অতঃপর চলচ্চিত্রে মৌ

ছোটপদার্র গø্যামারাস তারকা নাজিরা আহমেদ মৌ। র‌্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বিগত কয়েক বছর ধরে ছোটপদাের্তই যেন থিতু হয়েছিলেন তিনি। ছোটপদার্য় অভিনয়ে নিজেকে পোক্ত করে মৌ এবার নাম লিখিয়েছেন বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম চলচ্চিত্রে। লিখেছেন প্রীতি প্রাপ্তি

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নাজিরা আহমেদ মৌ
এতদিন মডেলিংয়ের পাশাপাশি ছোটপদার্য় অভিনয় করেছেন সুহাসিনী তারকা নাজিরা আহমেদ মৌ। তবে মনে মনে অপেক্ষায় ছিলেন চলচ্চিত্রের। ভালো চিত্রনাট্য না পাওয়ার কারণে তার দেখা মেলেনি চলচ্চিত্রে। তবে তার অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। মায়ের কথাতে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে দ্বিধাও কেটেছে। ‘নন্দিনী’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। সহশিল্পী দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ছবিটি নিমার্ণ করছেন সোয়াইবুর রহমান রাসেল। ছবিতে অভিনয় করতে এতটা সময় নিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌ বলেন, ‘অনেকেই আমাকে সিনেমার জন্য প্রস্তাব দেন। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে করা হয়নি। আমিও সাহসটা করে উঠতে পারিনি। তাছাড়া ছবিগুলোর গল্প এবং চিত্রনাট্যও দুবর্ল ছিল। তাই আরও কিছুটা সময় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সাহসেরও অভাব ছিল অনেকটা। বাংলাদেশি লেখক পরিতোষ বাড়ৈর ‘নরক নন্দিনী’ উপন্যাস অবলম্বনে নিমির্ত হচ্ছে ছবিটি। এর গল্প ও সংলাপ লিখেছেন লেখক নিজেই। আর চিত্রনাট্য লিখেছেন তামজীদ রহমান। বতর্মানে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে চলছে ছবির শুটিং। ছবিটিতে অভিনয়ের বিষয়ে মৌ বলেন, ‘আমি সাহসটা পেয়েছি আমার আম্মুর কাছ থেকে। ছবির গল্পটা তো একটা উপন্যাস থেকে নেয়া। যখন আমাকে উপন্যাসটা পড়তে দেয়া হলো, তখন বলা হয় যে এ উপন্যাসটার ওপরে ছবিটা হবে। এরপর আমি এটা পড়ি। পড়ার পর আমার খুব ভালো লাগে। তারপরও ভয় কাজ করছিল। কি না কী হয়। ফিল্ম তো ভিন্ন বিষয়। ‘এরপর আমি আমার আম্মুকে দিই পড়ার জন্য। বলি, তুমি পড়, পড়ে জানিও কেমন হবে। এটার ওপর মুভি হবে। পড়ার পর মা বললেন, তুমি ছবিটা চোখ বন্ধ করে করতে পারো। ওই যে বলা-চোখ বন্ধ করে, করে ফেল, ওই যে সাহসটা করে ফেলি।’ একটা মেয়ের সংগ্রামী জীবনের গল্প দেখা যাবে ‘নন্দিনী’ ছবিতে। নন্দিনী চরিত্রটা নিজের মধ্যে ধারণ করলেন কীভাবে? মৌ বলেন, ‘এটা তো একটা মেয়ের জীবনের জানির্। তার জীবনের সুখ, দুঃখ বিভিন্ন সময়ের যে সমস্যা হয়, সবগুলো মিলিয়ে যেভাবে আমার ডিরেক্টর ও টিমের পক্ষ থেকে যে ধরনের গাইডলাইন ছিল, সেভাবে নিজেকে সময় দিয়েছি চরিত্রটির জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের টিম চরিত্রটির জন্য আলাদা সামারি করেছিল। বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজও করেছি। আমি প্রস্টিটিউশন নিয়ে গত কয়েক মাসে বেশ কিছু ছবি দেখেছি, বিভিন্ন দেশের। তাদের চাল-চলন থেকে শুরু করে সবকিছু। কারণ এ বিষয়ে আমার নলেজটা গ্যাদার করার দরকার ছিল।’ প্রথম ছবিতেই সহশিল্পী হিসাবে পেয়েছেন ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি ছবির গুণী অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। এ প্রসঙ্গে মৌ বলেন, ‘ইন্দ্রনীল অনেক কো-অপারেটিভ। আমি প্রথম দিন ভয় পাচ্ছিলাম, প্রথম দিন সেটে এসে। কারণ এটা আমার প্রথম ফিল্ম। আমার খুব নারভাস লাগছিল।’ তিনি আরও বলেণ, ‘যখন ওর সঙ্গে সিন করা শুরু করলাম, তখন একদমই কেটে গেছে। ও আমাকে অনেক হেল্প করেছে। ও আমাকে ওই জয়াগাটা বুঝতে দেয়নি এটা ওর প্রথম কাজ। এমনভাবে বিষয়টাকে ইজি করে দিয়েছে।’ পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে নিমার্তা রাসেল প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র নিমার্ণ করছেন। তার ওপর আস্থা রাখার কারণ বলতে গিয়ে মৌ বলেন, ‘ওর পরিচালনায় আমি নাটকে কাজ করেছি। আর ওর সঙ্গে টানা ১৯ দিন ব্যাংককে একটি ট্রাভেল শো করেছি। তখন থেকেই ওর প্রতি আস্থা তৈরি হয়েছে। সব থেকে বড় কথা একজন ভালো মানুষ। আর আমার ওর সঙ্গে কাজ করে মনে হয়েছে যে, সে ভালো বানায়।’