণ, এর কোনোটা দর্শক-শ্রোতা নাও গ্রহণ করতে পারেন। আবার কোনোটি তো প্রত্যাখ্যানও করেন। সেজন্যই এ নিয়ে একটা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকি। তখন এই প্যাটার্নটা কারো ভালো নাও লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে অ্যালবামটা অন্যরকম। তাতে দশটা-বারোটা গান থাকত। কোনো না কোনো গান 'পিক' করত। ফলে একটি দুটো ভালো গানের সঙ্গে পুরো অ্যালবামটাই চলে যেত। সেদিক থেকে যখন অ্যালবাম ছিল তখন বরং ঝুঁকিমুক্ত থাকতাম।

গানে গানে অভিনয়...

তবে ইউটিউবে গানের মিউজিক ভিডিওর সঙ্গে অভিনয় করে দেখানোটা একটু হলেও কষ্টকর ব্যাপার হয়। যেহেতু আমরা অভিনয়ের মানুষ না। তবে সব মিলিয়ে চলতি হাওয়াটাকেই আমাদের মেনে নিতে হবে। এই গানের বাতাস যেদিকে বয়, সেদিকেই আমাদের বইতে হবে। এর বাইরে কিছু করার সুযোগও নেই। সময়ের সঙ্গেই আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

গানের রয়্যালিটি...

আসলে একসময় অ্যালবামের ক্ষেত্রে গানের রয়্যালিটি নিয়ে আমরা খুবই প্রতারিত হতাম। এখন ইউটিউবে যে গান প্রকাশ হচ্ছে সেজন্য আমরা এককালীন অর্থ নিয়ে নিচ্ছি। আগের মতো রয়্যালিটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। একসময় অ্যালবামের গান ইউটিউবে প্রকাশ হওয়ার পর তার রয়্যালিটি থেকেও বঞ্চিত হতাম। এখন থেকে অনেকটা কাটিয়ে উঠেছি।

ভিউ দেখে প্রিয়তা...

আসলে একসময় বাইরে চলতে ফিরতে নিজের কানে নিজের ভালো গানটা যখন বাজতে শুনতাম, সেটা কী যে ভালো লাগত- বোঝানো যাবে না। তখন গানটা কেমন, সরাসরি বোঝা যেত। আসলে তখন গানটা কেমন সেটার ভ্যালু্য দেওয়া হতো। এখন তো ভিউ দেখে গানের মূল্যায়ন হয়। আসলে ভিউ কখনো ভালো গান যাচাইয়ের মানদন্ড হতে পারে না। কারণ দেখা যায়, সর্বাধিক 'ভিউ' পড়া গানও কিছুদিন পর কেউ শুনছে না। সেদিক থেকে ইউটিউবকে আমাদের জন্য নেতিবাচকই ধরতে হবে। তাই ভিউটাকে ভ্যালু না দিয়ে গানটাকেই ভ্যালু দেওয়া হলে আমরা বরং খুশী হই। আমার কাছে ভিউ'র চেয়ে ভালো স্টেজ। ভিউ'র হিসেবটা আমার মনেও থাকে না, দেখিও না।

পেস্ন-ব্যাকে অভিনয়...

আসলে আমি গানের মানুষ, অভিনয়ের না। যদিও শাকিব খানের সঙ্গে 'মেন্টাল' ছবিতে আমার ছোটো একটা উপস্থিতি ছিল, ব্যস ওই পর্যন্তই। আর বাণিজ্যিক ছবি আমি খুব একটা দেখিও না। তবে আমি আর্ট ফিল্ম পছন্দ করি। আর্টফিল্ম নিয়মিত দেখিও। যদি কখনো সুযোগ হয় সে রকম কোনো আর্টফিল্মে অভিনয়ের ইচ্ছে আছে।

অনুপ্রেরণায়...

গানের অনুপ্রেরণায় সবচেয়ে নিকটজন আমার মা। তারপরে আমার ভাই সিয়াত এহসান স্বাক্ষর। উনারাই আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়ে থাকেন। তবে আমার গানের হাতেখড়ি নানুর কাছে। উনিও আমাকে অনেক উৎসাহ যুগিয়ে থাকেন।

জন্ম-মৃতু্যর মাঝে...

বিয়ের কথা বলছেন! না, এ নিয়ে এখনই কিছু ভাবছি না। আগে নিজের ক্যারিয়ারটা আরও মজবুত হোক। এ কারণে আমি কারো সঙ্গে প্রেমেও জড়াইনি। আমার কোনো ছেলেবন্ধু বা গার্লফ্রেন্ডও নেই। কাজের বাইরে ফ্যামিলি ছাড়া কারো সঙ্গেই সময় কাটাই না। যখন বিয়ে করব, সরাসরিই বিয়ে করব। বিয়ের জন্য কোনো বন্ধুত্ব বা প্রেমের ধার ধারব না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে