পঞ্চাশেও সতেজ জুলিয়া রবাটর্স

জুলিয়া রবাটর্স। অনেকগুলো পরিচয় তার। ক্যারিয়ারে অসংখ্য স্বীকৃতি অজর্ন করেছেন এই গুণী অভিনেত্রী। শুধু অভিনয় দিয়েই নয়, নিজের সৌন্দযর্ নিয়েও আলোচনায় এসেছেন তিনি। জুলিয়াকে নিয়ে তারার মেলার এই আয়োজন

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জুলিয়া রবাটর্স
গøামার ওয়াল্ডর্-এখনো ‘পৃথিবীর সেরা সুন্দরী’ হিসেবেই পরিচিত জুলিয়া রবাটর্স। আগামী ২৮ অক্টোবর পঞ্চাশ পেরিয়ে ৫১-তে পা দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু পঞ্চাশেও যেন চালসে নন জুলিয়া রবাটর্স। এই তো কদিন আগেও পঞ্চমবারের মতো ‘পৃথিবীর সেরা সুন্দরী’ হয়ে নতুন রেকডর্ গড়লেন ‘প্রটি ওমেন’ খ্যাত মাকির্ন এই অভিনেত্রী। বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘পিপল’ থেকে জুলিয়া রবাটর্সকে এই স্বীকৃতি দেয়া হলো। একই ম্যাগাজিনে এর আগেও চারবার সুন্দরীর তকমা জিতেছিলেন হলিউড অভিনেত্রী। ৫০ বছর বয়সে এমন এক রেকডর্ করে অভিভ‚ত এই নন্দিত নায়িকা। তিনি বলেন, ‘সত্যি বিষয়টি আনন্দের। কারণ বয়স বাড়লেও সুন্দরীর খেতাব পেয়েছিÑ এটিই সবচেয়ে বড় সফলতা বলতে পারি। কৃতজ্ঞ আমার ভক্তদের প্রতি। কারণ তাদের কাছে আমার জনপ্রিয়তাই প্রতিটি সফলতা এনে দিয়েছে।’ শুধু সেরা সুন্দরীর খেতাবই নয়, অভিনেত্রী জুলিয়া অস্কারের মতো বিখ্যাত পুরস্কারও জিতেছেন। তিন তিনটি ছোট বাচ্চার মা জুলিয়া রবাটের্সর বাড়িতে ‘বোরিং’ বলে কিছু নেই বলে জানালেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনিও অন্য মায়েদের মতো প্রতিদিন বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেওয়া করেন। বাচ্চারা কখনো গাড়ি থেকে নামার সময় ওদের টিফিনবক্স নিতে ভুলে জুলিয়া রবাটের্সরও খুব কষ্ট হয়। জুলিয়া রবাটর্স বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনেও আমি সফল। একজন সাধারণ নারী হিসেবেই চলাফেরা করেন তিনি। তিনি মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রের মালিবু শহরে একজন সাধারণ মানুষের মতোই চলাফেরা করেন, সেখানে আরও অনেক হলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীর বাস করেন। এ কারণেই নাকি অন্যদের চোখে তেমন একটা পড়েন না। তাছাড়া বাচ্চাদের স্কুলেও তাকে অন্য মায়েদের মতোই অপেক্ষা করতে হয়।’ জুলিয়া রবাটের্সর ভাষায়, ‘আমার পেশা আমার কাছে আনন্দদায়ক একটি পেশা। আমার কাজ আমি নিজে যেমন উপভোগ করি,তেমনি অন্যদেরও আনন্দ দিই। একজন সফল মানুষ হতে হলে সবার আগে বাস্তবজীবনে পায়ের নীচের মাটি শক্ত থাকতে হবে। বাস্তব জীবন তো আর ছেলেখেলা নয় ! গত ৩০ বছর ধরেই অভিনয় করছেন জুলিয়া রবাটর্স। ২০ বছরের জুলিয়া আর ৫০ বছরের জুলিয়ার মধ্যে পাথের্ক্যর কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৩০ বছরের আগের সেই মেয়েটিই আছি আমি, শুধু বয়স বেড়েছে। আমি যেন ঠিক আগের মতই আছি। জুলিয়া রবাটর্স জানান, তার সুখী জীবনের পেছনে রয়েছেন তার স্বামী ড্যানিয়েল, সংসার আর সন্তানদের নিয়ে তিনি পরিপূণর্ একজন সুখী মানুষ।